Robbar

তর্পণ

মনোজ মিত্রর সমগ্রের চেতনা আমাদের বারান্দার পাখিদর্শন থেকে

তপন সিংহর ‘আদালত ও একটি মেয়ে’ ছবির জন্য বেলগাছিয়ার মাঠে দৌড় প্র্যাকটিস শুরু করলেন আমার বাবা মনোজ মিত্র ৷ সময় বাছলেন ঠিক ভোর সাড়ে চারটে।

→

মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে: আমার মা সন্‌জীদা খাতুন

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।

→

সৎ প্রকাশক কম, বেশিরভাগই আলুপটলের কারবারি, বলেছিলেন প্রফুল্ল রায়!

‘‘আপনার নিজস্ব কোনও চারচাকা বাহন নেই কেন প্রফুল্লদা? এতগুলো বই, রমরম করে লোকে কিনছে। ‘এখানে পিঞ্জর’– কতগুলো সংস্করণ হয়ে গেল।’’ প্রফুল্লদা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘ওরা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগই মেরে দেয় টাকা। উল্টোপাল্টা যা হোক হিসেব দেয়। মেরে কেটে গোটা তিনেক পাবলিশার অনেস্ট, বাকিরা সব আলু-পটলের কারবারি।’’

→

যে অমল দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে থিয়েটারের ডাকহরকরা হয়ে

অজিতেশ– এই বাংলায় সর্বক্ষণের নাট্যকর্মীদের চেয়েছেন। বাদল সরকার বলেছেন– দারিদ্রের থিয়েটারের কথা অথবা থিয়েটারের দারিদ্র প্রসঙ্গে– কিন্তু কেউ-ই, গুরু রতনের মতো আমাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারেননি।

→

যখনই ‘আমি বাংলায় গান গাই’ কোরাসে গাওয়া হবে, ফের জন্ম নেবেন প্রতুলদা

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছিলেন একক ছিলেন না। ছিলেন জনতার কণ্ঠস্বর, ইতিহাসের সাক্ষী, বিদ্রোহের ঢাক, প্রেমের ফিসফিস। তাঁর গান আজও বাঁচিয়ে রেখেছে হাজার মানুষের ভেতরের আলো।

→

শাসকের বন্দুকের সামনে যে বিপ্লবের বুক পেতেছিল

স্বার্থহীন আত্মদানে মানুষ যেখানে উজ্জ্বল সেখানেই প্রকৃত তর্পণ।

→

রণেন আয়ান দত্তের ‘তুলি’ কোনও সমঝোতা স্বীকার করেনি কখনও

রণেন আয়ান দত্তের কাজের কোনও সংগ্রহশালা শুধু তাঁর কাজ সংরক্ষণের জন্য নয়, প্রচারের অভাবে একটা বিরাট সময় জুড়ে, এই ‘অনন্য খনি’ থেকে হয়তো বঞ্চিত হয়ে রয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তা উন্মোচিত হোক পরবর্তী শিল্পী-প্রজন্মের কাছে।

→

এক গভীর রাতে সমুদ্রতীরে বসে রাজনীতিতে আসার সংকল্প নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে যে মন্ত্রিত্বই তাঁর হাতে থাক, বুদ্ধদেব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে অতি নির্ভরযোগ্য এক সেনাপতির মতো। ‘আপনারা বুদ্ধর কাছে যান, বুদ্ধ ওসব কালচার-ফালচার বোঝে’– জ্যোতিবাবুর এই উক্তি যথার্থ কি না জানি না, কিন্তু কথাটা মিথ্যে ছিল না।

→

হাওয়া, রোদ্দুর ও তারার আলোয় ভেসে যেতে পারত দেবারতি মিত্রর মন

‘তর্পণ’ সিরিজের প্রথম লেখা দেবারতি মিত্রকে নিয়ে। লিখছেন অরণি বসু।

→