ডিজি যুগে বিজি মানুষ। দোর্দণ্ডপ্রতাপ কি-বোর্ড। তবু হাতে না লিখলে কি ধাতে সয়! দিনে দিনে তা এসে ঠেকেছে ব্যাঙ্কের সই-তে। তাও কাগের ঠ্যাং বগরে ঠ্যাং। নিজের লেখা দেখে নিজেই তিতিবিরক্ত! ২৩ জানুয়ারি, বিশ্ব হাতের-লেখা দিবসে রোববার ডিজিটাল-এ আয়োজন প্রতিযোগিতার। সহ নিবেদনে ‘কলিকেতা’। চেষ্টা করে দেখুন ফেরে কিনা নিজস্ব লিখনভঙ্গিমা। সেরাদের জন্য থাকবে সেরা পুরস্কার।
নিয়মাবলি
১. নীচে তিনটি লেখার অংশ দেওয়া রইল। যে কোনও একটি লেখা, হাতে লিখে, পরিষ্কার ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আমাদের মেল করুন।
২. লেখাটি লিখতে হবে A4 সাদা পাতায়।
৩. লেখা পাঠানোর ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে সঙ্গে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার দিতে ভুলবেন না।
৪. মেল মারফত লেখা পাঠাতে হবে ২১ জানুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে।
৫. সংবাদ প্রতিদিন-এর সঙ্গে যুক্ত কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না।
৬. প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
আমাদের মেল আইডি: [email protected]
১.
রোজই থাকে সমস্তদিন কাজ, আর চার দিকে লোকজন। রোজই মনে হয়, সেদিনকার কাজে, সেদিনকার আলাপে সেদিনকার সব কথা দিনের শেষে বুঝি একেবারে শেষ করে দেওয়া হয়। ভিতরে কোন্ কথাটি যে বাকি রয়ে গেল তা বুঝে নেবার সময় পাওয়া যায় না।
আজ সকালবেলা মেঘের স্তবকে স্তবকে আকাশের বুক ভরে উঠেছে। আজও সমস্ত দিনের কাজ আছে সামনে, আর লোক আছে চার দিকে। কিন্তু, আজ মনে হচ্ছে, ভিতরে যা-কিছু আছে বাইরে তা সমস্ত শেষ করে দেওয়া যায় না।
মেঘলা দিনে। লিপিকা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২.
বাঙ্গালীর যে আজকাল ভূপর্য্যটনের স্পৃহা জেগে উঠেছে, এটা সবচেয়ে আনন্দদায়ক। বাঙ্গালী যে আজ ঘরের কোণ ত্যাগ করে পায়ে হেঁটে, সাঁতার দিয়ে, সাইকেলে চড়ে দেশ বিদেশে ভ্রমণে বাহির হবে, বিশ বৎসর পূর্ব্বে কে এ কথা বিশ্বাস করত? অজানা দেশ দেখবার, অজানা পথে হাঁটবার, অজানা লোকের সঙ্গে পরিচিত হবার, এই যে ব্যাকুলতা—এর থেকেই জাতিগঠন ও সাম্রাজ্য সৃষ্টি হয়ে থাকে।
তরুণের স্বপ্ন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
৩.
কত দেরি হয়ে গেল ভুলো তবু বাড়ি এল না, সন্ধ্যে হয়ে গেল, রাত হয়ে গেল। দাদু তাস খেলতে যাবার আগে বললেন, খুঁজতে যাবার কিছু দরকার নেই, কেউ তোদের নেড়িকুত্তো চুরি করবে না, খিদে পেলে সুড়সুড় করে নিজেই বাড়ি ফিরবে দেখিস।
রুমুর গলার কাছটা কীরকম ব্যথা ব্যথা করছিল; কখন ভুলোর খাবার সময় হয়ে গেছে, বারান্দার কোনায় ভুলোর থালায় দুধরুটিগুলোকে নীলমতো দেখাচ্ছে, পিঁপড়েরা এসেছে।
হলদে পাখির পালক। লীলা মজুমদার
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved