খাটের পাশে, টেবিলের ওপর রাখা একটা পোস্টকার্ড– সেখানে কিছুই লেখা নেই। আর একটাতে বড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। সেটা দেখাতে হো হো করে হেসে বললেন– ‘শিব্রাম বাবুর চিঠি, বহুদিন খোঁজ না পেলে এইরকম চিঠি দিতেন।’
পেঁচা একদিকে জ্ঞানের প্রতীক, অন্যদিকে মৃত্যুর দূত। তার ডানা হয়তো নিঃশব্দ কিন্তু তার কিংবদন্তি গর্জন করছে আজও।
মুখ, মানুষের মুখই, মাঝে মাঝে মনে হয়, সবচেয়ে প্রিয় দৃশ্য। গাছপালা, পাখি, পোকা, নদীদের কথা মনে রেখেও বললাম। যতদূর আসি-যাই, কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই পথচিহ্ন। মুখই সেই অভিজ্ঞান, যা দিয়ে পথচিহ্ন তৈরি হয়।
এই চাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? অনেকে বলবেন সৌন্দর্যের মাণদণ্ডের বাইরে নিজেকে খোঁজা। তা একটা শুরু বটে। তবে একাকী কোনও একটি পথে এই মুক্তি সম্ভব নয়।
অলি-গলি দিয়ে নেচে-গেয়ে, বাজনা বাজিয়ে, বিজয়-মিছিল এগিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাচক্রে সেই মিছিলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে একটি মেয়ে, সম্ভবত কাজ থেকে ফিরছে। তাকে টিটকিরি দিয়ে, উত্যক্ত করে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে সবার। এই দৃশ্য ‘তিন ভুবনের পারে’ সিনেমার। এই বিখ্যাত দৃশ্য দেখায় কলকাতার পাড়া মূলত পুরুষের পরিসর।
জঙ্গলমহল, ছোটনাগপুরের জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামে এই পরব পালিত হয়ে আসছে সুদূরের কাল থেকে। এই সেই করম পরব যেখানে নারীরাই একচ্ছত্র, প্রাণশক্তি আবহনের নৈণায়িক ঋত্বিক। মূল পরবের দিন– যে দিন চারাকে (শস্য) পুজো করা হয়, তার সাত দিন আগে শুরু হয় পার্বণ-রীতি।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর। উত্তমকুমারের জন্মদিন। বাংলা ও বাঙালির মহানায়ক পা দিলেন জন্মশতবর্ষে। সেই উপলক্ষে এই অলীক-আড্ডা, ওপেন সিক্রেটে।
যখন সম্পূর্ণ অপরিচিত কেউ কাউকে তীব্র ঘৃণার সহযোগে ‘বাংলাদেশি’ বলে তাহলে তার মানে দাঁড়ায়– সে এদেশের নাগরিক নয়। যাঁরা দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে করে এদেশে এসে কোনও মতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে নিজেদের শ্রম, ঘাম, রক্ত দিয়ে দেশ গড়ে চলেছেন– এই কথায় তাঁদের খুব খারাপ লাগে। আমার জন্ম বাংলাদেশে না হলেও এই কথার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই।
হোমারের মনে একটা ভয়ংকর প্রশ্ন: কবিতা শয়তানের? নাকি ঈশ্বরের? কে তাঁকে অনর্গল জুগিয়ে যাচ্ছে কাব্যের ভাষা? পাপ না পুণ্য? মঙ্গল না অমঙ্গল? আলো না অন্ধকার? স্বর্গ থেকে নেমে আসা আশীর্বাদ? নাকি নরক থেকে উঠে আসা দহন?
ধর্মরাজের প্রতীক হিসাবে কুকুর মহাভারতেই মান্যতা পেয়েছিল। বেদ-উপনিষদ-পুরাণ সাহিত্যে কুকুর প্রাণের প্রতীক হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। যমদূত হিসাবে কুকুর পৃথিবী ঘুরে ঘুরে মুমূর্ষুর প্রাণকে যমের কাছে নিয়ে যায় (ঋকবেদ সংহিতা)। ছান্দ্যোগ্য উপনিষদে আছে ‘শৌব উদগীথ’ অর্থাৎ কুকুরদের সামগান।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved