২৯ জুলাই। ১৯১১। তারপর পেরোল ১১৪ বছর। কত জয়-পরাজয়। কত খেতাব। কত দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় এল-গেল। ফুটবল রইল। আর রইল অমর একাদশ। এখন মোহনবাগান দিবস। একটা জনপ্রিয় রাস্তার নাম হয়েছে শিবদাস ভাদুড়ী স্ট্রিট। আসলে শিবদাস মানেই যে পথ। বিপ্লবের। মুক্তির।
রেকর্ডবুকের আগ্রাসনের ভিড়ে, তারকা-মহাতারকাদের একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার ভিড়ে উইয়ান মুল্ডার নেহাতই সেই ওসমান গনি– চিলেকোঠার সেপাই– লড়ে যাওয়া দুর্বল বিরুদ্ধস্রোত।
ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।
বিদায় স্মিভ স্মিথ। আপনি চ্যাম্পিয়ন থেকে গেলেন আত্মবিশ্বাসে। লেগস্পিনার হিসেবে ক্রিকেটীয় দুনিয়ায় এসে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের তালিকায় আপনার নাম থেকে গেল। একজন লেগস্পিনার থেকে অসামান্য এক ব্যাটার হয়ে ওঠাও একটা অপূর্ব লেগস্পিনর সঙ্গে তুলনীয়, যা আপনি জীবনের সঙ্গে করলেন।
বেঞ্চের কাঠ বেচলে মানিটারি বেনেফিট আছে, হেরিটেজ সাইটের পাথর কিংবা ব্রিটিশ আমলের ল্যাম্পপোস্ট বেচলে মাস দুয়েক চালিয়ে নেওয়া যায়, ভালোবাসলে কি আর পেট ভরে?
মাঝে মধ্যে ঘুড়ির সুতো ছেড়ে কেবল লাটাইয়ের টানেই ব্যালেন্স করে ওড়ানো হয় ঘুড়িখানা। রাহুল দ্রাবিড়ও সে ছেড়ে খেলার লোক।
খেলা ও রাজনীতির শিকড় যদি মাটির গভীরে কোথাও গিঁট বাঁধা হয়ে থাকেই তবে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের অলিম্পিক মঞ্চে করমর্দন প্রত্যাহারও তো একপ্রকার রাজনৈতিক স্টান্স– যা নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আছে ক্রীড়া প্রশাসকের।
আমাদের দেশের ফুটবল সংস্কৃতি উন্নত ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য যথেষ্টই ছিল না কোনও দিন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved