বড় বাহারি পাকমারা বস্তুটি যদি অমৃতি হয়, তবে জিলিপির ভালো নাম নির্ঘাত অমৃতলাল বসু। বাঙালির ভোর মোরগডাকে হয় না, জিলিপির পাকে হয়। ধোঁয়াওঠা চায়ের পাশে গরম রসের শালপাতা আমাদের প্রাতকালীন ব্যায়াম।
যোগীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য অথচ স্বল্পালোচিত কাজ হল রবীন্দ্র-সংগীতের সংকলন। ১৯০৮ সালে যোগীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সিটি বুক সোসাইটি’ থেকে প্রকাশ করেছিলেন এই বইখানা। সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর এ বইটিকেই রবীন্দ্রনাথের গানের প্রথম সংকলন বলে উল্লেখ করেছেন। যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্মদিনে তাঁর প্রকাশক ও সংকলক সত্তাটি নিয়ে বিশেষ এই নিবন্ধ।
গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।
কালের করাল গ্রাসে শহর ও শহরতলিতে বাঙালির ছোট রথগুলিতে আর সেই শিল্পের মাধুরী নেই। এখন তার শরীর গোটাটাই রঙিন সেলোফেনে মোড়া। কাঠের বদলে সেখানে স্থান পেয়েছে প্লাস্টিকের ঘোড়া।
স্টাম্প মাইক হিচককের ছবি ‘Rear window’-র মতো। কেবল লুকিয়ে পড়শিকে জানলা দিয়ে দেখে নেওয়া। এতে এক গোপন আনন্দ আছে। এর বাইরে আছে মাঠ। স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখার উত্তেজনা। ওই লাল বল উইলো কাঠে লাগলে যে শব্দের মূর্চ্ছনা, তাতে আমার প্রাণ রাখা আছে।
মৃত পুত্রকে জড়িয়ে ধরে জননীর সে আর্তিঘেরা ক্যাথের ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। ক্যাথের অজস্র ছবির মধ্যে আরেকটি– দুঃস্বপ্নের জেগে ওঠা– অন্ধকার নিশুতি রাত্রে এক অসহায় মা, আলো নিয়ে রাশি রাশি মৃতদেহ থেকে নিজের ছেলের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।
রুশিদের চারপাশের জগৎ যখন চরম বিশৃঙ্খলভাবে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, তখন রুশিরা ভোদ্কার শরণাপন্ন হচ্ছে দু’টি কারণে: মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ হিসাবে, আর সে বিনিয়োগ যদি ব্যর্থও হয় তাহলে তারা অন্তত ভোদ্কায় ডুবে ভুলে থাকতে পারবে নিজেদের দুঃখ-দুর্দশা।
প্রফুল্লদার ছোটগল্প ‘বর্ষায় একদিন’ নিয়ে আমি ছবি করেছি। বিহারের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্প। শুটিং করেছি ঝাড়খণ্ডে। অত্যন্ত মানবিক গল্প। দু’জন সাধারণ মানুষ, যাদের অনেক কিছুই নেই– কিন্তু আনন্দ রয়েছে।
এই মানুষগুলোর সমর্থনে দেশের সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে সমস্ত দেশ জুড়ে ১৪ জুন পালন করা হয় ‘নো কিংস ডে’। ছোট থেকে বিরাট শহর– প্রায় ২০-২৫ জন থেকে লক্ষাধিক মানুষ শামিল হন প্রতিবাদে।
এই মহাবিশ্বের বিপুলতার কোনও ধারণা ছাড়া, হাজার হাজার ইলিউশনকে সত্য বলে জেনে যে বিন্দুতে শুরু করেছিলাম, সেই বিন্দুতেই শেষ, প্রান্ত জীবনে মনে হচ্ছে জীবন কী অর্থহীনভাবে ছোট!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved