ঘরের মধ্যে ছবি আঁকা শেখানো যত, তার চেয়েও বেশি ছবি নিয়ে কথাবার্তা হত। আসলে ছবি আঁকার চেয়ে বড় কথা, এমনই একটা পরিবেশের মধ্যে উনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইতেন। কবিতা লিখতেন। ফোটোগ্রাফি করতেন খুব ভালো। ওঁর উর্দু কবিতার বইও এখান থেকেই ছাপা হয়েছিল, যার প্রচ্ছদ আমার।
মেয়েদের ঋতুকালীন, প্রাক্-ঋতুবন্ধ বা ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়া শরীরের মনে আলোর রেশটুকু এই ছবি দেখার শেষে রয়ে যায়।
গ্রামীণ মহিলাদের ব্যক্তিজীবনের গোপনীয়তা বেআব্রু করার হাতিয়ার হয়ে উঠছে লুকোনো ক্যামেরা। এ ভারি লজ্জার। না, এ লজ্জা কোনও মহিলার নয়, এ লজ্জা বিকৃত পুরুষতান্ত্রিকতার!
জীবনে উন্নতি করতে হলে মানুষকে ম্যাকিয়াভেলির পরামর্শ মতো চলতেই হবে, পড়তেই হবে শয়তান-শাস্ত্র ‘দ্য প্রিন্স’!
আসলে জটায়ু হলেন সেই চরিত্র, যাকে দিয়ে হয়তো পাল্প প্রভাবিত বাংলা ফিকশনের কিছু বাড়াবাড়ি অযুক্তি শুধরে নিতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ!
হজমের গোলমাল সারাতে বাঙালি পশ্চিমে ‘চেঞ্জে’ যেতে শুরু করল, কিন্তু নিজেদের দৌড় সীমাবদ্ধ রাখল নিজের রাজ্যের সীমারেখার ১০০ মাইলের মধ্যে। চেঞ্জারদের ভিড় দেখে মধুপুর, শিমূলতলা, ঘাটশিলার স্থানীয় মানুষ দুটো বাড়তি পয়সা রোজগার করার তাগিদে বাংলা শিখে নিল, তাতে বাঙালির হল পোয়াবারো!
দুটো দিকে ভারসাম্য রেখে চলা, একদিকে উকিল সন্তোষ দত্ত, আরেকজন জটায়ু অর্থাৎ ফিকশন লেখকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া– আমায় খুব অবাক করত। ভাবতাম, একটা মানুষের পক্ষে কী করে সম্ভব!
সংলাপ প্রক্ষেপণ কত সুদূরপ্রসারী হতে পারে, তা প্রমাণিত ওই জবানিতে। বড় মাপের অভিনেতা না হলে সংলাপ ‘কিংবদন্তি’র স্তরে পৌঁছতে পারে না। তিনি এ জিনিস অনায়াসেই করতে পেরেছেন।
রাসেল এক্সচেঞ্জে মূলত পিরিয়ড পিস রাখা হয়। অর্থাৎ, এমন জিনিস, যার বয়স অন্তত ১০০ বছর। সবসময় তা হবেই তার মানে নেই, তবে এইসব অ্যান্টিকের আলাদা গুরুত্ব। তা এত পুরনো জিনিসের মাঝে কি অভিশপ্ত কিছু থাকতে পারে না?
তবে সত্য চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভয়দার আরেকটা বইও খুব জনপ্রিয় হয়– শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘এক পাত্র সুধা’। এর মূল পরিকল্পনা সত্যবাবুরই, তিনিই শক্তিদার নানা বই থেকে কবিতা বেছেছিলেন। তবে অভয়দার অনুরোধে শক্তিদা সুনীলদাকে একটা চিঠি লিখে এ-বইয়ের সম্পাদনা করতে বললে সুনীলদা তাতে সাড়া দিয়ে সম্পাদকীয় তুল্য এক টুকরো গদ্য লিখে দেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved