বিদায় পুজারা। যে সময় বলা হচ্ছিল টেস্ট ক্রিকেটকে গিলে নেবে টি-টোয়েন্টি, যে সময় আইপিএলে কোটি কোটি টাকার নিলাম, সে সময়– সেই দুরন্ত ঘূর্ণির হু হু সময়ে, শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। নিজেরই মুদ্রাদোষে আলাদা হয়েছিলেন। দ্রাবিড়ের সময়ে, দ্রাবিড় শুধু একক ছিলেন না। কিন্তু পুজারার সময়ে, টেস্ট ক্রিকেট দু’দণ্ড শান্তি পেতে তাঁরই মুখোমুখি বসেছিল নিশ্চিত।
ওয়াশিংটন-জাদেজারা দিনের শেষে ওই মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি। তাঁদের লড়াকু চওড়া ব্যাটে সাম্যের গান শোনা যায়। ড্র সেই সাম্যের সুর। যে সুরে জয়ের উদ্দামতা নেই, নেই হারের শ্মশান-নীরবতা।
মাঝে মধ্যে ঘুড়ির সুতো ছেড়ে কেবল লাটাইয়ের টানেই ব্যালেন্স করে ওড়ানো হয় ঘুড়িখানা। রাহুল দ্রাবিড়ও সে ছেড়ে খেলার লোক।
ফ্রিদার এই শরীর ইউরোপীয় রেনেসাঁসের ধাঁচে নুড নয়; দিয়েগোর কাজের মতোও নয়। এই শরীর যেন মেডিকেল-স্টাডির শরীর।
ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে সাফল্যের শৃঙ্গে উড়তে দেখাটাই গৌতমের মোক্ষ, গম্ভীরের স্বপ্ন।
তিনি ফের চলে যাবেন অন্তরালে। সময় কাটাবেন পরিবারের সঙ্গে। মাঝেমধ্যে তাঁকে দেখা যাবে, দেশের কোনও নাম-না-জানা স্টেডিয়ামে বসে সন্তানের খেলা দেখছেন। হয়তো মাঠে নেমে এক কিশোর ক্রিকেটারের স্টান্স ঠিক করে দিলেন।
নীরব, নিঃসঙ্গ বিদায় নয়, আলবিদা-কালে মাথা উঁচু করে রাজকীয় নিষ্ক্রমণ নিয়তি নির্ধারিত ছিল রাহুল শরদ দ্রাবিড়, রোহিত গুরুনাথ শর্মার।
রাহুল দ্রাবিড়, যাঁর নিরলস পরিশ্রম, অবিচল অধ্যবসায়কে ক্রিকেট বিধাতা অগ্রাহ্য করেছেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved