আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।
ঘুটঘুট্টি অন্ধকারে নিজের হাতে ধরা টর্চের মতো আলো যখন মঞ্চে কুশীলবরা নিজেরই মুখে ফেলে নাটক করে, তখন তাদের আমি আলেয়ার দল ভাবি।
যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?
বাংলা উপন্যাসে দেবেশদার ‘বৃত্তান্ত’র মতোই আমার মনে হয় আফসারদার ‘কিস্সা’ একটি অভিনব সংযোজন। আরবিতে ‘কিস্বহ’ মানে গল্প-কাহিনি। উর্দু উচ্চারণে সেটি হয়েছে ‘কিস্সা’। বাংলা প্রয়োগে সেটাই দাঁড়িয়েছে ‘কেচ্ছা’য়। আফসারদা মূল অর্থেই শব্দটা প্রয়োগ করেছিলেন।
‘জীবন’, ‘আয়ু’র চেয়ে অনেক বড়। জীবন আসলে কালেকটিভ, যৌথ। কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে চলা সপ্রাণ পৃথিবীর আণবিক চোরাকুঠুরিতে সঞ্চিত জেনেটিক স্মৃতি ও শিক্ষার ভিক্ষালব্ধ ধান্য। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী আপাত সরলরেখায় তাকে মাপা যায় না। এ শিক্ষা পোকামাকড়ের দুনিয়ায় প্রবেশ না করলে জানা যায় না।
বিসর্জনের সময় একটা গান শুনে চমকে উঠেছিলাম। গানটা হল– ‘জল জল যে করহ টুসু–/ জলে তুমার কে আছে!’ এই গানটি যেন শঙ্খ ঘোষের এই বিখ্যাত কবিতাটির লৌকিক রূপ। ‘জল কি তোমার কোনো ব্যথা বোঝে?/ তবে কেন, তবে কেন জলে কেন যাবে তুমি!’
শকুন ভাগাড় থেকে খাবার খুঁজে নেয়। লাশকে নিজের খাদ্যে পরিণত করে সে পরিবেশে ভারসাম্য আনে। আমাদের রাষ্ট্রীয় এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও অনেকটা সেইরকমভাবেই কাজ করে। তারা যাদের মনে করে সমাজের জীবাণু, প্রাথমিক ভাবে নিম্নশ্রেণির এবং প্রান্তিক মানুষদের, তাঁদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর দোরগোড়ায়।
শঙ্খ ঘোষ ও তাঁদের বিশাল পরিবার– প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যেতেন মামাবাড়ি চাঁদপুর। শঙ্খ ঘোষের বড় মামা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। শরৎকালীন ছুটিতে যেতেন দেশের বাড়ি। দেশভাগের পর কলকাতা থেকেও পুজোর ছুটিতে এসেছিলেন দেশের বাড়ি বানারীপাড়ায়।
একজনের রক্তের গহন থেকে আকুলতা: ‘হে বন্ধু,আছো তো ভালো?’ অন্যজনের পথচলতি কথকতা: ‘'এতদিন কোথায় ছিলেন?’
‘কিল বিল’ আর ‘জন উইক’-এর মধ্যে আত্মাগত মিল একাধিক, আবার বেমিলও আছে। ছবি দু’টি সমকালীন ক্লাসিক হিসেবে একরকম স্বীকৃতই বলা চলে। দু’টি ছবি খুবই ইনফ্লুয়েনশিয়াল, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে স্বধর্মে এই দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজি সমকালীন অ্যাকশন ছবির থেকে একেবারেই আলাদা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved