Robbar

‘হোমবাউন্ড’ শুধুই দুঃখের বিবরণ দেয়, দুঃখের কারণকে প্রশ্ন করে না

ছবিটি তার সকল চরিত্র আর তাদের হতাশা নিয়ে নিরাপদ একটি দূরত্বে গড়ে উঠেছে। চরিত্ররা দুঃখ পায়, কিন্তু দুঃখের কারণকে প্রশ্ন করে না, চরিত্ররা হতাশ হয়, হতাশার উৎসকে জানার চেষ্টা করে না।

→

বই দাঁড় করিয়ে রাখা হত বলেই স্পাইনে শিরোনাম লেখার রীতি!

প্রথম দিকে স্পাইনের ওপর শিরোনাম লেখা হত হাতের লেখা এবং আঁকা অক্ষরে। পরে মুদ্রণযন্ত্রে ছাপা লেবেল যুক্ত করা শুরু হয়। ১৭০০ শতক থেকে বইয়ের তাক সাজানোর জন্য স্পাইনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশক– সব কিছু স্পাইনে ছাপা হতে শুরু করে।

→

শান্তির বিনিময়ে কী? প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল?

তৃতীয় বিশ্বের কিছু আন্দোলনকারী, বিশেষত সে যদি পুঁজির দালাল হয়, তাকে এই ধরনের শান্তি পুরস্কারের মাধ্যমে মহিমামণ্ডিত করে তার হাত ধরে তৃতীয় বিশ্বে পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটানো বা সাম্রাজ্যবাদের হাত শক্ত করার প্রচেষ্টাও আমরা এর আগে দেখেছি. এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই পুরস্কার বিশেষ করে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের।

→

ক্লার্ক-ডেভোরেট-মার্টিনিসের নোবেল জয় বৃহতের মধ্যে ক্ষুদ্রের ধর্ম আবিষ্কারের এক মাইলফলক

১৯৮৪-’৮৫ সাল নাগাদ গবেষণাগারে পরপর কিছু পরীক্ষা করেন এই বিজ্ঞানী-ত্রয়ী। তখন অধ্যাপক ক্লার্ক ছিলেন সেই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক, ডেভোরেট ছিলেন পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক এবং মার্টিনিস পিএইচডি গবেষণারত ছাত্র। কোয়ান্টাম গতিবিদ্যার এক নতুনতর ভেলকিবাজি উন্মোচিত হয়েছিল তাঁদের সেই পরীক্ষায়।

→

মেয়েরা সমানাধিকার চাইলেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম

কবিতা, উপন্যাস, আত্মজীবনী। লিখতে লিখতেই দেশ ছাড়া, কলকাতা ছাড়া। লিখে যাওয়া তবু। মেয়েদের জন্য কথা বলে যাওয়া। শিকড় তাঁকে আজও টানে। পিছুটান আছে তাঁর এখনও। জানাচ্ছেন একান্ত সাক্ষাৎকারে তসলিমা নাসরিন।

→

প্রাপ্য ছুটি নিতেই যখন ইতস্তত বোধ হয় তখন অফিস ফুরলেই ‘ডিসকানেক্ট’, কতটুকু বাস্তবসম্মত?

সম্প্রতি ৩ অক্টোবর, ২০২৫-এ কেরল সরকার একটি বিল অনুমোদন করেছেন– ‘Right to disconnect’. এই বিল কর্মজীবী মানুষের মানসিক স্বাস্থ‍্য ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রস্তাবিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বলা হয়েছে, নির্ধারিত কাজের সময় শেষ হওয়ার পর কোনও কর্মচারীকে অফিসের কল, মেইল বা মেসেজের উত্তর দিতে বাধ্য করা যাবে না।

→

সূর্যাস্তে ক্লান্ত পাখিদের ফেরা আসলে আত্মসমর্পণ, যা রাগসংগীতের কাছাকাছি, মনে করতেন নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়

নিখিল ছিলেন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক সুন্দর মিশ্রণ, ‘মহান অপবিত্র’ (Great Impurist) বলে যাঁকে পণ্ডিত রবিশঙ্কর মজা করে ডাকতেন, সেই আলাউদ্দিন খানের শিষ্য হয়েও তিনি জীবনে ছিলেন প্রগতিশীল ও মুক্তমনা। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিশেষ লেখা।

→

রাজনীতিকে তত্ত্বে আটকে রাখলে এদেশে গরিবের ভালোর চেয়ে মন্দ হয় বেশি, বলতেন অজিতেশ

মৃত্যুর কিছুদিন আগে কেয়ার মরদেহের সামনে অজিতেশ বলে উঠেছিলেন, ‘কমরেড কেয়া আমরা তোমায় ভুলছি না, ভুলব না।’ আর এদিনের মহাযাত্রায় সেই কমরেড, যিনি একদিন কোলিয়ারি থেকে ‘মহৎ উদ্দেশে পাড়ি দিয়াছিল’!

→

রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ‘বিশিষ্টজন’দের চিনতেন, তাই কেয়া চক্রবর্তীর মৃত্যুতদন্তে সই সংগ্রহে আপত্তি ছিল অজিতেশদার

‘এই সইগুলো আমরা করাব, খবরের কাগজ সংবাদ তৈরি করবে, কিন্তু আর কী হবে? কিচ্ছু হবে না। হলে সিনেমার লোকজনরাই প্রতিবাদ করত, এগিয়ে আসত। আমার কথা মিলিয়ে নিও।’ অজিতদার দৃঢ় কথাগুলো আজ মনে হয় একদম ঠিক।

→

সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি

একমাত্র তিনিই পারেন এইভাবে আমাদের তাঁর গদ্যের অক্টপাস আকর্ষণে অতল সমুদ্রে নিয়ে যেতে। সেই অতলে স্মৃতি-বিস্মৃতি মিলে মিশে তৈরি করেছে অস্পষ্ট আতঙ্কের এক অমোঘ তারল্য।

→