Robbar

On Genre

ভিন্নতার আতঙ্ক– দ্য এক্সরসিস্ট এবং লাভক্রাফট

আমার পাঠ শুধু এই নয় যে ‘এক্সরসিস্ট’ আসলে নারীত্বের লাগামছাড়া মুক্তির ব্যাপারে যে ধার্মিক-পিতৃতান্ত্রিক-বুর্জোয়া প্যারানোইয়া থাকে, তার ওপর একটি ছবি। ফিরে যাই সেই নেহাতই ডিটেলটির কথায়, প্রান্তিক একটি দৃশ্য যা আবার বহু যত্নে তৈরি করা– রেগানের মা অভিনয় করছেন এমন একটি ছবিতে যা ক্যাম্পাসে ছাত্র-যুববিদ্রোহ সংক্রান্ত। ১৯৭৩-এ এটি হয়তো নেহাতই একটি সমসাময়িক ডিটেল মনে হবে, ছয়ের দশকের যুবছাত্র-বিদ্রোহ, ক্যাম্পাস-বিপ্লবের নিরিখে।

→

হরর! শরীর নিয়ে মনের ভয়?

হয়তো হরর সেই জঁর, যা আমাদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও এই দার্শনিক প্রত্যয়টাকে সামান্য নাড়িয়ে দেয় যে, যে বাস্তবতায় আমরা বাঁচি তাকে আমরা সম্পূর্ণ চিনি, অথবা তা সুস্থিত কিছু। হয়তো আমাদের এটাতেই সবচেয়ে বড় ভয় যে, আমাদের চেনা বাস্তবতা পালটে যেতে পারে।

→

ফিউডাল রক্ষণশীলতা থেকে পুঁজিবাদী শিকড়হীনতায় পতনের গল্প বলে গডফাদার ট্রিলজি

হিন্দিতে হালের বিশাল হিট ‘অ্যানিমেল’-এর গল্পটি যদি খেয়াল করা যায় তা ‘গডফাদার’ প্রথম খণ্ডেরই সারাংশ। যদিও সেই গল্পটা বলতে লাগে দুই ঘণ্টা, ছবিটা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের, বাকি সময়টা পরিচালক বরাদ্দ করেছেন তাঁর আলফা-ম্যাস্কুলিনিটি তত্ত্বকথার কাজে। 'অ্যানিমেল'-এর গল্পেও সচেতনভাবে কপোলার ছবিকে ‘ভুল বোঝা’ হয়েছে।

→

গ্যাংস্টার জঁর– সভ্যতার সূর্যগ্রহণের মুহূর্ত ছায়ামূর্তিদের গল্প বলার সময়

বি-গ্রেড প্রোডাকশনের গল্পগুলো এমন হট কচুরির মতো বিক্রি হতে লাগল, যে তৈরি হল নতুন কিছু জঁর। ফিল্ম নোয়া তো আছেই, একধরনের হরর ছবিও। এবং সেই মাফিয়াদের গল্প নিয়ে গ্যাংস্টার জঁর।

→

রহস্যসন্ধানীর পালাবদল, ফিল্ম নোয়া আর আমরা

স্রেফ ফেলুদাকে মেয়ে বানিয়ে দিলেই পলিটিকালি কারেক্ট ট্রেন্ডিং নতুন গোয়েন্দা তৈরি হয় না। তাতে ‘দৃষ্টি’-টা তেমন পাল্টা‌য় না। ‘ছোটলোক’-এর সাবিত্রী মণ্ডল নিজে যেমন মফসসলি আটপৌরে, তেমনই সে তার পরিবারকে সমাজের তামসিকতা থেকে আগলে রাখে, এটাই ভিন্ন মাত্রাটা নিয়ে আসে। কিন্তু সাবিত্রী মণ্ডল যে আবার আসবেন, তার আশ্বাসও তো আমরা পাচ্ছি না।

→

ফিল্ম নোয়া– নাগরিক আলোর মধ্যে আঁধারের বিচ্ছুরণ

এই ছবিগুলি তমসাচ্ছন্ন, রূপকার্থে এবং আক্ষরিক অর্থেও। নেতিবাদ, হতাশাবাদ, নৈতিক স্খলনের গল্প ছবিগুলিকে যেমন আঁধারাচ্ছন্ন করে দিয়েছে, সেরকমই, ছবিগুলির ভিস্যুয়াল স্টাইলেও চড়া আলোর পাশে ঘন অন্ধকার একটা বুনোট তৈরি করে। তাঁরা এই গোত্রের ছবিগুলির একটি নাম দিলেন– film noir– অর্থাৎ, তমসাচ্ছন্ন ছবি।

→

‘দ্য হেটফুল এইট– এখন ওয়েস্টার্ন যেরকম হতে পারত

তারান্তিনো আমাদের টিজ করছেন– যে দেখো দর্শক, এই নারী ভিক্টিম, কিন্তু সে রেসিস্ট– দর্শক, তুমি কি এর সঙ্গে আইডেন্টিফাই করবে?

→

যখন জঁর নিজেকে নিয়েই সন্দিহান

নাটকের এই ক্ষণেই যে টেনশনটা তৈরি হয়, তা ওয়েস্টার্নে আগে দেখা যায়নি। ক্লান্ত উইল এখন স্ত্রীর ধর্ম অনুসরণ করে ভায়োলেন্স পরিত্যাগ করতে চান; তিনি চান দ্বৈরথে না গিয়ে যদি টাউনের সবাই মিলে ফ্র্যাংককে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।

→

একটি সভ্যতার হয়ে ওঠার মিথোলজি

আমেরিকা– অধুনা ট্রাম্পের রাজত্ব যেরকমই হুংকার দিক না কেন– শরণার্থী, অভিবাসী, পরবাসী, দেশত্যাগী, দ্বীপান্তরিতের দেশ। এই ভূখণ্ডটি এই জঁরে যাদের বলা হত ‘রেড ইন্ডিয়ান’, তাদের আদি মহাদেশ ছিল, সেইখানে বহিরাগতদের রমরমাই আমেরিকার ইতিহাস।

→