Robbar

Theatre

স্বল্প আঁচড়ে গভীর দাগ কাটায় বিশ্বাস করতেন রমাপ্রসাদ বণিক

শুধুই দুর্বোধ্য বিষয় নয়, স্বল্প আঁচড়ে গভীর দাগ কাটাই স্রষ্টার কাজ। আবার বিষয়ের মধ্যে নাটকীয় ঘাত-প্রতিঘাত থাকাও বাঞ্ছনীয়। রমাপ্রসাদ বণিক সাধারণ বুদ্ধি-সম্পন্ন মানুষের জন্য নাটক নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, যেখানে রয়েছে বিষয়ের গভীরতা ও সত্যের অন্বেষণ।

→

কিছু মায়া রয়ে গেল

পূর্ব-পশ্চিম নাট্যদলের প্রযোজনায় ‘আ-শক্তি’র প্রথম শো হয়ে গেল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। এই ধরনের নাটক দেখতে গিয়ে একটা আশঙ্কা মনে কাজ করে। আমরা যারা শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে আমাদের শহরের এখানে-ওখানে দাপটে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, যারা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মুগ্ধ ভক্ত হিসেবে প্রতিটি লাইন পড়েছি তাঁর রচনার, যারা ক্যাসেটে তাঁর স্বকণ্ঠে কবিতাপাঠ শুনেছি বারবার, তাদের সেই রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা কোথাও ধাক্কা খাবে না তো?

→

শেষ বলে কিছু নেই…

থিয়েটারে অঞ্জন দত্তের কামব্যাক ও সেরা ‘ফর্মে’ থাকতে থাকতে অবসরগ্রহণ অন্তত মানুষটাকে নতুন ভাবে আবিষ্কারের প্রবণতা জাগিয়ে তুলেছে। সেই জাগরণের মাধ্যম হতে পারে 'থিয়েটার নিয়ে অঞ্জন'। গ্রন্থের আকার বড় নয়, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়। কিন্তু মাদকতা থেকে যায়।

→

নাটকের তৃপ্তি, মানুষের মিত্র

তৃপ্তি মিত্রের কর্মজীবনের শুরু সহৃদয়তায়। মন দিয়ে দেখলে বোঝা যায়, শেষ-ও সেই সহৃদয়তাতেই। ক্ষণিকের জন্য অনুভূত হলেও সেই সম্মিলিত সহৃদয়তার রেশ দীর্ঘমেয়াদি– তার রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রভাব তীব্র। এই শাস্ত্রীয় কট্টরপন্থার যুগে, তাঁর কর্মজীবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে, যদি আমরা শিখি সহৃদয়তার সংজ্ঞায়ন অন্যভাবে করতে, তাতে থিয়েটারের রাজনীতির লাভ বই, ক্ষতি নেই।

→

যে অমল দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে থিয়েটারের ডাকহরকরা হয়ে

অজিতেশ– এই বাংলায় সর্বক্ষণের নাট্যকর্মীদের চেয়েছেন। বাদল সরকার বলেছেন– দারিদ্রের থিয়েটারের কথা অথবা থিয়েটারের দারিদ্র প্রসঙ্গে– কিন্তু কেউ-ই, গুরু রতনের মতো আমাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারেননি।

→

অন্ধকারে অল্প আলোর মায়া, ফুরয় না কোনওদিন!

ঘুটঘুট্টি অন্ধকারে নিজের হাতে ধরা টর্চের মতো আলো যখন মঞ্চে কুশীলবরা নিজেরই মুখে ফেলে নাটক করে, তখন তাদের আমি আলেয়ার দল ভাবি। রাতের মাঠে হঠাৎ দেখা দেওয়া নীলচে আলো মানুষকে এখনও থমকে দেয়, শিহরিত করে।

→

দ্বন্দ্ব, সিদ্ধান্তহীনতার জন্য পুতুলনাচের ‘শশী’র সঙ্গে নিবিড়তা অনুভব করেছি চিরকাল

১৫ বছর আগে, ‘হারবার্ট’ করার পর থেকেই ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে ছিল পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের। একাধিকবার চেষ্টা করেছেন; বদলে গেছে প্রযোজক, কলাকুশলী। অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।

→

মানুষের আনন্দ, কষ্ট বা বিপন্নতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি রতন থিয়ামের থিয়েটার

থিয়েটারকে আমরা জেনে এসেছি সর্বশিল্পের সমন্বয় বলে। রতন থিয়াম ছিলেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কী জানতেন না তিনি? আধুনিক কালে বিদেশের যেসব বিদেশি নাট্য প্রযোজকের নাম আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করি, তাঁদের দলে এই মণিপুরী মানুষটিও পড়েন– একথা ভেবে বুক আনন্দে, গর্বে, ভরে ওঠে।

→

রতন থিয়ামের নাট্যকেন্দ্র আসলে এক যৌথখামার, গানের ও নাটকের শিকড়ের মানুষদের তিনি একত্র করেছিলেন

রতন থিয়ামকে প্রথম দেখেছিলাম ‘নান্দীকার’-এর জাতীয় উৎসবে। যখন আমরা ‘হয়ে উঠছি’, আমাদের যৌবনে, তখন জাতীয় নাট্যোৎসবে জব্বর প্যাটেল, বিজয় মেহ্‌তা– সব ধরনের পরিচালকের কাজ দেখেছি। কিন্তু রতন থিয়ামের কাজ দেখে একেবারে ‘থ’ মেরে গিয়েছিলাম।

→

শুধুমাত্র সাহিত্য পড়ে আর সিনেমা দেখে স্পষ্ট রাজনৈতিক বোধ তৈরি হয় না

বন্ধুরা তাঁকে বলতেন, ‘রঙ্গিন মিজাজ ফকির’। সেই আদতে উদাসী, অথচ বহিরঙ্গে সদা-হাস্যময় মিশুকে যুবক অকালমৃত সফদর হাশমির স্ত্রী ও নাট্যকর্মী মলয়শ্রী হাশমির সঙ্গে সুদীর্ঘ আড্ডায় বসেছিলেন উদয়ন ঘোষচৌধুরি ও অম্বরীশ রায়চৌধুরী। উঠে এল ছোটবেলা, রাজনীতির একাল-সেকাল, ঋত্বিক ঘটক, উৎপল দত্ত, ‘জনম’-এর কাজকর্ম, সফদরকে হত্যার কারণ ইত্যাদি নানা কথা। আজ সফদরের ৭১-তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার.ইন-এর বিশেষ নিবেদন সেই সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব।

→