কেবল সাচ্চা প্রেম যদি হয় সে গায়ের আসল গন্ধের টানেই আসবে। সেইদিনের অপেক্ষায় থাকো।
রাত আরও বাড়লে চাদর মুড়ি দিয়ে অন্য দু’-একটা জানলার নীচে ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করে প্রেম। যার বেশিরভাগই ভবিষ্যতে বিবাহসূত্রে পাড়াছাড়া।
মনে পড়ে, সেই নিকট আত্মীয়ের কথা যাঁর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে আমার ছোটবেলার একটি পুজো হাতছাড়া হয়। সেই আত্মীয় যখন মারা যান, আমি কলকাতার বাইরে। কয়েকদিন বাদে যখন আসি, তাঁর ঘরে ঢুকতে পারি না সাহস করে, অদ্ভুত আড়ষ্টতায়। ফাঁকা ঘর, মাঝখানে একটি চৌকি পড়ে আছে।
নাছোড়বান্দা পা টেনে যখন নিজের দেশে এলাম, মনে হল কী যেন ছেড়ে এসেছি। নাকি ছিঁড়ে এসেছি?
লোডশেডিং মানে একবুক কিশোর প্রার্থনাও, পাড়ার নতুন বউদি যেন ‘জন অরণ্য’-এর লিলি চক্রবর্তী হন।
দোতলার জানলায় যে অনন্ত রাগ পুষে রাখা ছিল, তা যে এইভাবে উপচে পড়বে গরম পিচের মতো, ভাঙাচোরা রাস্তায়, তা কেউ ভাবতে পারেনি!
মনে হল, এই রং গায়ে না মাখলে মানুষ হব না। তাই হলদেটে পাঞ্জাবি, নিচে ক্ল্যাসিকাল ধুতি।
পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাবা-রা প্রাধান্য পাবেন, সেটা স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়ে বড় হতে থাকি।
প্রাপ্তবয়স্ক ‘পুরুষ’ মানেই যে রবীন্দ্রনাথের মতো দাড়ি গজাবে বা আশু মুখুজ্জের মতো তাগড়াই গোঁফ হবে, তা তো নয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved