শীর্ষেন্দুদার আজ ৯০ তম জন্মদিন। আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বিমল করের মাধ্যমে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র দপ্তরে। ততদিনে শীর্ষেন্দুদা রীতিমতো বিখ্যাত লেখক। দে’জ থেকে তাঁর প্রথম বই ‘আক্রান্ত’ ছাপা হয় ১৯৮৫ সালের বইমেলার সময়। সেই হিসেবে তাঁর সঙ্গে দে’জ পাবলিশিং-এর সম্পর্কের এটা ৪০ বছর পূর্ণ হল।
শতাব্দী জুড়ে থাকা এই ময়নাতদন্তের ধারাবাহিক প্রকাশ প্রমাণ করে যে কথকতার দায় আর কবির নয়। বরং কবিতা সৌন্দর্যপ্রথার যে মাংসল প্রবর্তন সম্ভব করেছে, তাতে কবির প্রতি শর্তহীন আনুগত্য ছুড়ে ফেলে বহুগামিনী সরোজিনী ক্রমেই দাবি করেছে পাঠকের রতিমুখরতা।
লিবার্টি-ইক্যুয়ালিটি-ফ্রেটারনিটি থেকে বিশুদ্ধ প্রজ্ঞা সবেরই বিশ্বজনীন কর্তা তখন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, এমনকী অভিজাত বাড়ির মেয়েদের অবধি বাইরে বেরিয়ে লেখাপড়ার অধিকার নেই, সেই সময় মাদামরা কেমন পাশার গুটি উল্টে সালোঁ সাজিয়ে নিলেন, স্বশিক্ষার সেই গভীর দাপট খেয়াল করার মতো।
‘ভুল সবই ভুল’– গানটির ভেতর এক নীরব সন্ধ্যা আছে। কোনও শহরের ফাঁকা রাস্তায় একাকী পুরনো ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে ওঠে, আর তার নিচে একজন দাঁড়িয়ে থাকে নিজের হৃদয়ের ভুল ভুলে যাওয়ার চেষ্টা নিয়ে।
হারল সেই ভারত, যে-ভারত মনে করে মেয়েদের ক্রিকেট মানে ‘ধুস’! হারল সেই ভারত যে-ভারত মনে করে, রাতে হোটেল থেকে বেরনোর আগে অস্ট্রেলিয়ান মহিলা ক্রিকেটারদের সিকিউরিটিকে জানানো উচিত ছিল। হারল সেই ভারত, যে-ভারত পুরুষ ক্রিকেট টিমের জয়কে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদের বিষ ছড়িয়ে দেয় রাজ্যে রাজ্যে। জিতল আরেক ভারত। সেই ভারতকে আমরা কতটুকু চিনি?
বন্ধু, অর্থাৎ, ফেরেঙ্ক পুসকাস চলে গিয়েছিলেন বছর ৭৯-এ। সাতের ঘরের ন্যুব্জ বৃদ্ধ ডি’স্টেফানো আর কি মনে করতে পারতেন সোনালি রিয়াল, ’৫৮ থেকে ’৬৪-র রিয়াল মাদ্রিদকে? সেই সব ফাইনাল? আলফ্রেডোর সঙ্গে জুটি, ডুয়ো, কোচ মিগুয়েল মুনোজের টিমের ভয়ংকর সাদা জার্সি, গোল, দর্শক, চিৎকার– চলে যায়, একসময় সব চলে যায়।
বোতলের ভিতরে যে দ্রবণ, তা আর মহলানবীশের মানবিক সমীকরণ নয়। WHO (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত ওআরএসে যেখানে প্রতি লিটারে ১৩.৫ গ্রাম চিনি, সেখানে এসব পণ্যে সেই মাত্রা প্রায় ১০ গুণ বেশি। অর্থাৎ, ডায়রিয়ায় জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে এই পানীয় বাড়িয়ে দিচ্ছে বিপদ।
দীর্ঘ সময় বাদে কাঁচা ছাদের পরবর্তীতে ইট, বালি, সিমেন্টে গড়া পাকা ছাদ আবিষ্কার হল। তখন মানুষেরা ছাদেও দিনের একটি অবসর সময় কাটাতে আরম্ভ করল।
ঢাকার বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক জ্যোতি বসুদের বারদীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। ডাক্তার বাড়ি বলে তেমন কেউ সন্দেহ করত না। তাই বিপ্লবীদের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিল বসুদের বারদীর বাড়ি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved