Robbar

Rabindranath Tagore

জীবনে থমকে যাওয়াকে আমাদের দেশ অগৌরবের মনে করেনি

ধানের গাছ যখন রোদবৃষ্টির সঙ্গে সংগ্রাম করে বাড়তে থাকে, সেও যেমন সুন্দর, মাঠের দিন শেষ করে ঘরে আসার দিন আরম্ভ হয় যখন, সেই ফসলের রূপ হয়তো সুন্দরতর। সেই ফসলের মধ্যে ধানখেতের রোদবৃষ্টির ইতিহাস নিবিড়ভাবে নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। সেই নিস্তব্ধতা অগৌরবের নয়।

→

কথা জিনিসটা মানুষের, আর গান হল প্রকৃতির

‘আজ যুক্তি তর্ক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ খাটবে না। আজ গান ছাড়া আর-কোনো কথা নেই।’

→

আত্মার স্বরূপ শূন্যতা নয়, নিখিলের প্রতি প্রেম

রবীন্দ্রনাথের মনে হয়েছে, ধর্মশাস্ত্রে যে বিভিন্ন কাজ না করার উল্লেখ থাকে, সেগুলি এই প্রকাশিত হওয়ার আদেশটিকে বাধামুক্ত করার জন্যই।

→

ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’

রবীন্দ্রনাথের চিত্রভাবনার আড়ালে আছে বিশের দশকে বিভিন্ন মিউজিয়াম ও গ্যালারিতে বিদেশি ছবি ও ভাস্কর্য দেখার অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে পেরুভিয়ান শিল্পকলা এবং জার্মান এক্সপ্রেশনিস্ট আর্টের সঙ্গে তাঁর সম্যক পরিচয়।

→

ভিতরের সাধনা আরম্ভ হলে বাইরে তার কিছু লক্ষণ টের পাওয়া যায়

সবই এখন বিনা প্রয়োজনের ঐশ্বর্য। এখন তার দেওয়ার আনন্দ।

→

‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি রবীন্দ্রনাথ

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ যে সামাজিকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তা শ্রীকে শ্রীময় বলেই গুরুত্ব দিত, দামি বস্তুকে শ্রীময় বলে ভাবত না।

→

ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?

সোনালি হলুদের অসামান্য দীপ্তি তাঁর নিসর্গের ছবিতে যে ইন্দ্রজাল রচনা করেছে–  বিশেষ করে সূর্যাস্তের চিত্রমালায়– সেখানে ভাষা স্তব্ধ, অক্ষরের দল পরাজিত।

→

মানুষের পক্ষে মানুষ হয়ে ওঠা সব থেকে কঠিন

পশুর মতো হাতে-পায়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলা মানবশিশুর পক্ষেও সহজতর, কিন্তু মানুষকে যে মাথা তুলে দাঁড়াতেই হবে।

→

‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

‘গরম’ শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহার করেছেন রবীন্দ্রনাথ।

→

ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন

মস্কোতে রবীন্দ্রনাথ সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন একদল শিল্পী ও সমালোচকের কাছে। তবে অবশ্যই দোভাষীর মাধ্যমে।

→