কানাইনাটশাল শক্তিদার প্রিয় বাংলো। নিচের বাগানে ময়ূর, হরিণ, অজস্র গাছগাছালি। সকালে জলখাবার খেয়ে শক্তিদা দরজা বন্ধ করলেন, এক ঘণ্টা পর বারন্দায় তাঁর গমগম কণ্ঠে শুনলাম, ‘গ্রহণ করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে/ চুম্বন করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে’।
এক অসম্ভব সারল্যময় মেজাজের অধিকারী ছিলেন। যাঁকে বকতেন, তাঁকেই আবার বুকে জড়িয়ে ধরতেন। বাবা, শক্তিকাকা এবং জেঠু (লেখক সুরজিৎ বসু) যখন প্রবল বর্ষায় জলপাইগুড়িতে সারারাত গান গাইতেন তখন চারপাশ আলোড়িত হয়ে উঠত তাঁদের কণ্ঠস্বর রাতগুলো মিশে যেত আবেগের স্রোতে।
যে বাড়ি না ফিরে, ক্ষণে ক্ষণে বন্ধুর বাড়ি চলে যায়, তার কি একা থাকা মানায়? সে অন্তত দু’জনে, যুগলবন্দি।
দেখা হয়েছিল হরিণখোলাতে মেঘলাদিনে সবুজ পাটের খেতে, আজ থেকে অর্ধ-শতাধিক বছর আগে। অদ্ভুত সে দেখা। উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেমন হচ্ছে তোমাদের আউটডোরের কাজকর্ম? বলেছিলাম, খুব একটা ভালো না।
মানুষকে ভালোবাসবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল শক্তিদার। তাঁর আবদার ফেলবার কথা আমি ভাবতেও পারতাম না।
মোমবাতির নিভু নিভু শিখায় বড় ফ্রেমের চশমার সেই মানুষটিকে প্রথমবার দেখা। নাম– শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
এখানেই মহীনের ঘোড়াগুলির তাদের গান ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। এবং শেষে ডানা মেলে পক্ষীরাজ হয়ে সুরের আকাশে উড়ে গিয়েছিল।
২৫ বৈশাখের সময় যেমন অনেক সময়েই সঞ্চালক হিসেবে থেকেছি স্টুডিও-তে, কখনও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কখনও রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠান দেখানোর ফাঁকে ফাঁকে বলেছি রবীন্দ্রনাথের কথা, পড়েছি তাঁর রচনা থেকে, ঠিক সেই ‘গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড’ পদ্ধতিতে পুজোর বৈঠক সম্প্রচারিত হত।
পদ্য লেখার পর সমস্ত কায়িক শক্তি নিংড়ে দিয়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তির মড়া হয়ে মাথা এলিয়ে দেন অকাতরে লেখার টেবিলেই। আজ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন।
তরুণ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর খুপরি ঘরে পাংশু লেখার টেবিলে কবিতাটি শেষ করে কলম বন্ধ করে। আপাতত খুব বেশি কি কিছু লেখার আছে তার? আর হয়তো না লিখলেও চলে, মনে হয় অনীশ কবির।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved