Robbar

mother mary comes to me

প্রচ্ছদ থেকে শিক্ষা নিলে তো মিশনের বই দেখেই মানুষ সন্ন্যাসী হয়ে যেত

শার্লক হোমস কিংবা কিরীটী, এমনকী ব্যোমকেশের প্রচ্ছদেও পাইপ কিংবা সিগারেট এসেছে বারবার। যে বয়সের পাঠক এই বইগুলো পড়ে, তাদের শিক্ষার কথা ভাবলে তো এই প্রচ্ছদগুলো রাখাই যাবে না। এ-ও যেমন হয় না, তেমন দেওয়ালে দেওয়ালে ‘মদের নেশা ছাড়ান’ পোস্টার মারলেই কেউ নেশা ছেড়ে দেয় না।

→

‘মাদার মেরি কামস টু মি’-র বাংলা অনুবাদেও প্রচ্ছদ একই থাকবে

‘মাদার মেরি কামস টু মি’ বইয়ের প্রচ্ছদে অরুন্ধতী রায়ের ধূমপানের ছবি নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টে কেস হয়েছে। এই বইয়ের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করতে চলেছে দে’জ পাবলিশিং। প্রকাশক হিসেবে প্রচ্ছদের ছবি নিয়ে এই আপত্তি বিষয়ে কী ভাবছেন তাঁরা?

→

প্রচ্ছদে ধূমপানের ছবি কি অরুন্ধতীর নীতিগত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে?

অরুন্ধতী রায় একজন সমাজকর্মী। মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন। ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মেধা পাটেকরের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধবিরোধী; বনসংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষার পক্ষে। এমন একটি অবস্থান নিয়ে নিজের ধূমপানরত ছবি নিজের বইয়ের প্রচ্ছদে দেওয়া কি কোনওভাবে তাঁর অবস্থানের বিরুদ্ধতা করে?

→

অনুবাদক কোনও ‘সুপারহিরো’ নন, স্বত্ব না কিনেই খাজা বাংলা তরজমার কবলে পাঠক!

বিনা অনুমতিতে, স্বত্ব না কিনে, মূল ভাষার ধারেকাছে না গিয়ে, এবং সর্বোপরি গুগল ট্রান্সলেট জাতীয় কোনও সফ্টওয়্যারের যোগসাজসে এই যে অনুবাদকার্য সম্পন্ন হচ্ছে, এবং যেসব পাঠক পয়সা খরচ করে এই সব অনুবাদগ্রন্থ ক্রয় করছেন, তাঁরা দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাচ্ছেন না তো?

→

মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

কাঁচা বয়সে কেন অরুন্ধতী ত্যাগ করলেন তাঁর মাকে, যে বয়সে মেয়ের সবথেকে প্রয়োজন হয়, অন্তত এদেশে, তার মাকেই? জানাচ্ছেন অরুন্ধতী অকপট ভাষায়। এতটুকু ন্যাকামি না করে।

→

এক উল্কার পৃথিবীতে ফেরা অথবা এক বিদ্রোহিনীর আত্মকথা

আমাদের দেশে পরিবারের ভিতর বাবা-মায়ের হাতে সন্তানের নিগ্রহ খুব বিরল ঘটনা নয়। পরিবার যখন আশ্রয়ের আড়ালে অত‍্যাচারের কারাগার হয়ে ওঠে, পালানো ছাড়া সন্তানের উপায় থাকে না, কিন্তু সহায় সম্বল অর্থ ছাড়া ক’জন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে? একটি সাক্ষাৎকারে অরুন্ধতী বলেছেন, আমি কেবল মাকে ‘আনমাদার’ বা ‘অমাতৃয়িত’ করিনি, নিজেকেও ‘আনডটার’ বা ‘অকন‍্যায়িত’ করেছি।

→