জীবনের বাকি শাখা-প্রশাখা থেকে বাদুড়ের মতো ঝুলতে দেখা যায়, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘তঞ্চক’ নামের নানা কুটিল শব্দবন্ধকে। যারা উদর নয়, হৃদয়কে তাক করে। বারবার। যন্ত্রণার ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে বুকের বাঁ দিকটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে থাকে সুযোগ পেলে।
 
জোট আছে বলেই ঘোঁট আছে। আছে ভোটের রঙ্গ। তার টানেই বিদগ্ধরা পতঙ্গবহ্নি হয়ে ছোটে। ছুটে গিয়ে আগুনে পুড়ে মুখ কালো করে। ইতিহাস তার এলেম না বুঝুক, তাতে বয়েই গেল। আমপাবলিকের মন-মজলেই হবে।
 
উত্তর না দক্ষিণ কলকাতা, দুর্গাপুজোয় কাদের পাল্লা ভারী? বিসর্জনে পৌঁছে একটু মায়াবী হিসেবনিকেশ।
 
পাশের মানুষটিকে নিজের গ্রাসে টেনে নিয়ে তাকে গৌণ করে দেওয়া। এই যে একক মুখ্য মানুষ, সে কি আদতে রক্তকরবীর রাজার মতো ক্ষমতাবান তথাপি নিঃসঙ্গ নয়?
 
যে সাংবাদিকের হাতে এক্সক্লুসিভ যত বেশি, তিনি তত বড়। সেই হিসেবে এক্সক্লুসিভই সাংবাদিকতার ডিগ্রি।
 
পরিবার হোক বা রাজনীতি, শাসন আর সোহাগ খুব দূরে-দূরে থাকে না। থাকে পিঠোপিঠি।
 
কাজেই পাঁক লেগে যাওয়াটাই যে স্বাভাবিক, এটা বুঝতে এবং মেনে নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই বুঝি পাঁকাল হওয়ার জন্য এত আয়াস।
 
দেখা এবং না-দেখা। দুই-ই পাশাপাশি। আমাদের জীবনের ঘোরতর বাস্তব, ওপেন সিক্রেট-ও।
 
যেখানেই দেখা হয় সেখানে বসের ভয়। এই বস এক আজব চিজ! সে যে কী করে সর্বভূতে বিরাজমান হয়, তার ঠিক নেই।
 
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved
