দীর্ঘ আখ্যান পরিক্রমার পর 'দান ছাড়ব না' এই প্রতিজ্ঞা সম্বল করে, নতুন সময়ের বড়ায়িনন্দন, বিশ্বজিৎ-এর কথকতাকে অভিনন্দন জানাই
নাতিদীর্ঘ লেখায় শব্দের মায়াজাল, তা দিয়েই স্বভুঁই ও বিভুঁইকে বাঁধতে চেয়েছেন লেখক বৈজয়ন্ত।
ছোট্ট বইয়ের সংক্ষিপ্ত যাত্রা দ্রুত ফুরোয়, কিন্তু সেই সময়ের গন্ধ ঘিরেই থাকে পাঠককে।
'কৃষ্ণপ্রসন্নর খেরোর খাতা' আর 'মৃত্যুর জবানবন্দি' তাই আদতে পৃথক থাকতে পারে না, দু'য়ে মিলেই এক আখ্যান। যা উপন্যাসের আঙ্গিক নিয়েও পাঠকের সঙ্গে অন্যরকম মোলাকাত প্রত্যাশা করছে।
আত্মজীবনীতে কথা বলে ওঠে ইতিহাস। 'স্মৃতির সরণি বেয়ে' সে জাতীয় নয়। ক্ষমতার অলিন্দে থেকে সেই ক্ষমতার বিকৃত রূপ তুলে ধরে না এই গ্রন্থ। বরং দাঁড়িয়ে থাকে বেশ খানিকটা বাইরে।
না, শিরোনামে ভুল নেই। যদিও এই নামের কবিতার বইও নেই। তাহলে ব্যাপারটা কী?
খর্ব রাজনীতির কাটাকুটির ঊর্ধ্বে গিয়ে মহাকাশযান হয়ে উঠেছে এক হারানো পৃথিবীর আশ্রয়বৃত্ত, যেখানে কোনও দেশের মানুষ অন্য কারও থেকে বেশি গুরুত্বের নয়।
মাতলার বাঘবনে সালওয়াড়ি বাঘের সংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধির বিবরণ, অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ, পাখ-পাখালি, মাছ প্রভৃতি জীববৈচিত্র্য এবং সুন্দরবনের জঙ্গল ও ভূমিরূপের বৈচিত্র্য ও ঘনত্ব নিয়ে এমন তথ্যবহুল পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা পত্রিকাটির মান বাড়িয়েছে।
এই স্মৃতিচিত্রকথাকে কি তাহলে উপন্যাস বলব? চেনা ধারণায় হয়তো সেভাবে আঁটানো যাবে না। কেউ মানতে না-চাইলে আপত্তি নেই, জোরাজুরিও নেই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved