Robbar

movie

সেযুগে নারীবাদী চলচ্চিত্র-চিন্তার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন অরুন্ধতী দেবী

বাংলার বহু ‘দেবী’-র মতো অরুন্ধতীও তাঁর শিল্প এবং সৃষ্টির মাধ্যমে সংস্কৃতির ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। ফলে, সেইসব নারীদের গুণ এবং দক্ষতার মাপকাঠি এই ধরাধামেই উপস্থিত; তাঁরা দেবদত্তা নন। বরং, অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের নিয়ম ভাঙার মানবিক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাঁদের মাথা উঁচু করে বাঁচার পথ খুঁজতে হয়। তাই, পদবির ইতিহাসে খানিক আলগা সম্মান প্রদান করে এই দেবী সম্ভাষণ, অর্জিত স্বাতন্ত্র্য থেকে সরিয়ে নারীকে এক আরোপিত সামাজিক লিঙ্গ ভূমিকার দিকেই ঠেলে দেয়।

→

গথিক ও তান্ত্রিক– প্রাগাধুনিকের ভীতি

তান্ত্রিক থ্রিলারের ‘ফর্মুলা’ খুব সোজাসাপ্টা– অকাল্ট এমন এক প্র্যাক্টিসের ইতিহাসের অতল হতে উত্থান হবে যা পেগান, আধিভৌতিক, তামসিক, ভীতিপ্রদ আসলে ‘অনাধুনিক’। তার সাথে সংঘাত হবে এমন কিছু বাঙালির যারা উচ্চবর্ণ হিন্দু, যাদের কাছে আধুনিকতা ‘আছে’। অর্থাৎ একধরনের সাবর্ণ ‘ভদ্রলোক’ আধুনিকতা ও অবদমিত মধ্যযুগীয় প্রাগাধুনিকের বিভীষিকার কনফ্রন্টেশনের গল্প।

→

কল্পবিজ্ঞান শুধু ইতিহাসের মোড় বদলেই পাল্টায়নি, ইতিহাসের বিরুদ্ধেও গেছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যতই শতাব্দী ধরে লালিত বিশ্বাসের ভিতকে নড়িয়ে দিক না কেন, দেখাই তো যাচ্ছে তা মানবজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন, মুহুর্মুহু বিপ্লব। তো এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদযাপন যে কল্পবিজ্ঞান করত, তাকে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করলে ইউটোপিয়ান বলাই যায়।

→

টালিগঞ্জে টেকনিশিয়ান-প্রযোজক দ্বন্দ্বে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই টেকনিশিয়ানদের পক্ষে ছিলেন

একটা লোক কাছে আইয়া কইল, আরে ভানুদা কী হইসে? কোনও ক্রমে কইলাম, ভাই মা মারা গ্যাছেন। শুইন্যা হাসতে হাসতে চইল্যা যাইতে যাইতে কইল, 'দ্যাখ, ভানুরে কাঁদলে কেমন লাগে!' একজন কমেডিয়ানকে সহ্য করতে হয় এমন সব খ্যাতির কাঁটা!

→

ভালোবাসা আসলে চেরির স্বাদ– যে জানে, কেবল সে-ই খুঁজে পায় বন্ধুর ঘর

কোথায় বন্ধুর ঘর? ঈশ্বর যতখানি ভাবতে পারেন, তার চেয়েও সবুজ ওই পথ, যে-পথে ছড়িয়ে আছে ভালোবাসা– ‘বন্ধুত্বের নীল ডানার মতোই ব্যাপ্ত’, সেই পথে আছে তার সন্ধান। নিঃসঙ্গতার ফুল যেখানে, তার ঠিক দু’ পা আগে সে হাত বাড়াচ্ছে আমাদের দিকে। যুদ্ধধ্বস্ত সেই পৃথিবীর হাত কি আমরা ধরতে পারব, ততখানি ভালোবাসার সাহস কি হবে আমাদের?

→

‘বিনোদনমূলক’ অথবা ‘আর্ট’ ফিল্ম– এর মধ্যপন্থা এখনও অধরা বাংলা ছবিতে

ছবি দেখা, বোঝার ক্ষেত্রে আমরা এখনও ক্লিসে বস্তাপচা বাংলা সিরিয়াল মার্কা চলচ্চিত্রায়নকেই সেরা মনে করে, বাকি দুনিয়াকে, বিশ্ব চলচ্চিত্রকে নস্যাৎ করে দিই। ফিল্ম মেকিং-এর ভাষা, ফিল্ম দেখার মাধ্যম যে আগাগোড়া পালটে গেছে– এটা মেনে নিতে অসুবিধে হয়।

→

অভিনেত্রী হিসেবে, ‘গসিপ’-কে অবজ্ঞা করতে শিখিয়েছেন মেরিলিন মনরো

মেরিলিন মনরো নামটা শুনলে এখনও মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে হয়। ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যায় সব উড়ো কথা। মনরো নিজেও হয়তো পুরোটা পারেননি। একটা জিতে যাওয়া লড়াইয়ের শেষপ্রান্তে এসে ময়দান ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তবুও মনরো আমাদের শক্তি দেন, উঠে দাঁড়ানোর ভরসা দেন।

→