১৭৫২ সালের এক ঝোড়ো বিকেল। ফিলাডেলফিয়ার আকাশে ঘন কালো মেঘ। ফ্র্যাঙ্কলিনের ঘুড়ি আকাশে উঠতেই বজ্র মেঘে ঘুড়ির লেজে বাঁধা ধাতুর চাবি হঠাৎ ঝলসে উঠল। উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন ফ্র্যাঙ্কলিন। সেদিন থেকে বিদ্যুৎ আর রহস্য নয়, বিজ্ঞানের হাতের শক্তি হয়ে উঠল।
বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রচ্ছদশিল্পীদের পারিশ্রমিক এবং সম্মানের বিষয়টি শুরু থেকেই খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। একটা সময় অবধি বইয়ে প্রচ্ছদশিল্পীর নাম ছাপার রেওয়াজটুকুও ছিল না। অথচ একটি বইয়ের সম্পূর্ণ মুদ্রণ সম্পন্ন হওয়ার পরেও, প্রচ্ছদশিল্পীর নাম বাদ পড়ায়, দেবেশ রায় চেয়েছিলেন, বাঁধাইয়ের আগে সেই ত্রুটিটুকু শুধরে নেওয়া হোক।
আগস্ট কবির কাছে একটি ‘মানসিক ঋতু’– বাস্তবের চেয়েও যার ঠাঁই বেশি কবিরই মনে, জীবনে, যাত্রায়। গ্রীষ্মের প্রাণবন্ত আলো হঠাৎই আগুন হয়ে, সংকেত বহন করে নারীজীবনের বিবিধ ক্ষয়ের, ছিন্নমূলতার, শূন্যতার। সে ‘উন্মাদনার’ ব্যাকরণ আত্মহত্যার রোমহর্ষক রি-টেলিং-কে অতিক্রম করে যাওয়া আগস্টেরও ব্যাকরণ।
পাঞ্জাব, বিহার, বাংলা ১৯৪৬-’৪৭ সালে খুনে লাল হয়ে ছিল। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোড়। দাঙ্গায় অবিরাম রক্তস্রোত আঁকলেন না কেন? যাঁরা এঁকেছেন, আগুন জ্বেলেছেন, রক্তের দিকটা ধুয়ে দিয়েছেন।
এখন খানিকটা বুঝতে পারি জীবনানন্দ দাশ কেন তাঁর মাতৃভাষায় ‘জল’ নামের একটি অতিব্যবহৃত শব্দের নিকট ও সুদূর অর্থ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন।
হরেকরকম নোট, স্কেচ, ছবির লোগো– যখন যা মাথায় আসছে, লিখে রাখতেন মানিকদা। কখনও শিল্পনির্দেশনা নিয়ে, কখনও-বা পোশাক। সেই ‘খেরোর খাতা’ হাতে পেলাম। দেখতে দেখতে ‘খেরোর খাতা’টাই আমার কাছে হয়ে উঠল আস্ত মানিকদা! থাকল রহস্যও। ‘আমি জানি না’ খেরোর খাতায় কেন ফিরে ফিরে আসে ধ্রুবপদের মতো?
ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিওর ভিডিওগুলো বিশ্বে এত জনপ্রিয় হল কারণ, এগুলো দেখাল– আইনের ভয়ংকর দুনিয়াতেও মানবিকতার জায়গা আছে। যেখানে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট বা কংগ্রেস অচলাবস্থায় আটকে থাকে, সেখানে প্রভিডেন্সের এক সাধারণ কোর্ট বিশ্বকে শিখিয়ে দেয় ন্যায়ের সহজতম পাঠ।
দৈনন্দিনতার জাঁতাকলে পিষে গিয়ে আমরা কি অন্তর্দৃষ্টি হারিয়ে ফেলছি? লুবলুর চোখে নতুন করে এই চেনা জগৎকেই দেখি এক অচেনা বর্ণ-গন্ধ-স্পর্শের ভিতরে! প্রশ্নগুলি কাহিনির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাশে চলতে থাকে।
প্রথম যুগের চাকুরিরতারা চিরাচরিত সাংসারিক নিয়ম নীতিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ছক ভেঙেছিলেন, একটু হলেও বাড়তি গুরুত্ব আদায় করেছিলেন ঘরে বাইরে। উত্তরকন্যাদের চৌকাঠ পেরনো মসৃণ হয়েছিল তাঁদের মা, দিদিমা, ঠাকুমাদের জন্য।
শুরু হল নতুন কলাম ‘বাতাসিয়া লুপ’। হাওয়া-বাতাস নিয়েই লেখার সিরিজ। হাওয়া, যা আমাদের স্পর্শ করে যাচ্ছে। ফলে যেখানে যেখানে হাওয়া, এই কলাম সে হাওয়ার পিছু পিছু যাবে। সেই হাওয়াকে চিনবে, জানবে, বুঝবে। বন্ধুত্ব কিংবা শত্রুতা কিংবা শত্রুবন্ধুতা– কিছু একটা পাকাবে। আপাতত, হাওয়া দিচ্ছে গড়ের মাঠে। চাইলে আসুন। হাওয়া, স্পর্শ করুন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved