E-Robbar
‘আধুনিকতা ও রবীন্দ্রনাথ’ বইটির সময় আমি স্বপনদার সঙ্গেই পার্ক সার্কাসে আইয়ুবের বাড়িতে, ৫ নম্বর পার্ল রোডে গিয়েছি। বুদ্ধদেব বসুর বাড়িতে যেমন একটা পরিশীলিত সৌন্দর্যের ছাপ ছিল, আইয়ুবের বাড়িতেও ঠিক তেমনই ছিমছাম সৌন্দর্য দেখেছিলাম।
সুধাংশুশেখর দে ও
লীলা মজুমদারের ‘মণি-মাণিক’ বইটির প্রসঙ্গে সুনীল জানার নাম করেছিলাম। সুনীলবাবু আবার হাইস্কুলে আমাদের বাংলার মাস্টারমশাই ছিলেন।
আটের দশক জুড়ে কার্তিকদার সঙ্গে জুটি বেঁধে আমি প্রচুর ছোটদের বই প্রকাশ করেছি। কার্তিকদা কোনও দিনই দে’জ পাবলিশিংয়ের কর্মী ছিলেন না। কিন্তু আমাদের প্রকাশনার শিশুসাহিত্য বিভাগে তাঁর অবদান ভোলার নয়।
বইটি বিক্রি এবং প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সত্যজিৎ রায়-এর পরিবারের পক্ষ থেকে সিটি সিভিল কোর্টের ১৩ নম্বর বেঞ্চে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমার বাইশ বছরের প্রকাশক জীবনে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
চিঠি লিখে ২৫তম মধুচন্দ্রিমায় হানিমুন সুইটে যাওয়ার নেমতন্ন করেছিলাম বুদ্ধদেব গুহ ও ঋতু গুহকে।
পুজো সংখ্যায় না-বেরনো উপন্যাস বিক্রি হয় না, অন্তত পুজোর সময় তো হয়ই না, এই সংস্কার ভাঙতে পেরে বুদ্ধদেব গুহ খুব তৃপ্ত হয়েছিলেন।
মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি অতুলনীয় কাজ আমরা ছাপতে পেরেছিলাম– ‘হরবোলা’। সম্ভবত এই নামে মানবদা একটি পত্রিকা শুরু করেছিলেন। সেই পত্রিকার নির্বাচিত রচনা ছাপা হয়েছিল এই সংকলনে।