
কালী দাশগুপ্ত তাঁর জীবনের সাংস্কৃতিক যাত্রায়, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন এবং চর্চিত যাপনের মধ্য দিয়ে লোকগানের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন। একথা অনস্বীকার্য যে, বিনোদন লোকসংগীতের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই বিনোদন মঞ্চসফল বাণিজ্যমুখী বিনোদন নয়। বরং তার সঙ্গে মিশে থাকে যৌথযাপনের এক সপ্রাণ অনুভূতি। সেই প্রেক্ষিতেই, জন্মশতবর্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে কালী দাশগুপ্তর কাজের তাৎপর্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মনে হয়, লোকসংগীতের সঠিক অনুধাবন ও মূল্যায়ন করতে গেলে, তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে হবে।
প্রচ্ছদের আলোকচিত্র: জয়ন্ত গুহ
‘লোকগীত শুধু গীত নয়, গতরখাটা মানুষের জীবনকাহিনি।’
লোকগানকে যিনি এভাবে নিজের মধ্যে জারিত করেছেন– সেই শিল্পী, শিল্পকর্মী, লোকগান-সংগ্রাহক কালী দাশগুপ্ত আজ বিস্মৃতপ্রায়। জীবনের নানা ওঠাপড়াকে সঙ্গী করে, নিজের মতো করে কাঙ্ক্ষিত জীবনকে বর্ণময় করে সাজিয়েছেন পরতে পরতে।
১৯২৬ সালের অক্টোবর মাসে অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মাদারিপুর মহকুমার পালং গ্রামে জন্ম। ছোটবয়সে মাতৃহারা হলে দাদু হেমচন্দ্র সেনগুপ্ত তাঁদের পাঁচ ভাইবোনকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন নিজের বাড়িতে। মামার বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে ছিল তাঁর জীবনের প্রথমার্ধ। পরবর্তীকালে, ১৯৪০-১৯৪২ সাল নাগাদ কিশোর বয়সে রাজশাহীতে মামার কাছে এসে স্কুল-জীবন শুরু করেন। স্কুলের গতানুগতিক পড়াশুনো ও নিয়ম-নীতি মেনে চলা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ ছিল। ছোটবেলায় পালং গ্রামে থাকাকালীনই এই বর্ণময় মানুষটির সাংগীতিক জীবন শুরু হয়। ডুগি-একতারা সহযোগে বৈষ্ণবীদের গান, নাম সংকীর্তন, প্রতিবেশীর বাড়িতে কলের গানে আব্বাসউদ্দিন ও শচীন দেববর্মণের গান তাঁর সংগীত-মননকে প্রভাবিত করেছিল। পরবর্তীকালে রাজশাহী হাতিয়ানদহ গ্রামে থাকাকালীন সন্ধেবেলার প্রাত্যহিক নাম সংকীর্তন এবং মুসলমান চাষিদের গাওয়া নানান লোকসংগীতের সঙ্গে পরিচিত হন। তার মধ্যে একধরনের গান, যাকে বলা হয় ‘চলনবিলের গান’, তা তাঁর মনে খুব রেখাপাত করে। পরবর্তীকালে তিনি এই গান শুনতে পেয়েছিলেন গৌরীপুরের দুই বিড়ি শ্রমিকের কাছে। ব্রিটিশ শাসকদের জমি জরিপকে কেন্দ্র করে নানান দুর্নীতি ও অত্যাচার নিয়ে লেখা সেই গান, ‘আরে নইমুদ্দি কয় সভাতে’ তাঁকে বিশেষ প্রভাবিত করেছিল।

কিশোর বয়স থেকেই সমাজের নানা স্তরের মানুষের সংস্পর্শ তাঁর মননে লোকসংগীত সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র আধার তৈরি করে দিয়েছিল। সেইসময় থেকেই তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ শুরু হয়। বলশেভিক দলে যোগদান করেন। শুরু হয় তাঁর কৃষক ও শ্রমিক মহলে ঘোরাফেরা। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নাটোরের হাতিয়ানদহ কৃষক আন্দোলনে যোগ দেন কালী দাশগুপ্ত। ১৯৪২ সাল নাগাদ বাম আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৮-’৪৯ সাল নাগাদ কলকাতার গণনাট্য সঙ্ঘে যোগদান করেন। এসময়েই হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মাধ্যমে গণসংগীত ও লোকসংগীতের বিষয়ে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হন। যুক্ত হন তাঁর তৈরি ‘মাস সিঙ্গার্স’-এর সঙ্গে। আরও পরে লোকগানের বাজারীকরণ ও ভুল উপস্থাপনার বিরুদ্ধে ‘মিউজিক অ্যান্ড ফোকলোর ইনস্টিটিউট’ গঠিত হলে, খালেদ চৌধুরী ও হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সঙ্গে সেই সংগঠনে যোগদান করেন। প্রকৃত অর্থেই কালী দাশগুপ্ত ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী। লোকগানকে বাজারজাত করা এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লোকগানের ভুল উপস্থাপনা– জীবনের আর্থিক সাফল্যকে উপেক্ষা করে এই দুয়ের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই চালিয়ে গেছেন।

১৯৬৪ সালে যখন কমিউনিস্ট পার্টির বিভাজন হয়, সেই সময় পার্টির সাংস্কৃতিক ফ্রন্টেও বিতর্ক ওঠে এই বিভাজন নিয়ে। নানা মতভেদের টানাপোড়েনে কালী দাশগুপ্ত তথাকথিত সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংস্রব থেকে বেরিয়ে আসেন। সরাসরি জড়িয়ে না থাকলেও, যাপনে ও মননে বামপন্থার আদর্শ অনুসরণ করে গেছেন সারাজীবন। পরবর্তী জীবনে তাঁর সাংস্কৃতিক যাত্রায় এই আদর্শ এবং যাপনের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।
১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। লন্ডনে সতী ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। সতী ভট্টাচার্যও বামপন্থী মতের অনুগামী ছিলেন। লন্ডনে স্থানীয় বহু স্টাডি ক্লাব ও বামপন্থী মানসিকতার মানুষজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন কালী দাশগুপ্ত। তাঁদের গানে-কথায় মেহনতি মানুষের কথা প্রকাশ করতেন তাঁরা। প্রতিবাদী লোকগান ও গণসংগীতের শিল্পী ইউয়ান ম্যাকরন, পেগি সীগার, বারবারা ডেন প্রমুখের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের চরম দক্ষিণপন্থী নেতা এনখ পাওয়েলের এক বিতর্কিত বক্তৃতার বিরুদ্ধে লন্ডনে শ্রমিকদের এক প্রতিবাদ মিছিল বেরয়। সেই মিছিলে যোগ দিয়ে কালী দাশগুপ্ত সবাইকে দিয়ে হিন্দি ও উর্দু শব্দ মেশানো ‘মেহনত কর্ষ’ গানটি গাইয়েছিলেন। শ্রমিকদের সেই মিছিলে এই গানটি হয়ে উঠেছিল মার্চিং সং।

১৯৭৩ সালে স্ত্রীর মৃত্যু হলে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়। যদিও তাঁর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলতে থাকে একইভাবে। সত্তরের দশকে রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর অস্ত্র হয়ে ওঠে কণ্ঠ ও দোতারা। মাঠঘাট কলকারখানায় যেখানেই সুযোগ এসেছে, কালী দাশগুপ্ত মানুষকে শুনিয়েছেন শ্রমজীবী মানুষের বঞ্চনার কথা। ক্ষোভের কথা। প্রতিবাদের কথা। শুনিয়েছেন গণসংগীত কিংবা লোকসংগীতের মাধ্যমে। কখনও আমন্ত্রণে কখনও বা বিনা আমন্ত্রণে।
এইসময় তাঁর এই নতুন সাংস্কৃতিক যাত্রায় সহযাত্রী হয়ে ওঠেন ভারতীয় লোকগানের বিশেষ অনুরাগিনী এক ব্রিটিশ মহিলা– রোজান এলিজাবেথ। ইংল্যান্ডেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কালী দাশগুপ্তর। গুণমুগ্ধ রোজানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাঁর। সতী ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর সেই বন্ধুত্ব গভীরতা পায়; এবং সত্তর দশকের মাঝামাঝি তাঁর জীবনসঙ্গিনী হন রোজান দাশগুপ্ত। আমৃত্যু তাঁর কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থেকেছেন রোজান।
কিশোর বয়সে লোকসংগীতের সঙ্গে সংস্পর্শ এবং যৌবনে রাজনৈতিক প্রতিবাদ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া তাঁকে পরবর্তীকালে এক অন্য সাংস্কৃতিক যাত্রার দিকে নিয়ে যায়। লোকসংগীতের মধ্যে সমাজের প্রতিবাদ ও লোকজীবনের যাপনের প্রকাশ অন্বেষণের কাজে ব্রতী হন তিনি। তাঁর কথাতেই ধরা পড়ে লোকসংগীত নিয়ে তাঁর সেই বিশেষ উপলব্ধি– ‘লোকসংগীত গ্রামের মানুষের জীবনের ধারাবিবরণী’। সত্যিই তো লোকসংগীত এক আটপৌরে জীবনের গান। প্রকৃতির রূপ বর্ণনা থেকে শুরু করে মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা, ভালোবাসা-বিচ্ছেদ ও সংগ্রামের এক কথ্য ইতিহাস বহন করে নিয়ে চলেছে।

সংগ্রামী মানুষ, যেখানেই থাকুন না কেন, সংগ্রামী চিন্তাকে তাঁর হাতিয়ার করে নেন। কালী দাশগুপ্ত-র জীবনেও তার অন্যথা হয়নি। ১৯৭২ সালে, হারিয়ে যাওয়া চরকের গান সংগ্রহের সূত্রে গৌরীপুর রাজবাড়ির কন্যা নীহারবালা বড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। ১৯৭৫ সালে কলকাতায় ফিরে আবার যান গৌহাটিতে। এবার লক্ষ্য ছিল বিহু, কামরূপী, বরগীত ইত্যাদি লোকসংগীত সংগ্রহ করা। নীহারবালা বড়ুয়ার সাহচর্য ও সহযোগিতা তাঁর এই লক্ষ্যকে বিস্তৃত করে তোলে। গোয়ালপাড়া অঞ্চলের প্রান্তিক মুসলিম মেয়েদের নিজস্ব গান সংগ্রহ করতে শুরু করেন। সংগীতের মধ্য দিয়ে লোকজীবন কত জীবন্তভাবে প্রকাশিত হতে পারে– তা কালী দাশগুপ্তের সংগৃহীত এইসব লোকসংগীত শুনলেই বোঝা যায়। লোকজীবনকে খুঁজে পাওয়া, অনুভব করা এবং তাকে সবার সামনে উপস্থাপনা করার লক্ষ্যে তিনি ঘুরতে থাকেন বাংলার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। কখনও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, কখনও উত্তরবঙ্গ, আবার কখনও-বা অধুনা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে। তাঁর অনুসন্ধিৎসা থেমে থাকেনি। আর সংগীত সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে সমাজের আধিপত্যকামী পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক আশ্চর্য প্রতিবাদের চিত্র গড়ে তুলেছেন একটু একটু করে। তাঁর সমাজ-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বীক্ষণে লোকসংগীতের অন্তর্লীন শ্রেণিবৈষম্য ও লিঙ্গবৈষম্য বিরোধী প্রতিবাদী স্বর ধরা পড়েছে বারবার। আর সেটাই তিনি সবার সামনে তুলে ধরেছেন একজন সক্রিয় সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে।

অসমে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে অসমের গণনাট্য সংঘের (IPTA) যোগাযোগ ঘটে। তাঁদের সূত্রেই পোঁছে যান অসমের চা বাগিচায়, কুলি মজুরদের বস্তিতে। ১৮৩৭ সালে উচ্চ-অসম উপত্যকায় ভারতের প্রথম চা বাগান তৈরি হয়। চায়ের বাণিজ্যিক সাফল্যের কারণে ধীরে ধীরে অসমের বিভিন্ন জায়গায় চা বাগিচা গড়ে উঠে। সেইসব চা বাগানে কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল সস্তার শ্রমিক। সস্তা শ্রমিকের জোগানের জন্য ব্রিটিশ শাসকের চোখ পড়ে মধ্য ভারত, ছোটনাগপুর ও সন্নিহিত অঞ্চলের গরিব আদিবাসী মানুষদের উপর। শুরু হয় এইসব অঞ্চল থেকে অসমে শ্রমিক চালানের কাজ। ১৮৮১ সালে অসমে রেলপথ স্থাপিত হয়। তার জন্য শ্রমিক চালান আরও বাড়তে থাকে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৮৭১-১৯২১ সময়কালে প্রায় ন’ লক্ষ সত্তর হাজার শ্রমিক চালান করা হয়েছিল অসমে। অসাধু কনট্রাক্টর, বাগান-মালিক ও আড়কাঠিদের (দালাল) যোগসাজসে চালান করা এই শ্রমিকরা চা বাগিচায় এসে এক কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়– এক দুর্বিষহ বঞ্চনার জীবন। তার মধ্যেও এঁরা ভুলে যাননি এঁদের সাংস্কৃতিক যাপনের শিকড়। চা বাগিচা, জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-উদ্যাপন, ক্ষোভ-প্রতিবাদের কথা ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাঁদের গানের মধ্যে দিয়েই। এই শ্রমিকদের সঙ্গে একত্র দিনযাপন করে কালী দাশগুপ্ত সংগ্রহ করে এনেছিলেন বিশেষ সুরের ঝুমুর গান। মধ্য ভারত ও ছোটনাগপুর অঞ্চল থেকে আসা শ্রমিকরা বহন করে এনেছিল তাঁদের আঞ্চলিক ঝুমুর সুরের ঐতিহ্য। সেই সুর আর ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সুর মিশে সৃষ্টি হয়েছিল এক অন্যরকম লোকসংগীতের ধারা– বাগিচা ঝুমুর। পরম যত্নে কালী দাশগুপ্ত সংগ্রহ করেছিলেন এই নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষদের জীবন সংগ্রামের দলিল। ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সর্বসাধারণের মধ্যে। ‘চল মিনি আসাম যাব’ বা ‘ছাতা ধরো হে দেওরা’– এইসব বহুল প্রচলিত লোকসংগীত আমাদের মুখে মুখে ফিরলেও হারিয়ে যায় এগুলির সংগ্রাহক কালী দাশগুপ্তের নাম।

কালী দাশগুপ্ত তাঁর জীবনের সাংস্কৃতিক যাত্রায়, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন এবং চর্চিত যাপনের মধ্য দিয়ে লোকগানের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন। একথা অনস্বীকার্য যে, বিনোদন লোকসংগীতের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই বিনোদন মঞ্চসফল বাণিজ্যমুখী বিনোদন নয়। বরং তার সঙ্গে মিশে থাকে যৌথযাপনের এক সপ্রাণ অনুভূতি। বর্তমানে লোকসংগীতের উপস্থাপনায় যে বিষয়টাই গৌণ হতে হতে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। যৌথযাপনের অনুভূতির স্থান নিয়েছে বাণিজ্যিক বিনোদন। মঞ্চে পরিবেশিত লোকগানে প্রবেশ করেছে বিকৃতি। মূলত নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত শিল্পী তথাকথিত বাণিজ্যিক সাফল্যের মোহে, লোকসংগীতের উপস্থাপনায় সস্তা চটকের আমদানি করছেন। বিশেষত লোকসংগীতের কথায় যখন তীব্র বঞ্চনা বা যন্ত্রণার প্রকাশ ঘটছে, তখন শিল্পী তালের মাদকতায় মাতাতে চাইছেন দর্শক-শ্রোতাকে। এই চিত্র যখন অহরহ আমাদের চোখে ধরা পড়ে, তখন সেই প্রেক্ষিতেই, জন্মশতবর্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে কালী দাশগুপ্তর কাজের তাৎপর্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মনে হয়, লোকসংগীতের সঠিক অনুধাবন ও মূল্যায়ন করতে গেলে, তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে হবে। আরও বেশি করে হাঁটতে হবে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved