নিজের শরীরকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন জ্ঞানদানন্দিনী।
জ্যোতির মুখে ‘মেজবউঠাকরুণ’ ডাকে সেই টান ক্রমশ অনুভব করেছে জ্ঞানদা, যে-টানে কেমন যেন ভালোবাসার সঙ্গে মিশে আছে ভয়, ক্রমশ মনে হচ্ছে জ্ঞানদার।
জ্ঞানদা কি সন্দেহ করছেন সত্যেন্দ্রকে?
এত রাত্রে অপরিচিত পুরুষমানুষকে ঘরে ঢুকতে দেখে জ্ঞানদা চিৎকার করে উঠলেও, মনোমোহনের আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না।
বারবার বলছি বটে, সত্যেন্দ্রনাথ দেবেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় সন্তান এবং সেই সুবাদে জ্ঞানদানন্দিনী মেজবউঠাকরুণ, আসলে কিন্তু সত্যেন্দ্র সারদা ও দেবেন্দ্রর তৃতীয় সন্তান।
অসুস্থ হলে মা-র আদর-যত্ন, ওষুধ খাওয়ানো, পথ্য তৈরি করা, গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুমপাড়ানি গান, কোথায় সেসব?
জ্ঞানদাকে ‘শকুন্তলা’ পড়ে শোনাচ্ছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ নাটকে হ্যামলেটের হাতে ‘ড্যাগার’ বা ছুরির প্রতীকী, সংকেতময় ব্যবহার– তা কি কখনও ভোলা যায়? এই ছুরি হ্যামলেটের বুদ্ধিমত্তার, ইন্টেলেক্টের, এবং জীবনযুদ্ধের সংকেত বহন করছে।
জ্ঞানদার পায়ের নীচে মাটি শক্ত করতে বিলেত থেকে ফিরে আসছে তার আই.সি.এস স্বামী।
জ্ঞানদানন্দিনী চিঠিতে লিখতে চায়, তোমাদের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে বউয়ের ‘ছেলে’ না হলে আদর হয় না। আর বাঁজা বউকে তো ঘেন্নাই করা হয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved