E-Robbar
ব্যঙ্গ করে গানের দল বলে, ‘আমরা পাঞ্জাবীদের প্যাঁইয়া বলি, মাড়োয়ারি মাউরা/তবু নন-কমিউনাল দেয়াল লিখি ক্যালকাটা টু হাওড়া!’
কৌস্তুভ মণি সেনগুপ্ত ও
এই ছবিমালা কলকাতা বিশেষ দেখেনি। পত্র-পত্রিকায় বা বৌদ্ধিক আলাপ-আলোচনায় খুব বেশি উল্লেখ পাওয়া যায় না এই বিশাল অ্যালবামের। বলা বাহুল্য, শহরের অতীতচর্চায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এইসব ছবি। নাগরিক জীবনের এক বিশেষ রূপ পাওয়া যায় এগুলিতে।
অভিভাবক-হীন বড় শহরে যুবদের মেসবাড়িতে বসবাস করার এক অন্য দিকও ছিল, যা অনেকের কাছেই আদর্শ ছাত্র-জীবন হিসেবে গণ্য হত না।
এই আইনের ফলে যে তাঁদের বিশেষ ক্ষতি হবে তা খুব বুঝতে পেরেছিলেন পালকি বাহকরা। আইন চালু হওয়ার দু’দিন আগে, ১৮৬৪-র ২৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার বেহারারা ধর্মঘটের ডাক দেন।
খালের পশ্চিমে কলকাতার লোকজন যেন বাকি প্রদেশের জনগণের থেকে বেশ আলাদা ও উন্নত– এই ধারণা ব্রিটিশ আর আংলো-ইন্ডিয়ান জগতে উনিশ শতক জুড়ে ছড়িয়ে ছিল।
মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সুদূরপ্রসারী বেশ কিছু প্রভাবের মধ্যে বোধহয় অন্যতম বাঁধা মাস-মাইনের দশটা-পাঁচটার ‘চাকরি’র ভাবনা।
জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস বা সুবল মিত্রের অভিধানে ‘পাড়া’ খুঁজলে দেখা যাবে যে এই ধারণা মূলত গ্রাম বাংলায় ছিল, সেখান থেকে কলকাতা শহরে আগমন।