প্রথম প্রথম ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে ব্যবহারে গ্রাহকদের যেন অস্বস্তি ছিল কিছুটা। ঠিক যেন ভরসা করতে পারতেন না তাঁরা ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীদের।
১৯৯১ সালের ১৪ মে ক্রিকালিয়োভ্ যখন মহাকাশ-যাত্রা করেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনও ভাঙেনি। মিখাইল গর্বাচ্যোভ তখনও প্রেসিডেন্ট, তখনও ক্রেমলিনের মাথার উপর সগর্বে উড়ছে কাস্তে-হাতুড়ি লাঞ্ছিত লাল পতাকা, তখনও কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতাসীন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া ছেড়ে ‘সানডে অবজার্ভার’-এ যোগ দিলেন প্রীতীশদা। কাগজকে পপুলার করার জন্য উনি জুড়ে দিলেন সিনেমা বিভাগ। আমাকেও সঙ্গে জড়িয়ে নিলেন। দিলেন পুরো ব্রড সিটের একটা ফুল পেজ, যেখানে ফিল্মস্টারদের মুখ আঁকতে হবে। কাগজ যেমন পপুলার হল, আমিও তেমনই পপুলার হয়ে গেলাম মুম্বইয়ে।
টেলিগ্রামের ভাষাটা ছোট করতে হত। কারণ প্রতিটি শব্দের জন্য পয়সা দিতে হত। এমনকী, কমা ফুলস্টপের জন্যও। নবনীতা দেবসেনের দশম বিবাহবার্ষিকীতে অর্মত্য সেন বিদেশ থেকে নবনীতাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন– ‘ট্রিট দিস পেপার অ্যাজ ফ্লাওয়ার।’
কোথায় আমেরিকায় সেই আম-সংস্কৃতি! কোথায় আমেরিকায় আমের বাজারে সেই স্বাদ-গন্ধ-রং তরিবত? ওইগুলো আম না আমের মড়া?
‘রবীন্দ্র-চিত্রকলা: রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা’ বইটির একটি জাপানি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। একটি চিঠিতে সোমেন্দ্রনাথ আমাকে জানিয়েছিলেন সেই কথা, যে, Sea Mail-এ নাকি সেই বই আসছে। এলে আমার জন্যও একটি কপি থাকবে। সে-বই নিশ্চয়ই ট্যাংরা এলাকার পাগলাডাঙায় আমাদের লাইব্রেরিতে খুঁজলে পাওয়া যাবে।
পুরনো টলিপাড়ার অভিনেতাগণ দলে-দলে আসতেন এক কালে। নৃপতি চট্টোপাধ্যায়। বসন্ত চৌধুরী। অনিল চট্টোপাধ্যায়। ছবি বিশ্বাসকেও নাকি দেখা যেত মাঝে-সাঝে। আর আসতেন ঋত্বিক ঘটক। কলকাতায় থাকলে, প্রায়ই।
ভাগ্যের নামে জীবন চালায় যারা তাদের জন্য চোখের নাচন একটি সিরিয়াস ব্যাপার, নির্ভেজাল পয়া আর অপয়ার গল্প।
নিজের মা তীর্থমণির নাম অনুসারে বাড়িটির নাম রাখেন 'তীর্থ নিবাস'। এই তীর্থ নিবাসে সেই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল। হঠাৎ হঠাৎ বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র দাস তাঁর ‘শান্তিসেনা’ নিয়ে চলে আসতেন দুপুররাত্রে ঝিলটুলিতে, সকলের খাওয়ার রান্না একহাতে করতেন মৃণাল সেনের মা সরযূবালা সেন।
দীর্ঘ সময়ের কাজ, রাস্তায় অনেকক্ষণ কাটানো, শৌচালয়ের অভাব, পথের নানা বিপদ, চাকরি টেকার অনিশ্চয়তা, পুরুষ সহকর্মীদের শ্লেষ, বসের হাতে হেনস্থার ভয়, কাজটা সহজ ছিল না 'মহিলা সেলসম্যান'দের। বড়লোক কাস্টমারদের মেজাজের ওঠানামাও সামলাতে হত তাঁদের।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved