তাঁর কবিতা স্বরগ্রাম সুকান্ত কিংবা নজরুলের হয়ে ওঠেনি এমনকী সমকাল-ঘনিষ্ঠ অগ্রজ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের দিকেও গড়ায়নি। কাদরীর কবিতা, অবস্থান, কাদরীর মতোই সর্বজনীন হয়েও ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক হয়েও প্রেমের, নাগরিক হয়েও চরচরব্যাপী, একান্ত বাঙালির আবার আন্তর্জাতিক।
১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ ইংরেজ কোম্পানির রাজত্বে ক্ষৌরকারদের উপরে মাথা পিছু ১২ টাকা বাৎসরিক ট্যাক্স ধার্য করা হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং চুল-দাড়ি কাটার মজুরি বৃদ্ধির করার দাবিতে ধর্মঘট করেন। এদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানালেন শ্রদ্ধেয় কেশব সেনের ‘সুলভ সমাচার’ পত্রিকা।
স্থানান্তরিত করাই বাহনের লক্ষ্য। ঠাকুর-দেবতার মতো মানুষরাও বাহনের কাঁধে পিঠে চড়েই জায়গা বদল করে। জন্তু থেকে জেট প্লেন, সবই মানুষের বাহন হয়ে গেল। এমনকী, ক্ষেত্রবিশেষে মানুষরাও বাহনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে গেল ডান্ডি, কান্ডি, বাঁক-কাঁধে।
ফলে ‘কলতলা’ শব্দটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে যায় ‘মেয়েলি’ কাজিয়ার প্রসঙ্গ। সচেতনভাবে ভুলে যাওয়া হয় যে কলতলায় অশান্তির একটি অন্যতম কারণ হতে পারত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং সেই অনুপাতে জল সরবরাহের অপ্রতুলতা।
পুরনো টলিপাড়ার অভিনেতাগণ দলে-দলে আসতেন এক কালে। নৃপতি চট্টোপাধ্যায়। বসন্ত চৌধুরী। অনিল চট্টোপাধ্যায়। ছবি বিশ্বাসকেও নাকি দেখা যেত মাঝে-সাঝে। আর আসতেন ঋত্বিক ঘটক। কলকাতায় থাকলে, প্রায়ই।
পুরনো কলকাতার হাতে গোনা কয়েকটি ভিনাইল রেকর্ডের দোকানের একটি মির্জা গালিব স্ট্রিটের ‘ভাইব্রেশন্স’। চার দশকের বেশি সময় ধরে এই দোকান চালিয়ে আসছেন মহম্মদ ইমতিয়াজ ওয়ারসি। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা থেকেই রেকর্ড সংগ্রহের শুরু। আজও তিনি রেকর্ডকে ছাড়তে পারেননি।
লন্ডন যখন উন্মত্ত প্রেমিকার মতো তার অধরসুধায় বাদল নামিয়েছে আমার ঠোঁটে, সেই টেমসের দূরান্তে লন্ডন ব্রিজকেই হাওড়া ব্রিজ বলে বিভ্রম হয়েছে!
মেস কেড়ে নিয়ে শহর আমাদের জন্য এখন যে আস্তানা বরাদ্দ করেছে সেখানে নিশ্চিন্তি কই! অহোরাত্র গ্রিলে তালা, এদিকে নজর, সেদিকে নজরদারি। সতর্কতার শেষ নেই। তা সত্ত্বেও যদি বিপদ আসে, আজ কি আর কেউ প্লাইউড হাতে এসেও দাঁড়াবে?
এই স্বঘোষিত প্রতিভাবানদের দেশে, সবজান্তা শিল্পবিশেষজ্ঞর দেশে, স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠ শিল্পীর দেশে, আমিই ‘শেষকথা’ প্রমাণ করার ঔদ্ধত্যময় দেশে– শিল্পের ইতিহাস ভেঙেচুরে যাবেই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved