আমরা নিজেরাও আমাদের চারপাশের মানুষ সম্পর্কে একটা নির্দিষ্ট ধারণা গড়ে নিই। সেই ধারণাকে ঘিরে একটা বেড়া তৈরি করি। সেখান থেকে কেউ একটু এদিক-ওদিক হলেই মুশকিল! ঋতুদা, আমাদের ঋতুদা– সে সারাক্ষণ নানা বৌদ্ধিক আড্ডার শিরোমণি, তাকে সেটুকু দেখতেই আমি স্বচ্ছন্দ, হিসেবের বাইরে হলে, মেলাতে অসুবিধে। ঋতুদার যে একটা অন্য মন থাকতে পারে, ভেবেই দেখিনি কখনও।
সেই সময়ের ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিকদের দেখার চোখ ছিল আরও ক্ষুরধার। এইরকম সমালোচকদের অত্যন্ত প্রিয় জঁর ছিল ফিল্ম নোয়া, এবং প্রিয় চরিত্র ছিল এই ‘ফাম ফাতাল’। কারণ এই চরিত্রের পিছনে তাঁরা দেখতে পেতেন সমকালীন পুরুষদের অ্যাংজাইটি এবং সমকালীন নারীদের স্বাধীনতার ডিজায়ার।
১৮১১ সাল। রামমোহন ৩৯। মারা গেলেন তাঁর দাদা জগমোহন। বিধবা হলেন সুন্দরী যুবতী সরস্বতী। রামমোহন আর সরস্বতীর মধুর সম্পর্ক। হিন্দু সমাজপতিদের কী মহানন্দ! রামমোহনের সামনে দাদার চিতায় পুড়িয়ে মারা হবে রামমোহনের সরস্বতীকে।
তিনি মৃত কি মৃত নন বড় কথা নয়– বহু সোভিয়েত নাগরিকের ধারণা ছিল তাদের দুঃখ-দুর্দশার একটা সদুত্তর লেনিনই দিতে পারেন। অধিকাংশ চিঠিই আসত ট্রান্সককেশাস ও মধ্য এশিয়া থেকে।
মানুষ পাপাচারী। সে সদাই বেঁচে থাকার অর্থে নানাবিধ পাপে লিপ্ত থাকে। লোভে পাপ, পাপই জীবন। ফলে সে সংশয়ী আর ভীত। তাই শনিতে আমাদের বড়ই ভয়। তার বাহনের ওই কদাকার রূপ সেই ভয়কে ভয়াবহ করে তোলে।
জীবনে প্রথম প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ইলাস্ট্রেশন নিয়ে। বিশেষ করে জোর দিয়েছিলাম হাইব্রিড জন্তু-জানোয়ার বানানোর দিকটায়। সেই লেখায় রায়সাহেব আমার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির মার্জিনে কিছু কিছু সংশোধনী নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষকের মতো হাতের লেখায়। বারবার ছুঁয়ে দেখেছি মার্জিনে সে হাতের লেখা।
কলকাতার ট্রামলাইনের পথ ছেড়ে শান্তিনিকেতনের ছায়া সুনিবিড় পথের হাঁটা ও মাঝে মাঝে খরতর দিবাকর স্পর্শ পাঠক উপভোগ করুন। এই পর্বে দেখা হয়েছে দুই নিবিড় প্রাবন্ধিক, ভবতোষ দত্ত ও নেপাল মজুমদারের সঙ্গে।
আকাশবাণীতে ঋত্বিক ঘটক স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন, ‘আমি স্বদেশি লোক। সিগারেট নয়, বিড়ি খাই। আপনারা আপনাদের নিয়ম পাল্টান। আর্টিস্টরা বিড়ি খাবে না– এটা হতে পারে না।’
কৈশোরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জামালপুরের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিল রং-তুলি কাগজ, কাঠের বোর্ড আর তামার পাতের মাথাওয়ালা খানকতক বোর্ড পিন। যখন মায়ের হাতে ট্রাঙ্ক, বিছানা, বাসনকোসনের বোঝা, তখনও তাঁর আশ্রয় ওই রং-তুলি। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় বাড়িতে যেখানে পড়তে বসতেন, তার মুখোমুখি জানলাটি চিরকালের জন্য বন্ধ করে নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়ে যান।
২০২৫ এর আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ পেলেন বানু মুশতাক। সাড়া পৃথিবী জুড়ে বিক্রি হবে তাঁর ১২টি গল্প নিয়ে এই বই– ‘হার্ট ল্যাম্প’। এই বই প্রকাশিত হয়েই বাজিমাত করেছে। এই প্রথম কোনও ছোটগল্পের বই বুকার পেল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved