যদ্দিন না সমস্ত শিশুকে খাদ্যসুরক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে, তদ্দিন মধ্যবিত্তের আদরের দুলালরাও যে নিরাপদ নয়, তা মেনে নিতে হবে।
খেতে না দেওয়ার এই মডেলটাই সর্বত্র জনপ্রিয়– এমন একটি নিয়ন্ত্রণের ধাঁচা, যা বাঙালির অন্দরমহল থেকে গাজা অবধি এক। খেতে না দিয়ে শরীরের ওপর একছত্র আধিপত্য কায়েম করো, তারপর মনের ওপর দখলদারি সময়ের অপেক্ষা।
গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।
প্রায় তেল ছাড়া চুনো মৌরলা লাউপাতায় মুড়ে ভাজাপোড়া নিভু উনুনের আঁচে বসিয়ে চচ্চড়ি রান্নার তরিকাটির সঙ্গে পঞ্চাশ তেল কেনার সামর্থ, টালির চালে লাউডগা লতিয়ে ওঠা এবং আঁচের শেষটুকুতে ‘যেটুকু যা হয়’ জড়িত, অন্য কোনও ‘ঐতিহ্য’ নয়।
কী একটা অমোঘ টান বাকিদের মুছে দিয়েছে বরাবর– অমন শান্ত চোখে অতখানি আগুন আর কোনও বাঙালি অভিনেত্রীর ছিল না।
শাহরুখকে তো বটেই, সিমরনকেও যে কোনও সময় আত্মমর্যাদা বা পারিবারিক সম্মানরক্ষার দোহাই দিয়ে বা না দিয়েই খুন করতে পারে– দর্শকের একাংশ কেঁদে ভাসালেও তারা যে তেমনটাই চেয়েছিল একথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মহেশ ভাট কি উদাসকে বেছে নেওয়ার সময় বাড়তি ভেবেছিলেন? নাকি ’৮৬-তে সেসব ভাবনার অবকাশ বা দরকারই ছিল না!
লোকে বলে বগলামুখী হাইস্কুলের বাংলার দিদিমণি প্রতিভাদির বাড়িতেই নাকি গোটা সময়টা লুকিয়েছিল– আর সেই অবসরেই প্রেম।
এয়ারপোর্ট মোড়ের ধারে একবার রেললাইন পেরনোর সময় রেলগেট ফেলা দেখে রুলি সেটিকে তুলে ধরে তলা দিয়ে গলে যাওয়ার বদলে সামনের দিকে ঠেলে সরিয়ে পথ করে নেয়।
সকালে যে-বাড়িতে ঘুম ভাঙে, সে-বাড়িতে পয়লা কাপ চা এবং খবরের কাগজটি আদ্যপান্ত পড়া হলে পর পর বাংলা-ইংরিজি-হিন্দি-উর্দু সব রকমের সংবাদ রেডিওয় একটানা শোনা চাই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved