E-Robbar
নাটকের এই ক্ষণেই যে টেনশনটা তৈরি হয়, তা ওয়েস্টার্নে আগে দেখা যায়নি। ক্লান্ত উইল এখন স্ত্রীর ধর্ম অনুসরণ করে ভায়োলেন্স পরিত্যাগ করতে চান; তিনি চান দ্বৈরথে না গিয়ে যদি টাউনের সবাই মিলে ফ্র্যাংককে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও
আমেরিকা– অধুনা ট্রাম্পের রাজত্ব যেরকমই হুংকার দিক না কেন– শরণার্থী, অভিবাসী, পরবাসী, দেশত্যাগী, দ্বীপান্তরিতের দেশ। এই ভূখণ্ডটি এই জঁরে যাদের বলা হত ‘রেড ইন্ডিয়ান’, তাদের আদি মহাদেশ ছিল, সেইখানে বহিরাগতদের রমরমাই আমেরিকার ইতিহাস।
এরকম মানুষ যারা আসে, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই পুরুষ। নারীরা যখন আসে কারও স্ত্রী-কন্যা-মাতা-ভগিনী হিসেবেই আসে; জিলেরও সেভাবেই এসে পৌঁছনোর কথা ছিল, কিন্তু কপালফেরে সে এখন সেই বিরল নারী, এই ওয়েস্টে যে একা, অতীত ছেড়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে অবলম্বনহীন।
জঁর মানে শুধুই দৃশ্য-শ্রাব্য উপাদান বা বিন্যাস নয়। হ্যাঁ, চরিত্র, আখ্যানধর্ম ও নৈতিক বিশ্বও।
বর্তমানের ‘মাসি’ ছবির প্রচারকরা ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’-কে আদ্যন্ত ভুল পড়ে। অথবা, স্করসেসে এবং ডি নিরোর ক্রিটিকালিটি অগ্রাহ্য করে তারা ট্র্যাভিসের মধ্যে তাদের ফ্যাসিস্ট টক্সিসিটির ম্যানিফেস্টো পেতে চায় বলেই তারা বলে যে তাদের সিনেমাটিক ব্রুটালিটির অন্যতম পূর্বসূরি ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’।
আমাদের নায়ক যে কাণ্ডটি ঘটাল, সেটা পোয়ারো, ব্যোমকেশ বা ফেলুদা করবে না কখনও। সে ঠিক করল যে এই দ্বন্দ্বকে সে নতুন উশকানি দিয়ে যুদ্ধে পরিণত করবে।