Robbar

বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যাওয়ার সময় তুমি আসলে হাসো

ছাতা নিয়ে যে যাচ্ছে নিজেকে কোনও রকমে বাঁচাতে, তার দিকে তাকাও হাসিমুখে, ইশারায় অন্তত জানাও তার কাঁধ ভিজে গেছে, পিঠের ব্যাগ ভিজছে, জলের স্রোতে পা রাখাই দায়। ইশারা না-বুঝলে চিৎকার করেই বলো। জলে পা রাখো, চুল ভিজে যাক, বৃষ্টির তোড়ে দৃষ্টি ঝাপসা হোক, জামার সঙ্গে শরীর জুড়ে যাক।

→

বাউলে মেয়েদের জায়গা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আচার্য স্থানে বসতে হলে তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়

এক একটা আশ্রম হচ্ছে এক একটা ক্ষেত্র। প্রতিটি ক্ষেত্রের একটা সাধনশক্তি থাকে। আশ্রমের যৌথ জীবনযাপন আসলে সৎসঙ্গের মতো। আমরা বলি, স্বাধিষ্ঠানে আমাদের আধ্যাত্মিক অগ্নি থাকে, স্বাধিষ্ঠান হচ্ছে নাভি থেকে চার আঙুল নীচে, যদি এই স্থান খুলে না যায়, তাহলে তার পক্ষে আধ্যাত্মিক জীবনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।

→

খোঁজ থেকেই অনেক সময় মানুষ বাউল হয়ে ওঠে

বড় পারফর্মার হব বলে বা বিখ্যাত হব বলে কিন্তু আমি গান গাই না। প্রতিদিন যদি একটু গান নিয়ে না বসতে পারি, গান নিয়ে ভাবতে না পারি, তাহলে মনে হয় আমি একদিন শ্বাস-প্রশ্বাস নিলাম না, খেলাম না।

→

বাক্সবন্দি হওয়ার থেকে প্যানডোরার বাক্স খোলাই ভালো

বলা হয়, প্যান্ডোরার বাক্সে নাকি এখন শুধু প্রত্যাশা রাখা আছে। কিন্তু কেউ বাক্সটা খোলে না। কেউ সাহস দেখায় না। যে পুরাণকথা শেষ হয় একটি মেয়ের জানার খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই পুরাণকথার বিশেষ দ্রষ্টব্যে যদি আশাবাদ থেকে থাকে, তবে সেই বাক্স এখনও খোলা হয়নি কেন? তার মানে এতদিন যে গল্প বলা হয়েছে, সেটা আদ্যন্ত মিথ্যে।

→

মেয়েদের শরীরের সব দাগ মেয়েদের অর্জিত নয়

যদি দাগই মুছে ফেলো, স্মৃতিও মুছে ফেলা দস্তুর। পারবে পুরাতন প্রেম ছাড়া বেঁচে থাকতে? পারবে সেই আদিম ডাককে অস্বীকার করতে? বারবার জিতে যাওয়াগুলো ভুলে যেতে? সেইসব অপ্রেমের ভেতর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ওই আনন্দ ভুলে যেতে? কাটাগাছে হাত কেটে রক্তাক্ত, তবুও রাতের শেষে সেদিন বাঁকা চাঁদ উঠলে তুমিই তো আলোয় ভরে উঠেছিলে, আরও কিছুদূর এগিয়ে গিয়েছিলে। ফেরার রাস্তা ভুলতে চেয়েছিলে। আধেক আলো আর গোটা জীবন নিয়ে ফিরে এসেছিল সকাল হতে।

→

যে লেখা অনেক আগে লেখার কথা ছিল

এক আকাশ ভরা জ্যোৎস্নার সঙ্গে নাটকের তুলনা করা একমাত্র বোধহয় মনোজ মিত্রর পক্ষেই সম্ভব ছিল। তাঁর নাটকে যেমন জীবন ঝরে পড়ে, তাঁর লেখায় জ্যোৎস্না।

→

নিজের চোখে দেখেছি নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ক্ষমতা

বাংলাদেশের গণজাগরণের পর এই প্রথম মুখ খুললেন ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতা, রোববার.ইন-এর সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে।

→

মানুষ বড় সস্তা, কেটে ছড়িয়ে দিলেই পারত

আমরা জানতাম দেশ সকলের, জানতাম– প্রতিটি মানুষেরই তার নিজের দেশ তার ব্যক্তিগত চাদর। কিন্তু পৃথিবীতে শরণার্থী বাড়ছে, দেশহীন মানুষই সংখ্যাগুরু হতে চলেছে।

→

চা বানালে আমি শুধু এই অফিসেই বানাব, আর কোথাও না

অফিসে না থাকলে, সন্ধেবেলা মনখারাপ হয়, চা দিতে পারছি না তোমাদের, বললেন সংবাদ প্রতিদিনের চা-হরকরা নারায়ণ নন্দী।

→

দেশ হারানো এক মানুষ হিসেবে নাটককে বেছে নিয়েছিলাম বেঁচে থাকার জন্য

যতবার মঞ্চে উঠেছি, ততবার দর্শকের প্রতিক্রিয়ার জন্য ছটফট করেছি।

→