Robbar

অদক্ষ হলেও চলবে, কিন্তু মেয়েলি বৈশিষ্ট্য না থাকলে চাকরি পাওয়া ছিল দুষ্কর!

টাইপিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের  একচেটিয়া ছিল টেলিফোন অপারেটরের কাজ। শুধু কলকাতা শহরে নয়, বিশ্ব জুড়েই এই কাজের জন্য মেয়েদের বিশেষ ভাবে উপযোগী মনে করা হত। এর নেপথ্যেও ওই একই যুক্তি– মেয়েদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি।

→

শৌচাগার নেই, এই অজুহাতে মেয়েদের চাকরি দেয়নি বহু সংস্থা

আনন্দবাজারে শিক্ষানবিশ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আনন্দবাজারের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঘোষ একরকম রুক্ষ ব্যবহারই করেন আলপনার সঙ্গে। বলেন কাগজের দপ্তরে মেয়েদের বাথরুম নেই, তাই মেয়েদের নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে হবে এই স্বাভাবিক কথাটা তাঁর মনে হয়নি, কারণ তাঁর তীব্র পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।

→

অফিসে মেয়েদের সখ্যকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নিছক পরনিন্দা-পরচর্চার ক্ষেত্র মনে করেছিল

দেশভাগে বিধ্বস্ত এই মেয়েরা সংসারের নানা টানাপোড়েন সামলে যখন ‘স্ত্রীভূমিকাবর্জিত’ কর্মক্ষেত্রে প্রথম ঢুকলেন, তখন তাঁদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বই হয়ে উঠল বিরাট ভরসার জায়গা।

→

পুরুষ সহকর্মীদের ‘বন্ধু’ ভাবতে অস্বস্তি হত পাঁচ ও ছয়ের দশকের চাকুরিরতাদের

‘আগলে রাখা’, ‘স্নেহ করা’, ‘ভাই-বোনের মতো’, এই শব্দবন্ধগুলো বারবার উঠে এসেছে সে যুগের চাকুরিরতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায়। সমানে-সমানে নিছক বন্ধুত্ব বোধহয় ভাবতে বা বলতে অস্বস্তি হত অনেক মেয়েরই। পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে নারী-পুরুষ সম্পর্ককে ফেলতে পারলে স্বস্তি পেতেন তাঁরা।

→

ট্রামের স্বস্তি না বাসের গতি, মেয়েদের কোন যান ছিল পছন্দসই?

ট্রামের স্বস্তি বনাম বাসের গতি– একেকজন মহিলার কাছে স্বভাবতই একেকদিকের পাল্লা ভারী ছিল।  কে কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছেন, কখন যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন– এসবও ঠিক করে দিত তাঁরা ট্রামে যাবেন না বাসে

→

অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শই শুধু নয়, চৌকাঠ পেরনো মেয়েরা পেয়েছিল বন্ধুত্বের আশাতীত নৈকট্যও

মনে পড়ে যায়, নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘কাঠগোলাপ’ গল্পের অণিমাকে। পূর্ব বাংলার গ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অণিমার কলকাতা দেখে অপার বিস্ময়। আর ট্রাম-বাসে চড়া তাঁর কাছে কলকাতাকে উপভোগ করা। স্বামী যখন এই শখকে পয়সা নষ্ট বলে, অণিমা জবাব দেয়– “মাঝে মাঝে ট্রাম-বাসে না উঠলে শহরে আছি বলে মনেই হয় না।“

→

লীলা মজুমদারও লেডিজ সিট তুলে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন!

আমার মনে হয় মেয়েদের মাসল-এ কম জোর থাকতে পারে, ভারী বোঝা হয় ত’ তুলতে পারে না, কিন্তু সহ্য করার বা কাজ করার ক্ষমতা বিন্দুমাত্র কম নয়, বরং বেশিই। কাজেই কেন তাঁরা দাঁড়াবে না? লিখেছিলেন লীলা মজুমদার।

→

অল্পবয়সি উদ্বাস্তু মহিলারা দেহব্যবসায় নেমে কলোনির নাম ডোবাচ্ছে, বলতেন উদ্বাস্তু যুবকরা

মণিকুন্তলা সেন হোটেলের ক্যাবারেগার্লদের কথাও বলেছেন, ‘এদেরই উপার্জনে হয়তো পিতৃ-পরিবার বা স্বামীর সংসার বাঁচে। কিন্তু এসবের মধ্যে এখন আর কেউ অন্যায় বা অসামাজিক কিছু দেখে না। বরং আমোদ-প্রমোদের অনিবার্য অঙ্গ হিসাবেই এগুলো স্বীকৃত।’

→

মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবির মিঠুর মতো অনেকে উদ্বাস্তু মেয়েই চাকরি পেয়েছিল দুধের ডিপোতে

দুধের ডিপোয় অনেক উদ্বাস্তু মেয়ের কাজ মিলেছিল। কলকাতা শিল্পাঞ্চলে ১৯৫১ সালে ভোজ্য তেল এবং দুগ্ধজাত খাদ্যের ব্যবসায় কাজ করতেন ৫২৫ জন মেয়ে।

→

প্রথম মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীর চাকরির শতবর্ষে ব্যাঙ্কের শ্রমবিভাজন কি বদলে গিয়েছে?

প্রথম প্রথম ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে ব্যবহারে গ্রাহকদের যেন অস্বস্তি ছিল কিছুটা। ঠিক যেন ভরসা করতে পারতেন না তাঁরা ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীদের।

→