E-Robbar
কবির জীবনেও এসেছিল এক মৃত্যুদীর্ণ ২২ শ্রাবণ, ১৩৩৯। ৭ আগস্ট, ১৯৩২। অনন্তপারে চলে গিয়েছিলেন কবিগুরুর অত্যন্ত আদরের দৌহিত্র নীতীন্দ্রনাথ। কবির নীতু। কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরাদেবীর একমাত্র পুত্র।
অমিত মণ্ডল ও
আনন্দবাজারে শিক্ষানবিশ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আনন্দবাজারের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঘোষ একরকম রুক্ষ ব্যবহারই করেন আলপনার সঙ্গে। বলেন কাগজের দপ্তরে মেয়েদের বাথরুম নেই, তাই মেয়েদের নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে হবে এই স্বাভাবিক কথাটা তাঁর মনে হয়নি, কারণ তাঁর তীব্র পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।
অন্বেষা সেনগুপ্ত ও সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায় ও সুপূর্ণা ব্যানার্জি ও
নারীর কণ্ঠ বন্ধ হয়, আর তার জায়গায় তৈরি হয় পুরুষের ইতিহাস। একদিকে হান্নার নিঃস্বতা, অন্যদিকে চার্লির প্রতিভা। কিন্তু কে সেই ‘প্রতিভা’র ভিত্তি নির্মাণ করে? সমাজ কীভাবে ভাঙা গলাকে অপদার্থতা ভাবে, অথচ সেই কণ্ঠ হারানোর মধ্য দিয়েই তো তৈরি হয় এক ট্র্যাজিক মুখাভিয়ন। চার্লি নিজেই বলেছিলেন, ‘My mother taught me not through speech, but through silence.’
প্রিয়দর্শিনী চিত্রাঙ্গদা ও
আসলে বিষয়টা ভাষার নয়। ভাষা এখানে গহীন চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ মাত্র। এবং বড় অস্ত্রও। অমিত মালব্যরা খুব ভালো করেই জানেন, দেশজুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি বাঙালি ভাবাবেগ একজোট হতে চায়, তাহলে তাকে ভাষা দিয়েই কাটতে হবে। তাই ‘বাঙালি’ ও ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্বের অবতারণা।
অনিতেশ চক্রবর্তী ও
একজন অভিজ্ঞ যোদ্ধা হিসাবে উনিশ শতকের ইংল্যান্ডে শ্রমিক আন্দোলনগুলিতে ধারাবাহিকভাবে অংশ নিয়েছেন, এমনকী ফরাসি বিপ্লবকালে, যখন একদিকে তিনি ও তাঁর প্রিয় পার্টনার দুনিয়া কাঁপানো ইশতেহার লিখছেন, এঙ্গেলস অগুনতি যোদ্ধাদের সঙ্গে বরফ পাহাড় ডিঙিয়ে রাইফেল কাঁধে পা মিলিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্যারিসে।
তীর্থরাজ ত্রিবেদী ও
‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলে ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে।
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
বাঙালি এইসব মামুলি ব্যাপারকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনত না। মাত্র এক দশক আগেও এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। অথচ আজ বাঙালিকে এসব নিয়ে ভাবানো যাচ্ছে। কে ভাবাচ্ছে? বাঙালির একশ্রেণির লোকজন। যাদের মূল লক্ষ্য এই ভাষার হিন্দু-মুসলমান করে গোবলয়ের সঙ্গে তফাতটা আরও কমিয়ে আনা যাবে।
সুমন সেনগুপ্ত ও