ক্যাটালগে মুদ্রিত ২৬২টা রবীন্দ্রছবির নাম দেখতে গিয়ে প্রায় চমকে উঠতে হয়! এমন শিরোনাম রবি ঠাকুরের কলম থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভবের শামিল!
১০০ বছর আগে রবিঠাকুরের ৫০০টা ছবির দাম একলক্ষ টাকা হলে প্রতি ছবির মূল্য গড়ে দাঁড়ায় দুশো টাকা। আর আজ ‘বিশ্ববাজারে’ রবীন্দ্রনাথের ছবি হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া।
কেমন সে ছবি, যা সংগ্রহ করার জন্যে ব্যাকুল হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ? যার জন্য আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে খরচ করেছেন ১৫০০ টাকা?
আধুনিক আর্টের প্রায় সবক’টি রাস্তায় ছবি ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন সুস্পষ্ট ছাপ রেখে গিয়েছে।
সাহিত্যের মধ্যে অকারণ ছবি এনে চোখ ভোলানো ছেলেমানুষি পছন্দ করতেন না রবিঠাকুর।
‘মহুয়া’র প্রচ্ছদের নেপথ্যে নন্দলালের আঁকা সহজ পাঠের ছবি রবীন্দ্রনাথকে নিশ্চয়ই প্রাণিত করেছিল। সহজ পাঠের আগে আমরা দেখেছি, ১৯২২ সালের শেষে আন্দ্রে কারপেলেস প্যারিস থেকে এনেছিলেন একগুচ্ছ কাঠখোদাই। এমনকী, বিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ যে কয়েকবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন, সেখানে জার্মানিতে ও ফ্রান্সে তাঁর রীতিমত চেনাজানা ঘটেছিল কাঠখোদাই মাধ্যমটির সঙ্গে।
হাটসেরান্দি পটের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। দেবী এখানে সারাবছর ধরে পূজিতা। পরের বছর নতুন পট এঁকে পুজো সারা হলে সেই পুরনো পটখানা ভাসান দেওয়ার প্রাচীন রীতি চলে আসছে আজও।
রবি ঠাকুরের ফুলের ছবির দিকে এক নজর তাকালে বোঝা যায় ইম্প্রেশনিস্ট শৈলীর তুলির আঁচড়ে আঁকা হয়েছে সেসব ছবি। ঘন অন্ধকারে পটে আলোকিত ফুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি।
রবি ঠাকুরের তারিখযুক্ত শেষ ছবি বোধহয় ১৯ জুন ১৯৪১, ছবিতে কোনও মন্তব্য ছিল না।
শিল্পীচিত্তের তাড়না মাঝে মাঝে এত জোরালো হয়ে উঠেছে যে, রং শুকোনোর তর সইতে পারতেন না। দ্রুত শুকোনোর জন্যে রঙের মধ্যে স্পিরিট ঢেলে দিতেন। ভারনিশ মাখিয়ে দিতেন। উপকরণের এমন বিচিত্র যোগসাজশে ছবির কাগজ দুর্বল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved