Robbar

প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন

খবর পেলাম ননীদা কলকাতায় এসেছেন ছুটিতে। উঠেছেন বিবেকানন্দ রোডে দিদির বাড়িতে। জনৈক বন্ধুর মুখে শুনলাম, ননীদা নাকি আমাকে খুঁজছেন।

→

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী

এসব জনশ্রুতি ছাপার অক্ষরে যত কম প্রচারিত হয়, ততই ভালো নয় কি?

→

লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর

উনি আমাকে একাডেমির যে কোনও অনুষ্ঠানে যে কোনও দিন প্রবেশের একটা ছাড়পত্র লিখে দিয়েছিলেন। আমি সেটা কোনও দিনই কাজে লাগাইনি। তাতে তিনি ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন।

→

একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে

সুভাষদার ৫৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁর জন্মদিন আমরা পালন করেছিলাম মস্কোয়, ননী ভৌমিকের বাড়িতে।

→

মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!

ভাষা ছাড়াই বা অল্প ভাষায় ভাব বিনিময়ের অসাধারণ ক্ষমতা ছিল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের।

→

রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ

আমাদের মধ্যে যাঁরা রুশ ভাষা জানতেন, তাঁদের কেউ কেউ বরং উল্টে রুশি সহকর্মীদের বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য কিছু পাঠ দিতেন।

→

মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়

অনুবাদের সূত্রেই ননী ভৌমিকের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল আত্মিক যোগ।

→

যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক

মস্কোয় ছোট বড় যে কোনও বাঙালির কাছে, এমনকী বাংলা ভাষাবিদ রুশিদের কাছেও তিনি ছিলেন ‘ননীদা’।

→