আইনসভার বিবরণী ছাপার ব্যাপারে মানহানির অভিযোগ থেকে সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখাটা কতটা জরুরি, তা ফিরোজ গান্ধী অনুভব করেছিলেন।
কলকাতার জাঁকজমক থেকে দূরে থাকা, প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই চালচিত্র শিল্পী রেবা পাল। ৬০ বছর ধরে জড়িয়ে এই পেশায়। কিন্তু এই বছরের শরৎকালে কাশফুলের পাশে ফুটে উঠেছে তাঁর অপরিমেয় বিষণ্ণতা। কারণ হাতে আঁকা চালচিত্রর আজ কদর নেই। ডিজিটাল যুগ এসে, হাতে আঁকা শিল্পের কদর কমায়নি শুধু, অর্থপ্রাপ্তিরও পথগুলোও শীতের কুয়াশায় মিলিয়ে গিয়েছে।
যে যুগে বাংলা ভাষা নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় পায়নি, এ বই সে যুগের। যে যুগে রীতির বিপরীতে বাংলা সাহিত্য দুর্দান্ত স্পর্ধায় নিজেকে কেটেছে-ছিড়েছে, শার্টের বোতাম খুলে উন্মুক্ত বুকে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মাঝরাতে টহল দিয়েছে রাস্তায়, বিনা তোয়াক্কায়, এ বই সে যুগের।
দোলনা শুরু হওয়ার প্রায় বছর ১৫ আগে লীলা মজুমদার আশা করেছিলেন সমাজে এরকম ব্যবস্থা হবে যেখানে মায়েরা বাচ্চাদের রেখে চাকরি করতে যেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। দোলনার ক্রেশের ৫০-এর বেশি বছর কেটে গিয়েছে। তবে কলকাতা শহরে এরকম ব্যবস্থা এখনও বিশেষ নেই।
যাঁরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁদের গরিষ্ঠাংশ কিন্তু সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়েরই মানুষ। যাঁরা এই নির্বাচন কমিশনের নতুন ফরমানে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছেন মহিলারা এবং তা দু’ সম্প্রদায়েরই। এবং তাঁদের বেশিরভাগই অত্যন্ত গরিব এবং পিছিয়ে পড়া মহিলারা।
ভারতীয় বিদ্যাচর্চা পুরোপুরি গুরু-শিষ্য কেন্দ্রিক। যার নিয়ম হল গুরুকে একাগ্রতার সঙ্গে শোনা, পূর্ণভাবে সমর্পণ, গুরু উপদেশে পূর্ণ বিশ্বাস, আর গুরুদত্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করা। এই ভাবেই ধীরে ধীরে বিদ্যার্থী মনের চেতন ও অবচেতন স্তরগুলোকে অতিক্রম করে বিদ্যার যথার্থ রূপ লাভ করতে সক্ষম হয়।
বাংলায় যে শব্দটির বানান নিয়ে সবচেয়ে বেশি পারমুটেশন ও কম্বিনেশন করা হয়েছে, তার নাম প্রস্রাব। তিন অক্ষরের এই শব্দের কত ধরনের বানান আজ অবধি চোখে পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আর ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন না’ সাবধানবাণীর শেষ শব্দ ‘না’-টি সম্ভবত কর্পূর দিয়ে তৈরি।
একটি উনত্রিশের মেয়ের এই সহজতা আসে কেমন করে, নির্ভীক বলে যেতে পারেন যে তাঁর দেশের সরকার আসলে দেশের মানুষের শিক্ষা শিকেয় তুলেছে। সামান্য ভয়টুকুও তো কণ্ঠে প্রকাশ পায় না! অনুপর্ণা কি তবে সত্যি সত্যি, সত্যি?
নানা নামের পুকুর নানা যুগের স্মৃতি বহন করে চলেছে। এমন অনেক জনজাতি ছিল, যারা গ্রাম থেকে লুপ্ত, যেমন– তুরুক পুকুর। মধ্যযুগের তুর্কিদের স্মৃতি উথলে ওঠে। কিংবা গর্দানমারীর পুকুর। গর্দানমারী নামক ঠগী বা ঠ্যাঙ্গারে দস্যুরা অতীতে এই পুকুরের পাড়ে তাদের আড্ডা গড়ে তুলেছিল।
সুবর্ণরেখার ইন্দ্রদাকে সকলেই একডাকে চিনতেন, সেই তুলনায় বিমলদার পরিচিতি কী আর! কিন্তু দাদা ইন্দ্রনাথের ওপর আলো এসে পড়ত বলে বিমলদা ক্ষুণ্ণ হতেন না। বরং চাইতেন ইন্দ্রদার কথা লোকের কাছে পৌঁছে যাক।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved