বি-গ্রেড ছবিগুলোর প্রধান হাতিয়ারই ছিল পোস্টার। কখনও বম্বে থেকে ছাপানো, কখনও-বা স্থানীয় শিল্পীর আঁকা পোস্টার। মহিলাদের শরীরী বিভঙ্গ, উত্তেজক ভঙ্গি, নগ্নতা কিংবা রগরগে সংলাপ থাকত। মূলত পুরুষ দর্শকের মনোযোগ পাওয়ার জন্য তৈরি এই পোস্টারগুলি হয়ে উঠেছিল শহরের ‘ওভার গ্রাউন্ড পর্নোগ্রাফি’।
টেলিফোন জরুরি পরিষেবা, রাত-দিন চালু। তাই পালা করে দিনের তিনটি পর্যায়ে ডিউটি পড়ত মেয়েদের। প্রথম পর্যায় শুরু হত সকাল ৬টা থেকে, শেষ হত দুপুর দুটোয়; তার পরের পর্যায় ছিল দুপুর দুটো থেকে রাত ৯টা এবং শেষটি ছিল রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত। বাঙালি পরিবারের বৌ-মেয়েরা রাতের ডিউটি দিতে যাচ্ছেন, সমাজ সহজে তা মেনে নিয়েছিল বলে মনে হয় না।
‘চঞ্চল, চক্ষুময় অফিসে’ মেয়েরা কীভাবে, কতটা মানিয়ে নিলেন? রোজকার বোঝাপড়া, সংগ্রামের ধরন তাঁদের কেমন ছিল? আর তাঁরা যখন বাসে, ট্রামে ভিড় ঠেলে অফিস বা কলেজে যেতেন, সেই অভিজ্ঞতাই বা কেমন ছিল তাঁদের? যেসব পরিবারের মেয়েরা চাকরিতে যোগ দিলেন, সেই পরিবারের দিন যাপনের ছন্দ কী সামান্য হলেও পাল্টায়নি?
বো-ব্যারাকের জীবন, কীরকম ছিল তাঁদের অতীত? কতটা বদলেছে তাঁদের বেঁচে থাকা? ক্রিসমাসেরই বা কতটা বদল? স্মৃতির সিন্দুক খুললেন এরল ভ্যানগার্ড। বো-স্ট্রিটের অন্যতম স্মৃতির ধারক-বাহক।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved