Robbar

যুদ্ধ নিরন্তর, আধুনিক মিথোলজির সন্ধানে

Published by: Robbar Digital
  • Posted:October 17, 2025 9:31 pm
  • Updated:October 17, 2025 9:31 pm  

‘লোগান’-এর সঙ্গে ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’-এর আত্মীয়তা কম নয়। ২৫ বছর ধরে মিউট্যান্টদের আবির্ভাব হয়নি, প্রাক্তন সুপারহিরো উলভারিনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে; প্রফেসর এক্স ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। সেখানেও আগ্রাসী কর্তৃপক্ষের হাত থেকে কন্যাসমা একটি বালিকাকে নিয়ে লোগান/উলভেরিনকে সীমানা পেরতে হবে। এই ছবিতে একেবারে উদ্ধৃত করা আছে একটি ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন ছবির, ১৯৫৩ সালের ‘শেন’-এর, সেটা সমাপতন নয়। ‘লোগান’-এ যেমন প্রাক্তন মিউট্যান্ট সুপারহিরোদের নিয়ে ট্র্যাজেডির বিষাদ তৈরি হয়, সেভাবেই ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’-এ অতিবামপন্থী ফ্রেঞ্চ সেভেন্টিফাইভ গোষ্ঠীদের নিয়ে।

অনিন্দ্য সেনগুপ্ত

২৫.

এই কিস্তিতে যেটা করব সেটা আগে করিনি, আগের কিস্তির আলোচনা বিস্তারিত করব। গত কিস্তিতে পল টমাস অ্যান্ডারসনের ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার নিয়ে লিখেছিলাম। কিন্তু সেটা একেবারেই অপর্যাপ্ত ছিল। খুব তৃপ্তিদায়কভাবে পর্যাপ্ত লেখা এই কিস্তি মিলিয়েও হবে না, কিন্তু ছবিটির কথা আরেকটু আলোচনা করা যাক। ধরে নিচ্ছি যে আগের কিস্তিটা পড়া আছে, সেখানে গল্প আর বিষয়ের খানিকটা ভূমিকা দেওয়া আছে।

ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার সুনির্দিষ্ট জঁরের ছবি নয়। পলিটিকাল থ্রিলার, অ্যাকশন ছবি, ড্রামা, কমেডি সব কিছুতেই ঘোরাঘুরি করে, কিন্তু কোনওটাতেই সুস্থির হয় না। কিন্তু খানিক ভূতের মতোই যে জঁরটা নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে, সেটা হল যে জঁর এই কলামে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে, যে জঁরটি ছাড়া আমেরিকান ছবি বোধহয় বোঝা অসমাপ্ত থেকে যায়, সেই ওয়েস্টার্ন।

এর কারণ হয়তো, ওয়েস্টার্নেই একটা আধুনিক জাতিগঠনের ইতিহাস, জাতীয় আইডেন্টিটির হয়ে ওঠার ইতিহাস, এর ওপর ভিত্তি করে একধরনের ক্রিটিকাল মিথোলজি তৈরি করা হয়েছে। যে দেশটি ছিল নেটিভ ইন্ডিয়ানদের ভূমি, তা থেকে শ্বেতাঙ্গরা যখন সেই দেশের অতীত মুছে দিয়ে নতুন দেশ রচনা করছে, নিজেদের উদ্দেশ্য নির্ণয় করছে, তখন প্রয়োজন মিথোলজি, আধুনিক মিথোলজি। যে জন্য সেই মিথোলজির কেন্দ্রে ছিল ভায়োলেন্সের প্রসঙ্গ। প্রথমত সেই ভায়োলেন্সকে জাস্টিফাই করার কাজ ছিল। কিন্তু ওয়েস্টার্নই দেখায় কীভাবে দৃষ্টিকোণ উল্টে‌ দিয়ে সেই মিথের ভিত্তিকে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্ন করা সম্ভব, দেখানো সম্ভব যে এই আত্মপরিচয়ের ভিতে আছে রেসিজম, টক্সিক পৌরুষ আর ক্যাপিটালিজমের গোলমেলে সংমিশ্রণ। এই নিয়ে আগে বিস্তারিত বলেছি।

আমার ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার-কে উপভোগ্য (এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ) ছবি মনে হয়েছে, তার একাধিক কারণের একটা হল ছবিটি আবার একটি আধুনিক ফেবল তৈরি করে, যেখানে কয়েকটি চরিত্রের গল্পের মাধ্যমে আধুনিক আমেরিকার আইডেন্টিটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। ছবির দ্বিতীয় ভাগে (হয়তো সেটাই ছবিটা, আগে যেটা হয়েছে সেটা ব্যাকস্টোরি) একজন রেসিস্ট এবং ফ্যাসিস্ট মানসিকতার সামরিক অফিসার একটি জনপদকে আক্রমণ করছে। অজুহাত, এইখানে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আপদগুলি অবৈধ ইমিগ্রেশন এবং ড্রাগ কার্টেল চালায়। আসলে এই সামরিক অফিসারটি তার অতীতের কৃতকর্মের চিহ্ন মুছে দিতে চায়। সেই চিহ্ন হল একটি biracial ষোড়শী, যে হয়তো তার ঔরসজাত কন্যা, এবং সেই মেয়েটি বাবা বলে যাকে জানে সেই মানুষটিকে, যার প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভায়োলেন্সের একটি ইতিহাস আছে। এই অভিযানটি শেষ হয় জনমানবহীন প্রান্তরে একটি ইঁদুরদৌড়ে, যেখানে আরও কিছু চরিত্র আছে, যাদের মধ্যে অন্তত দু’জন হল ভাড়াটে খুনি।

One Battle After Another — FILM REVIEW
‘ওয়ান ব্যাটেল আফটার অ্যানাদার’ সিনেমার একটি দৃশ্য

আগের কিস্তিতেই এই গল্পটা খানিক বলেছিলাম। কিন্তু এইবার খানিক ভিন্নভাবে বললাম। জঁরে পরিচিত থাকলে অসুবিধে হবে না বুঝতে যে প্লটটি একেবারেই ওয়েস্টার্নের। যে সীমানা-নিকটবর্তী জনপদে সামরিক আক্রমণটি ঘটবে, তাকে বলা হয় স্যাংচুয়ারি সিটি, উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘A sanctuary city is a municipality that limits or denies its cooperation with the national government in enforcing immigration law’ এরকম প্রান্তিক জনপদ ওয়েস্টার্নে হরবখত দেখা যেত।

গল্পটা অতএব এরকম হতে পারত সিভিল ওয়ারের আগের আমেরিকা। কর্নেল লকজ একজন কনফেডারেট সেনাপতি। তার বাসনা বর্ণবিদ্বেষী কু ক্লাক্স ক্লান গোষ্ঠীর নেতৃত্বপদে উন্নীত হওয়ার। কিন্তু একদা একটি বিদ্রোহী ক্রীতদাসীর সঙ্গে তার যৌনসম্পর্ক ঘটেছিল; হয়তো তার কন্যাটি তারই ঔরসজাত। এই তথ্য ফাস হয়ে গেলে তার বিপদ। তাই তিনি যুদ্ধের অজুহাতে একটি রেড ইন্ডিয়ান জনপদ আক্রমণ করবেন ঠিক করলেন; যেখানে অনেক কৃষ্ণাঙ্গ এবং মেক্সিকান থাকে। সেই ক্রীতদাসিটি এখন ফেরার; কিন্তু একজন প্রাক্তণ আউটল সেই মেয়েটির সৎ পিতা। ঘোড়সওয়ার বাহিনী আক্রমণ করল। মেয়েটি পালাল দেশের সীমানার দিকে। সেই প্রাক্তন আউটলটি ষোলো বছর অস্ত্র ধরেনি, কিন্তু তাকে এইবার বর্ণবিদ্বেষী দানবটির হাত থেকে স্নেহাস্পদকে রক্ষা করতে হবে। ক্লাইম্যাক্সে ধূ ধূ প্রান্তরে একাধিক ঘোড়সওয়ার একে অপরের সন্ধানে দৌড়তে থাকে।

অর্থাৎ, ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার আসলে ছদ্মবেশি ওয়েস্টার্ন। সত্যি বলতে কী, এরকম ছদ্মবেশি ওয়েস্টার্নের উদাহরণ গত চল্লিশ বছরের হলিউডে প্রচুর। যেমন ম্যাড ম্যাক্স ফিউরি রোড, যেমন জেমস ক্যামেরনের অবতার সিরিজ (ওই নীল ভিনগ্রহীরা রেড ইন্ডিয়ান, আর মানুষরা শ্বেতাঙ্গ), অথবা আমার বেশ প্রিয় সুপারহিরো ফিল্ম লোগান

ভেবে দেখুন, লোগান-এর সঙ্গে ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার-এর আত্মীয়তা কম নয়। ২৫ বছর ধরে মিউট্যান্টদের আবির্ভাব হয়নি, প্রাক্তন সুপারহিরো উলভারিনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে; প্রফেসর এক্স ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। সেখানেও আগ্রাসী কর্তৃপক্ষের হাত থেকে কন্যাসমা একটি বালিকাকে নিয়ে লোগান/উলভেরিনকে সীমানা পেরতে হবে। এই ছবিতে একেবারে উদ্ধৃত করা আছে একটি ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন ছবির, ১৯৫৩ সালের শেন-এর, সেটা সমাপতন নয়। লোগান-এ যেমন প্রাক্তন মিউট্যান্ট সুপারহিরোদের নিয়ে ট্র্যাজেডির বিষাদ তৈরি হয়, সেভাবেই ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার-এ অতিবামপন্থী ফ্রেঞ্চ সেভেন্টিফাইভ গোষ্ঠীদের নিয়ে। আবার লোগান-এর শেষে যেমন আরেকদল নতুন প্রজন্মের বিদ্রোহী বালক-বালিকার দলকে নেতৃত্ব দেয় লরা, যে কার্যত লোগানের সন্তান, সেভাবেই ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার-এর শেষে উইলা বিদ্রোহী যৌবনের জীবন শুরু করে।

এই ছবিতে শন পেন অভিনীত বর্ণবিদ্বেষী ভিলেনটিকে বুঝতে হলে মনে করতে হবে জন ফোর্ডের দ্য সার্চার্স-এর নায়কের কথা। এই কলামের শুরুর দিকে সেই ছবির প্রসঙ্গ একাধিকবার এসেছে।

‘লোগান’ সিনেমার একটি দৃশ্য

এইজন্যই বললাম, জঁর আমেরিকার আধুনিক মিথোলজি তৈরি করে। তাই এই গল্পগুলোয় বারবার বারবার ফেরা যায়, আবার বলা যায়, নতুন প্রেক্ষিতে ফেলা যায়। শুধু এই কলামেই নয়, অন্যত্র আমি এই ছবিটার ইতিহাসের ব্যবহার নিয়ে লিখেছি। নিজের লেখা থেকেই একটা প্যারাগ্রাফ উদ্ধৃত করি (কারণ সেই লেখাটি খুব একটা কারও চোখে পড়েনি; হয়তো বড্ড বড় লেখা বলে)

এই ছবির অতিবাম গোষ্ঠীটির নাম ফ্রেঞ্চ সেভেন্টিফাইভ’– এরা কারা? তারা কি Antifa? কিন্তু তারা তো হালের; ১৬ বছর আগে তো ওবামার সরকার– তখন এরকম ট্রাম্পীয় রাষ্ট্র ছিল নাকি? এরকম প্রামাণ্যতা ছবিটা দিতে চায় না। এই গল্পে ট্রাম্প ঘরানার স্বৈরতন্ত্র হল একরকম perpetual present, যেন আমেরিকা সর্বক্ষণ এই অবস্থায় ছিল। এই চিরায়ত সমসময়ের ফেবলধর্মীতা না বুঝলে এই ছবি বোঝা যাবে না। অনেকেই হয়তো এরকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনৈতিহাসিকতায় অভ্যস্থ নন, তারা ছবিটার সমালোচনা করবেন হয়তো এই পয়েন্টে। কিন্তু আমার অ্যান্ডারসনের এই পদ্ধতিটা বেশ সাহসী লেগেছে। তাঁর কাছে প্রায়োরিটি হল আমেরিকার বর্তমান শাসকদের (ট্রাম্পের নাম না করেও) ফ্যাসিস্ট বলা; তার জন্য যদি প্লটের প্রামাণ্যতায় টান পড়ে, তিনি পিছপা হচ্ছেন না। এই ব্যাপারটা নিয়ে ছবিটায় চমকপ্রদ একটি রসবোধের ইঙ্গিত আছে। লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিও অভিনীত নায়ক, বিপ্লবের ব্যর্থতার ১৬ বছর পর নেশাসক্ত ভগ্ন একটি মানুষ (বাড়িতে বসে বসে গিলো পন্টিকার্ভোর ব্যাটল অফ অ্যালজিয়ার্স দ্যাখে। কন্যার বিপদের সময়ে সে কিছুতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারে না। পরে তাঁকে জানানো হয় পাসওয়ার্ডটি– Time does not exist, yet it controls us– আসলে ছবিটা নিজেকে নিয়েই কথা বলছে। ছবিটায় ইতিহাস-এর অস্তিত্ত্ব নেই, অথচ সমসময় ছবিটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। 

‘লোগান’

একটি গল্প মিথোলজিকাল হয়ে যায় এইভাবেই।

মোটামুটি আটের দশক থেকেই ওয়েস্টার্ন জঁরে একধরনের সংকট দেখা গেছিল। জঁরটি আর আগের মতো প্রধান জঁর থাকতে পারছে না হলিউডে। কারণ ধ্রুপদী বা রিভিশনিস্ট, দুই পর্যায়েই ওয়েস্টার্নকে পিরিয়ড পিস হিসেবে দেখা শুরু হয়নি। যেই মুহূর্তে তা হল, জঁরটি আর মিথিকাল থাকল না। এবং থাকল না বলেই তা আর আধুনিক সময়ের রূপক হতে পারল না। কারণ যখন ওয়েস্টার্ন আসলে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট কেমন ছিল, তার প্রামাণ্য দলিল হওয়ার চেষ্টা করত না, তখনই সেই মিথিকাল গল্পগুলি আধুনিক আমেরিকা নিয়ে মন্তব্য করতে পারত। 

 

ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার-এর শেষে সেই মিশ্রবর্ণের কন্যাটি হয়ে যায় আমেরিকার আত্মা। তার পিতা কে হবে? একজন ফ্যাসিস্ট বর্ণবিদ্বেষী? নাকি একজন পরাজিত বিপ্লবী, যে এখনও মনে করে যে দেশ ইমিগ্রেন্টদের দিয়েই তো তৈরি হয়েছিল নবপর্যায়ে, এই দেশে কিছুতেই একটি বর্ণকে প্রাধান্যকামী হতে দেওয়া যায় না। 

যেহেতু এই কিস্তিতে একটি সুপারহিরো ছবির প্রসঙ্গ এলই, ভেবে দেখুন– সুপারম্যান কি আদতেই একজন ইললিগাল ইমিগ্রান্ট নয়? যাকে কিনা হতে হবে জাতীয় নায়ক? বলাই যায়, সে যখন ক্লার্ক কেন্ট হয়ে থাকে, সে আসলে গড়পরতা শ্বেতাঙ্গ নাগরিকের ছদ্মবেশ নিয়েই থাকে। একসময় আমেরিকা ছিল এমন একটি সদ্যোজাত দেশ, যেখানে বিশ্বের যে কোনও মানুষ গিয়ে আশ্রয় নিতে পারবে, আবার নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য। ইতিহাস কখনওই তেমন নিষ্পাপ আইডিয়ালিস্ট রাখতে দেয়নি সেই দেশকে; কিন্তু ভিন্ন আমেরিকার সেই আইডিয়াকে সহজে মেরে ফেলা যাচ্ছে না, ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার তারই প্রমাণ। সেই স্বপ্নকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে যে শাসকগোষ্ঠী, এই ছবি তাদের ফ্যাসিস্ট তকমা দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। সে সরাসরি আঙুল তুলেছে ট্রাম্প সরকারের দিকে, যেরকম সাহস খুব কম ভারতীয় ছবিই এখন দেখাতে পারবে।

এই দেশ কার? সেই সংঘর্ষ বা সংকট সেই সিভিল ওয়ারের সময় থেকেই চলছে, যার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। নিরন্তর চলেছে ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার…

…পড়ুন এই কলামের অন্যান্য পর্ব…

২৪. অ্যাকশন ছবি যখন হয়ে ওঠে দরদি

২৩. বিষাক্ত পৌরুষের সামূহিক উল্লাস

২২. আধুনিক অ্যাকশনের দৃষ্টান্ত এবং ব্যতিক্রম– ‘কিল বিল’ ও ‘জন উইক’

২১. অ্যাকশন! সিনেম্যাটিক ও শারীরিকের যুগলবন্দি

২০. গথিক ও তান্ত্রিক– প্রাগাধুনিকের ভীতি

১৯. ভিন্নতার আতঙ্ক– দ্য এক্সরসিস্ট এবং লাভক্রাফট

১৮. হরর! শরীর নিয়ে মনের ভয়?

১৭. কালচার ইন্ডাস্ট্রির ফ্যান্টাসি কি মূলত ভিন্ন মধ্যযুগের কল্পনা?

১৬. কল্পবিজ্ঞান শুধু ইতিহাসের মোড় বদলেই পাল্টায়নি, ইতিহাসের বিরুদ্ধেও গেছে

১৫. সাই-ফাই, ফ্যান্টাসি, হরর– তিনটে জঁরেই অবাস্তব নিজেকে মেলে ধরেছে বাস্তবের মতো করে

১৪. ফিউডাল রক্ষণশীলতা থেকে পুঁজিবাদী শিকড়হীনতায় পতনের গল্প বলে গডফাদার ট্রিলজি

১৩. গ্যাংস্টার জঁর– সভ্যতার সূর্যগ্রহণের মুহূর্ত ছায়ামূর্তিদের গল্প বলার সময়

১২. ফাম ফাতাল নারীর আর্কেটাইপের কি কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে, না সে কেবলই একটি ‘টাইপ’?

১১. রহস্যসন্ধানীর পালাবদল, ফিল্ম নোয়া আর আমরা

১০. ফিল্ম নোয়া– নাগরিক আলোর মধ্যে আঁধারের বিচ্ছুরণ

৯. ‘দ্য হেটফুল এইট– এখন ওয়েস্টার্ন যেরকম হতে পারত

৮. একটি মৃতদেহ দেখানো ও না-দেখানোর তফাত থেকে বোঝা যায় ‘শোলে’ শুধুমাত্রই অনুকরণ নয়

৭. যখন জঁর নিজেকে নিয়েই সন্দিহান

৬. আমেরিকার ‘হয়ে ওঠা’-র কল্পগল্প

৫. একটি সভ্যতার হয়ে ওঠার মিথোলজি 

৪: পশ্চিমে এল এক নারী, বেজে উঠল অমর সংগীত

৩. জঁরের ফর্দ– দৃশ্য, শব্দ, প্রেক্ষাপট

২. ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং তার পূর্বসূরি দুই নায়ক ও একটি ছদ্মবেশী জঁর

১. ভাঙনের শহরে এক নামহীন আগন্তুক এবং চারখানি গল্পের গোত্র