‘তিন কন্যা’ ও ‘অধবা’ নামে দু’টি নভেলেট একত্রে গ্রথিত হয়েছিল দে’জ থেকে। বইটির পরিচিতিতে লেখা হয়েছিল– ‘রাজনীতি যখন জনকল্যাণের পথ ছেড়ে দলকল্যাণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন তা সমাজকে অবক্ষয়ের কোন নরকে পৌঁছে দেয়– তারই এক নিরাবরণ চিত্র… ‘তিনকন্যা’ ও ‘অধবা’…।’
পুলিসের এক কর্তা বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে নেশায়, নেশার ঝোঁকেই পচাগলা একটা মৃতদেহকে পুড়িয়ে দিতে হুকুম করছে কনস্টেবলদের। গল্পের এই পর্যন্ত যা আছে, ঠিকই আছে। তার পরেই বিপদ। কী সেই বিপদ?
প্রায় কিশোরী বয়সে ‘বেঙ্গল ফেমিন’-এর মানুষদের মুখ কি সারাজীবন রয়ে গিয়েছিল তাঁর মনে? নিজের জীবনে মেয়েদের স্থান আর মেয়েদের শক্তির বোধ থেকে? তাই যখন যেখানে মানুষকে অপমানিত লাঞ্ছিত হতে দেখেছেন, অমন তীব্রভাবে গর্জে উঠেছে তাঁর কলম? ভালোবাসায়? হ্যাঁ, তার মূলে ছিল আপ্রাণ ভালোবাসা।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
দ্বিজেন্দ্রলাল বা অতুলপ্রসাদ রজনীকান্তের তুলনায় অনেক বেশি নাগরিক পরিমণ্ডলে থেকেছেন, নব্য আধুনিক সংস্কৃতির সংসর্গ করেছেন, আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক জটিলতাও তাঁদের স্পর্শ করেছে বেশি। রজনীকান্তের কাব্যে বা গীতবাণীতে যে পুরাতনের আমেজ, যে সারল্যের আনন্দ, সত্যি কথা বলার যে স্বস্তি, তা তাঁর একান্ত নিজেরই।
প্রফুল্লদার ছোটগল্প ‘বর্ষায় একদিন’ নিয়ে আমি ছবি করেছি। বিহারের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্প। শুটিং করেছি ঝাড়খণ্ডে। অত্যন্ত মানবিক গল্প। দু’জন সাধারণ মানুষ, যাদের অনেক কিছুই নেই– কিন্তু আনন্দ রয়েছে।
চিন্তার মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিগ্রাহ্য মনোযোগ, ভারতের কল্যাণের জন্য সন্ধানী দৃষ্টিপাত এক নতুন ত্রৈলোক্যনাথকে চিহ্নিত করতে পারে। ডমরুধরের মতো জনপ্রিয় চরিত্রের স্রষ্টা, ‘কঙ্কাবতী’-র লেখককে আমরা যে ফ্যান্টাসি পৃথিবীর ‘অমর কথক’ করে রেখে এসেছি, বইটি সেই ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করতে সক্ষম।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved