Robbar

জাকির হুসেনের ছায়া থেকে আমায় বের করে এনেছিলেন জাকির হুসেন

‘এই যে এখন বিক্রম অনেক বড় বড় কথা বলছে; আপনারা জানেন না, আমি কিন্তু একসময় ওকে বেবিসিট করিয়েছি!’ বলে, মঞ্চে বসেই আমার গালে চুমু খেয়ে নিলেন। আমাদের সম্পর্কটাই এমন। স্নেহের, ছেলেমানুষির। ঈশ্বরকে স্পর্শ করা যায় না। আমি জাকির হুসেনকে স্পর্শ করেছি। উনি আমার ঈশ্বর নন। পিতা, মাতা, গুরু কেউ নন– ‘হিরো’। ‘হিরো’দের কখনও মৃত্যু হয় না।

→

বিজ্ঞানই দর্শনকে গঠন করবে, ধর্ম নয়, ভেবেছিলেন জীবনানন্দ

আপেক্ষিকতা প্রথম দৃঢ়ভাবে খণ্ডিত হল বনলতা সেন বইটির 'অন্ধকার' কবিতায়। 'অনন্ত আকাশগ্রন্থি'। ‘অনন্ত’ শব্দটির ‘মুক্তি’ ও ‘গ্রন্থি’ শব্দটির বন্ধন অত্যন্ত প্রখরভাবে ইঙ্গিত দেয় আইনস্টাইনীয় মহাবিকর্ষে কল্পিত finite yet unbounded universe-এর।

→

বাংলার পটেশ্বরী দুর্গা

মূর্তিপূজোয় বাধা-নিষেধ এড়ানোর জন্য সহজভাবে বহন করা যায় হাতে আঁকা দুর্গাপটই হয়ে উঠেছিল হয়ে উঠেছিল সেই সময় মানুষদের প্রথম পছন্দ। সেই ধারা ও ঐতিহ্য এবং পরম্পরা বাংলা ও বাঙালির বুকে এখনও বহমান।

→

ভাদু পরব মানে দুঃখের সঙ্গে লড়াই

সব মিলিয়ে, ভাদু গান, ভাদুর কিংবদন্তিকে বড় ভালোবেসে জড়িয়ে রাখে রহস্য। যে গান, যে উৎসবের গড়ন, রীতি রাজপরিবারের দরবার ছাড়িয়ে নেমে এসেছে মাটিতে। ঔপনিবেশিক সময়ের এক রাজকন্যার গল্প কীভাবে এমন একটি লোকউৎসবের জন্ম দেয়– তা নিয়ে বিশদে তর্ক চলতে পারে। কেউ কেউ বলেন, ভাদুর গল্প আসলে আরও সুপ্রাচীন।

→

কামনা-বাসনার আলো-আঁধারি পেরিয়ে বিমল কর পৌঁছন ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে

বিমল কর নিহিত সেই পাতালের মুখ– কখনও যা সামাজিক ঔচিত্যের বিধানে নাড়া দেয়– অকপটে খুলে ধরেন, কিন্তু আখেরে পৌঁছে দিতে চান কামনার স্থূল অন্ধিসন্ধি পেরিয়ে ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে। গোপন কামনা-বাসনার খবরাখবর মেলে ধরা গেলে সেই সূত্র গোটা মানুষের কাছে নিয়ে যায়, প্রকৃত অবস্থান বোঝা যায় তাঁর।

→

রবীন্দ্রপ্রয়াণের পরই শান্তিনিকেতনে দ্বিতীয় জন্ম হয়েছিল সুচিত্রা মিত্রর

‘আমি আর যাব না ওখানে। কেন যাব? কার কাছে যাব?’ আর আজ যখন তিনি সেই শান্তিনিকেতনে এলেন তাঁর দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে এল? কেন এমন হল? এর কারণ কি তবে সেই রবীন্দ্রনাথ? তিনি সেই মাটিকে স্পর্শ করলেন, অনুভব করলেন রবীন্দ্রনাথকে, আর তখনই অল্পবয়সি মেয়েটির চোখ ভারী হয়ে এল।

→

শরতে উপেক্ষিত: বাগবাজারের শাশ্বত প্রতিমার চোখ আঁকেন, অথচ লোকচক্ষুর আড়ালে শিল্পী ‘খোকাদা’!

বাগবাজার সর্বজনীনের দুর্গা মাতৃপ্রতিমার যে চিরায়ত চোখ, ‘বাংলা’ চোখ– তা তাঁরই আঁকা। বহু মানুষের ভিড়, বহু মানুষের আশা, ভক্তির আয়ু বাড়ে এই প্রতিমার চোখের দিকে তাকিয়েই। কিন্তু এত আলো-শব্দ-উৎসব– কোনওকিছুই চেনায় না সেই শিল্পীকে, যিনি দীর্ঘকাল ধরে চোখ এঁকে চলেছেন এই দুর্গাপ্রতিমার। তিনি খোকাদা।

→

রান্নাঘরে প্রযুক্তির দৌলতে চাকুরিরতা মেয়েরা সময়কে বাগে আনতে পেরেছিলেন

যাঁরা রান্নাঘরে এই সুবিধাগুলি পেয়েছিলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে সময়কে একটু বাগে আনতে পেরেছিলেন। কেউ একবারে দু’দিনের রান্না করে ফ্রিজে জমিয়ে রাখতে পারতেন, কেউ প্রেসার কুকারে খাবার বানিয়ে খানিকটা সময় বাঁচাতেন, কারও বা রান্নার জোগাড় গ্যাসের দৌলতে কিছুটা সহজ হয়ে যেত।

→

কলকাতা কি আছে কলকাতাতেই?

বাঙালি কর্মকেই ধর্ম করেছিল। এখন ধর্মকে কর্ম বানানোর উদ্যোগ চালু হয়েছে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার রিল হোক বা রাজনীতির মঞ্চ।

→

ফরিদপুর শহরে জগদীশের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন এক জেলখাটা দুর্ধর্ষ ডাকাত

যার কাঁধে চেপে স্কুলে যেতেন জগদীশচন্দ্র বসু। পাঁচ বছর বয়সে জগদীশের জন্য একটি ঘোড়া কেনা হয়। ডাকাতের কাঁধ থেকে সেই টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ফরিদপুর শহর।

→