E-Robbar
মানুষকে ভালোবাসবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল শক্তিদার। তাঁর আবদার ফেলবার কথা আমি ভাবতেও পারতাম না।
সুধাংশুশেখর দে ও
প্রেস-ইন-চার্জ এসে প্রফুল্লদাকে না কি জিগ্যেস করেন– এটা কেমন পাণ্ডুলিপি পাঠানো হয়েছে। প্রফুল্লদা তখনও বিষয়টার ধরতাই না পেয়ে সরল বিশ্বাসে বলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস পাঠিয়েছেন, তা নিয়ে আবার সমস্যার কী থাকতে পারে ! তখন প্রেসের সেই ভদ্রলোক না কি পাণ্ডুলিপি দেখিয়ে বলেন, তিনি এমন বিচিত্র পাণ্ডুলিপি জীবনে দেখেননি !
শঙ্কুদার সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া মানে ইতিহাস-ভূগোল-পুরাণের এনসাইক্লোপিডিয়ার সঙ্গে বেরিয়ে পড়া। গোয়ায় পর্তুগিজদের আসার ইতিহাস থেকে শুরু করে ওখানকার চারটি বিখ্যাত গির্জা আর অসংখ্য মন্দির এবং সব জায়গার অমূল্য সব শিল্পকীর্তি-স্থাপত্যকলা আমাদের খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখিয়েছিলেন শঙ্কুদা।
আমার ধারণা বাংলাদেশে এ-পারের লেখকদের আইনি পথে আমদানি করা বইয়ের চেয়ে জাল বই বেশি বিক্রি হয়।
আমরা এক সময় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায়, অংশুমান রায়ের সুরে ও কণ্ঠে ‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে/ লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি/ আকাশে বাতাসে ওঠে রণি/ বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’ গান শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছি– তাই বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি খুবই মুষড়ে পড়েছিলাম।
‘দৃষ্টিপাত’ অমন সাফল্যের পরও আর ওইরকম লেখা লেখেননি। আমার ধারণা এই অর্থেও তাঁর যাযাবর নাম সার্থক। নিজের লেখালিখি নিয়ে তিনি বলতেন– ‘আমার কোনো নেশা নেই। শখ আছে। সাহিত্য তার মধ্যে একটি। আমার লেখার পেছনে কোনো নেশা নেই। আছে তুষ্টি। নিজের খুশিতে লিখি। মাঠে রাখাল ছেলে যেমন বাঁশি বাজায়।’
নতুন লেখককে এড়িয়ে গিয়ে পুরনো লেখকদেরই বই ক্রমাগত করে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের চিন্তার স্থবিরতা আছে বলে আমার মনে হয়। একটু গভীরে গেলে মনে হয়, রয়্যালটি যুক্ত বই-ই প্রকাশকের পক্ষে মঙ্গলদায়ক, সুবিধে অনেকগুলো। একই বইয়ের দশ-পনেরো রকম সংস্করণ বাজারে থাকবে না। বইটা আপনি নির্ভয়ে প্রচার করতে পারবেন।