জীবনের শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও যেন এক অভিমান নিয়েই সুরুলে চলে গিয়েছেন। বাস করেছেন তেতলার ঘরে, যেটিকে এখন ‘কবিকক্ষ’ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিভাবিকা প্রতিমা দেবী এতে খুবই বিপন্ন বোধ করেছেন।
উদয়নের বাগানে রামকিঙ্করের কংক্রিটের কাজটিতে একটি বড় মাছের মুখে একটি ছোট মাছ। মাৎস্যন্যায়। উদয়নের শান্ত পরিবেশে এই ভাস্কর্য কেন? রামকিঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকিঙ্কর তার যা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব।
উদয়ন বাড়ির ভেতরের বড় ঘর ও বারান্দা ছিল শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। শান্তিনিকেতনের উৎসব অনুষ্ঠানের স্টেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। নৃত্যনাট্য বা নাটকের মহড়াও বসত প্রধানত এ বাড়িতেই।
শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।
কাঁচা বয়সে কেন অরুন্ধতী ত্যাগ করলেন তাঁর মাকে, যে বয়সে মেয়ের সবথেকে প্রয়োজন হয়, অন্তত এদেশে, তার মাকেই? জানাচ্ছেন অরুন্ধতী অকপট ভাষায়। এতটুকু ন্যাকামি না করে।
রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সাজাদপুরের কাছারিবাড়ি এবং পতিসরের কাছারিবাড়ি এখন মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত। এই সব বাড়ির পাশাপাশি তিনি কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জলপথে, বোটে। তাঁর অতিপ্রিয় পদ্মাবোট তো ছিলই চঞ্চলা ও চপলা এই দু’টি ছোট নৌকোতেও তিনি যাতায়াত করেছেন। যার কিছুটা অংশ কুঠিবাড়িতে রাখা আছে।
শুরু হল অহনা বিশ্বাসের নতুন কলাম ‘আশ্রমকন্যা’। আজ প্রথম কিস্তি।
রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ ‘কাজের মানুষ’ হয়ে উঠুক। এই ‘কাজের মানুষ’ হয়ে উঠতেই নিজেকে বাবার আরব্ধ কাজে সমর্পণ করেন রথীন্দ্রনাথ। পিছনে পড়ে থাকে তাঁর নিজের স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা। পিতার নির্দেশই হয়ে ওঠে তাঁর কাছে অপ্রতিরোধ্য, অবশ্য পালনীয়। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে এই বিশেষ নিবন্ধ।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved