হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।
চা-এর সঙ্গে ‘টা’ না-হলে বাঙালির চলে না। সেই ‘টা’ কখনও বিস্কুট, কখনও বাপুজী কেক। কখনও আবার স্রেফ পাউরুটি থেকে এক গাল মুড়ি। চা খেতে খেতে আড্ডা, রাজা-উজির মারা বাঙালির চিরকেলে অভ্যাস। চায়ের গেলাসে প্রথম চুমুকে বিপ্লবের শুরু, শেষ চুমুকে বিপ্লব অস্তমিত। মাঝেমাঝে যখন চায়ের আরেক রাউন্ড এসে যায় তখন বিপ্লব দীর্ঘজীবী হয়।
ফ্যান কোনও দিন ২০° ঘুরল, তো পরের দিন ৩০°, তার পরের দিন ৪৫°, তার পরের দিন আবার ঘুরলই না। এই ফ্যানের মর্জি শুধু ঠাকুরমা জানতেন, আর সেই অনুযায়ী ফ্যানের সামনে মাদুর পেতে বারান্দায় শুতেন।
বর্ষশেষ হোক বা বর্ষ শুরু, ইংরেজি বা বাংলা, ঘরে বসেই এখন ফায়ার স্টিকে সিনেমা দেখতে দেখতে পরিবারের সবাই মিলে মৌতাত করা যায়– গিন্নি কাদা চিংড়ির বড়া আর স্যালাড রাখে সামনে আর পোর্ট ওয়াইনে চুমুক দেয়, কর্তা হুইস্কিতে আর সন্তান ব্রিজারে।
হজমের গোলমাল সারাতে বাঙালি পশ্চিমে ‘চেঞ্জে’ যেতে শুরু করল, কিন্তু নিজেদের দৌড় সীমাবদ্ধ রাখল নিজের রাজ্যের সীমারেখার ১০০ মাইলের মধ্যে। চেঞ্জারদের ভিড় দেখে মধুপুর, শিমূলতলা, ঘাটশিলার স্থানীয় মানুষ দুটো বাড়তি পয়সা রোজগার করার তাগিদে বাংলা শিখে নিল, তাতে বাঙালির হল পোয়াবারো!
অনেকেই জানে না এই মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান শুরুতে মহালয়ার দিনের অনুষ্ঠান ছিল না।
ঢাকার ইলিশের নাম শুনলে অনেকে এখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, কিন্তু যাঁরা প্রকৃত ইলিশ-প্রেমী, তাঁরা জানেন ওপার বাংলার সেরা ইলিশ ঢাকার পদ্মায় পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় যেখানে পদ্মা মেঘনায় মিশেছে, সেই চাঁদপুরে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved