মনে পড়ে, সেই নিকট আত্মীয়ের কথা যাঁর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে আমার ছোটবেলার একটি পুজো হাতছাড়া হয়। সেই আত্মীয় যখন মারা যান, আমি কলকাতার বাইরে। কয়েকদিন বাদে যখন আসি, তাঁর ঘরে ঢুকতে পারি না সাহস করে, অদ্ভুত আড়ষ্টতায়। ফাঁকা ঘর, মাঝখানে একটি চৌকি পড়ে আছে।
২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পেলেন কোরিয়ান সাহিত্যিক হান কাং। অস্তিত্বের অতীন্দ্রিয় অস্বস্তি ধরা পড়ে তাঁর লেখায়। উত্তরাধুনিক সমাজে আমাদের প্রত্যেকেরই বুকের ভিতর রক্তক্ষরণ চলছে অবিরত। আমরা চেপে যাচ্ছি রোজ। লোকলজ্জার ভয়ে, মানহানির ভয়, গড্ডলিকা প্রবাহের বিপরীতে একা হওয়ার ভয়ে। কাং সেসব টেনে খুলে ফেলেন।
এমন ঘটা করে প্রাদেশিক ভাষাগুলি ধ্রুপদী বলার পরের পদক্ষেপ কি তবে হতে চলেছে, সারা দেশে বাধ্যতামূলক হিন্দি শিক্ষা? এক দেশ, এক ভাষার ডাক?
জাতি হিসেবে বাঙালি নির্বাক ছিল না কখনও, তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির দিকচিহ্নগুলিকে আবারও নতুন করে ফিরে দেখা সম্ভব হবে, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীর তাবৎ সংস্কৃতি গবেষণার চিন্তন-ভূগোলে বাংলা ভাষা এবং বাঙালি সাংস্কৃতিক নতুনতর মাত্রা যোগ করবে– এ দাবি অহেতুক নয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved