রেড স্কোয়ারে সেদিন স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাবেশ ঘটেছিল। রেড স্কোয়ার পরিণত হয়েছিল উত্তাল জনসমুদ্রে। বেলা বারোটার সময় অক্টোবর স্কোয়ার থেকে শোভাযাত্রাকারীরা সেখানে এসে সামিল হয়। খন্তা, কোদাল নিয়ে এসে লেনিনকে প্রতীকী সমাধি দেওয়ার যে-পরিকল্পনা বিরোধী পক্ষের ছিল, জনতার প্রতিরোধে তা বানচাল হয়ে যায়। মিটিং শুরু হয় লেনিন স্মৃতিসৌধের সামনে এক মিনিটের নীরবতা পালন করে। তারপর হাজার হাজার কণ্ঠে ধ্বনি ওঠে: ‘লেনিন, লেনিন!’ সমবেত কণ্ঠের ‘ইন্টারন্যাশনাল’ গান দিয়ে সভা শেষ করেন কমিউনিস্টরা।
৪৬.
অক্টোবর বিপ্লব থেকে অক্টোবর অভ্যুত্থান
মস্কো, ৭ নভেম্বর, ১৯৯১, সকাল সাতটা। গতকাল বরফ পড়েছিল। গতকালের সাদা বরফ আজ গলে গিয়ে এখানে-ওখানে কালো কালো ছোপ হয়ে আছে।
কোনও সরকারি দালানের মাথায় আজ, ৭ নভেম্বর কোনও লাল পতাকা উড়ছে না, এমনকী এই সামরিক দালানটার মাথায়ও নয়। আজ আর উৎসবের শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার তাড়া কারও নেই। জনতার ভিড় খাবার দোকানের সামনে– দুধ আর রুটির জন্য মাইলখানেক লম্বা লাইন– আক্ষরিক অর্থে। উৎসবের আনন্দের স্থান নিয়েছে মানুষের অস্তিত্বরক্ষার লড়াই।
…………………………………………
‘লেনিন রাশিয়ার কলঙ্ক’, ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় ট্র্যাজেডির দিন– ইত্যাদি স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড তাদের হাতে। সমাবেশ শেষ হয় প্রার্থনা সভা দিয়ে। প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন গির্জার অন্যতম প্রধান ধর্মাচার্য। সভার শেষে সকলের হাতে হাতে জ্বলে ওঠে মোমবাতি। স্মৃতি তর্পণ দিয়ে সভার পরিসমাপ্তি। শুরুতে হাজার দেড়েক লোক ছিল। শেষ পর্যন্ত ছিল ‘চারশো পঞ্চাশ জন’।
………………………………………….
অক্টোবর বিপ্লব বার্ষিকীর আগের দিন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সম্মানজনক পদকে ভূষিত করলেন। সেখানে তিনি তাঁর ভাষণে বলেন: ‘যে সমস্ত মূল্যবোধের সমর্থনে মানুষ অক্টোবর বিপ্লবের পতাকাতলে সমবেত হয়েছিল, পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই পথে প্রত্যাবর্তন করছি।’
এক বছর আগে রেড স্কোয়ারে অক্টোবর বিপ্লব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম প্রেসিডেন্ট গর্বাচ্যোভ তাঁর ভাষণের উপসংহারে স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘আমরা দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছি এক নতুন জগতের দিকে– কমিউনিজমের জগতে। সে-পথ থেকে আমরা কখনও বিচ্যুত হব না।’
এ-বছর অক্টোবর বিপ্লব বার্ষিকীর আগের দিন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েল্ৎসিন দেশের অভ্যন্তরে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি ও রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ বন্ধ করার এবং পার্টির সংগঠনিক কাঠামো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করলেন। আরও একটি উপহার– উৎসবের প্রাক্কালে মস্কোর মেয়রের ঘোষণা– ১ ডিসেম্বর থেকে রুটি-মাংস, মাখন ও দুধের রেশনিং চালু হচ্ছে।
সাংক্ত্ পেতের্বুর্গের মেয়র লেনিনগ্রাদ শহরের সাংক্ত্ পেতের্বুর্গে নামবদল উপলক্ষে ৭ নভেম্বর তারিখটি বেছে নিয়েছিলেন সাংক্ত্ পেতের্বুর্গের পুনরুজ্জীবন উৎসব উদ্যাপনের দিন হিসাবে। ৫ নভেম্বর রাশিয়ার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী গ্র্যান্ড ডিউক ভ্লাদিমির কিরিল্লভিচ্ প্যারিস থেকে এই প্রথম রাশিয়ায় তিনদিনের জন্য পদার্পণ করলেন, পেতের্বুর্গের মেয়র তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। গ্র্যান্ড ডিউক ৭ তারিখের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
৭ তারিখে মস্কোর পুরসভা থেকে শেষ পর্যন্ত দু’-জায়গায় দু’টি জনসভা অনুষ্ঠানের অনুমতি মেলে। একটি সকাল ন’টায়– Communist Initiative Organisation-এর উদ্যোগে অক্টোবর স্কোয়ারে: অন্যটি সকাল দশটায়– Democratic Party ও Christian Democratic Party-র উদ্যোগে লুবিয়ান্কায় (এককালের দ্জের্জিন্স্কি স্কোয়ারে, কেজিবি-র সদর দপ্তরের উল্টোদিকে) কমিউনিস্ট শাসনের নির্যাতনে নিহত শহিদদের স্মরণে শোকসভা। দুই শিবির– একটি লাল, অন্যটি কালো।
লুবিয়ান্কায় শোভাযাত্রাকারীদের সামনের সারিতে ব্যানার নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায় সুবেশা মহিলাদের। মাঝখানে ট্রাক। সেখান থেকে মাইকে ভেসে আসছে কখনও গির্জার ভজন, কখনও বা নিগৃহীতা নিপীড়িতা জননী রাশিয়ার স্মরণে গুরুগম্ভীর বিষাদগীতি। মাথার ওপর উড়ছে নতুন রাশিয়ার ত্রিবর্ণ পতাকা। ‘লেনিন রাশিয়ার কলঙ্ক’, ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় ট্র্যাজেডির দিন– ইত্যাদি স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড তাদের হাতে। সমাবেশ শেষ হয় প্রার্থনা সভা দিয়ে। প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন গির্জার অন্যতম প্রধান ধর্মাচার্য। সভার শেষে সকলের হাতে হাতে জ্বলে ওঠে মোমবাতি। স্মৃতি তর্পণ দিয়ে সভার পরিসমাপ্তি। শুরুতে হাজার দেড়েক লোক ছিল। শেষ পর্যন্ত ছিল ‘চারশো পঞ্চাশ জন’।
অক্টোবর স্কোয়ারে যাদের সমাবেশ ঘটে তাদের হাতে ছিল মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিনের ছবি। সেখানে হাজার দুয়েক লোক উপস্থিত ছিল। সভায় ইয়েল্ৎসিন ও গর্বাচ্যোভ্-বিরোধী ধ্বনি ওঠে, তাঁদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
তবে রেড স্কোয়ারে সেদিন স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাবেশ ঘটেছিল। রেড স্কোয়ার পরিণত হয়েছিল উত্তাল জনসমুদ্রে। বেলা বারোটার সময় অক্টোবর স্কোয়ার থেকে শোভাযাত্রাকারীরা সেখানে এসে সামিল হয়। খন্তা, কোদাল নিয়ে এসে লেনিনকে প্রতীকী সমাধি দেওয়ার যে-পরিকল্পনা বিরোধী পক্ষের ছিল, জনতার প্রতিরোধে তা বানচাল হয়ে যায়। মিটিং শুরু হয় লেনিন স্মৃতিসৌধের সামনে এক মিনিটের নীরবতা পালন করে। তারপর হাজার হাজার কণ্ঠে ধ্বনি ওঠে: ‘লেনিন, লেনিন!’ সমবেত কণ্ঠের ‘ইন্টারন্যাশনাল’ গান দিয়ে সভা শেষ করেন কমিউনিস্টরা।
……………………………………..
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বহু জায়গায় এই দিনটি উপলক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসব উদ্যাপিত হয়। তবে ৭ নভেম্বর সম্পর্কে সাধারণভাবে লোকের মনোভাব বিমিশ্র। যারা অক্টোবর বিপ্লবের ভূমিকা সম্পর্কে সন্দিহান, তাদের অনেকেই ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দিনটি উদ্যাপনের পক্ষপাতী। অধিকাংশই অবশ্য অন্নবস্ত্রের সমস্যায় এত জর্জরিত যে, এ নিয়ে মাথা ঘামানোর অবকাশ তাদের নেই।
…………………………………….
সেদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় দূরদর্শনে পরিবেশিত সংবাদ নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার নিদর্শন বহন করে না। লুবিয়ান্কায় যত জনসমাবেশ ঘটে, রেড স্কোয়ারে নাকি ঘটেছিল তার মাত্র কয়েকগুণ বেশি। মনে রাখতে হবে, রেড স্কোয়ারে নব্বই হাজার মতো লোকের জায়গা হতে পারে। অথচ বেলা বারোটার মধ্যে জনতার ভিড় তা ছাপিয়ে চলে গিয়েছিল। অনেককে রেড স্কোয়ারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হত না।
আবহাওয়া প্রতিকূল থাকা সত্ত্বেও সন্ধ্যা সাড়ে ন’টার সময় লোকজনের ভিড় ছিল লেনিনের সমাধির সামনে। প্রতি বছর সরকার থেকে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হত স্মৃতিসৌধের সামনে। এবারে সেই সুযোগ পেয়েছিল সাধারণ লোকে।
সাংক্ত্ পেতের্বুর্গে পুরসভা আয়োজিত সমারোহপূর্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতে কিছু বিক্ষোভকারীর আগমন ঘটেছিল– ছোটখাটো সংঘর্ষের পর তারা সরে যেতে বাধ্য হয়। জারের পোর্ট্রেট্র হাতে কিছু রাজতন্ত্রীকেও সভায় দেখা যায়। রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী উপস্থিত থাকলেও অন্তরালে ছিলেন। সভার উদ্বোধন করেন শহরের মেয়র। সর্বগ্রাসী কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থার বলি ও যুদ্ধে নিহত শহিদদের স্মৃতির সম্মানে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। পরে দরিদ্র নারায়ণ সেবা এবং সন্ধ্যায় বিশিষ্ট অতিথিদের জন্য ভোজসভার আয়োজন হয়।
মস্কোর মতো পেতের্বুর্গেও কমিউনিস্টদের একটি সমাবেশ ঘটেছিল বিপ্লবের যুদ্ধজাহাজ আরোরার সামনে– দু’-হাজার লোকের।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বহু জায়গায় এই দিনটি উপলক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসব উদ্যাপিত হয়। তবে ৭ নভেম্বর সম্পর্কে সাধারণভাবে লোকের মনোভাব বিমিশ্র। যারা অক্টোবর বিপ্লবের ভূমিকা সম্পর্কে সন্দিহান, তাদের অনেকেই ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দিনটি উদ্যাপনের পক্ষপাতী। অধিকাংশই অবশ্য অন্নবস্ত্রের সমস্যায় এত জর্জরিত যে, এ নিয়ে মাথা ঘামানোর অবকাশ তাদের নেই।
……………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………
ভারতে কমিউনিস্টরা যে প্রবল উৎসাহে অক্টোবর বিপ্লব উৎসব উদ্যাপন করেছেন, এখানকার রেডিয়োতে ও পত্র-পত্রিকায় সে-সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। কিউবার মহা সমারোহপূর্ণ উৎসব-অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে দূরদর্শনে। দূরদর্শন ভাষ্যকারের মন্তব্য– অক্টোবর বিপ্লব উৎসব পালনের উচ্ছ্বাস আমাদের দেশে যত কমে আসছে, কোনও কোনও দেশে তত বাড়ছে।
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪৫। ‘অক্টোবর বিপ্লব দিবস’ আর পালিত হবে না, পালিত হবে বড়দিন– চোখের সামনে বদলে যাচ্ছিল সোভিয়েত
পর্ব ৪৪। রাজনীতিতে অদূরদর্শিতার ফল যে কত সুদূরপ্রসারী, তার প্রমাণ আফগানিস্তান
পর্ব ৪৩। জানলা দিয়ে পূর্ব জার্মানি দেখতে দেখতে গর্বাচ্যোভ বলেছিলেন, তাহলে এখানেই শেষ!
পর্ব ৪২। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না
পর্ব ৪১। কল্পনা যোশীর তুলনায় ইলা মিত্রকে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে
পর্ব ৪০। বেসরকারিকরণের শুরু দিকে রাস্তাঘাটে ছিনতাই বেড়ে গেছিল, কারণ সব লেনদেন নগদে হত
পর্ব ৩৯। হাওয়া বদলের আঁচ অনেকেই আগে টের পেয়েছিল, বদলে ফেলেছিল জীবনযাত্রা
পর্ব ৩৮। শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়
পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা
পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’
পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ
পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল
পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে
পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন
পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো
পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি