মাঝেমধ্যে নিজেরা খাতা খুলে চমকেও উঠতাম। জমার যা বহর তাতে কপালে খাবার না জোটারই কথা। মেসে তবু উপোসের রীতি নেই। কেউ-না-কেউ খাইখরচ দিয়েই দেয়।
অডিটোরিয়াম থেকে ব্যাক স্টেজে আসার যে দরজা সেটা দিয়ে উঠে আসছিল খুব রোগা মতো একটি ছেলে, গায়ের রংটা শ্যামলা, তাকে দেখে বলি, ‘একটু দেখবেন ভাই, অডিটোরিয়াম এ সামনের রো-তে রশিদ খান বলে কেউ আছেন কিনা’, সে শুধু বলল, ‘জি’, আবারও বলি, ‘প্লিজ একটু দেখবেন’, আমি তখনও তাঁকে ভাবছি ‘usher’ জাতীয় কেউ। এবার সে একটু ইতস্তত করে নম্রভঙ্গীতে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলে, ‘জি, ম্যায় হুঁ’।
আশ্চর্য ভাষা এবং ইঙ্গিতে ম্যাগি ও’ফ্যারেল তাঁর উপন্যাসে ফুটিয়ে তুললেন শেক্সপিয়রের বালক-পুত্রের এই অসহায়তা এবং একাকিত্ব।
তখনও সোভিয়েত ইউনিয়নে কম্পিউটারের তেমন চল হয়নি, বিদেশি ছাত্ররা সেই সময় সিঙ্গাপুরে গিয়ে কম্পিউটার কিনে এনে স্থানীয় বাজারে কয়েকজন চড়া দরে বিক্রি করত।
তখনকার দিনে অদ্ভুত কিছু কিছু মঞ্চের শিল্প ছিল, যেমন হরবোলা, হাস্যকৌতুক ইত্যাদি। যোগেশদা হাস্যকৌতুক করতেন শুরুর দিকে এবং তারপরে অঙ্গভঙ্গি করে হাস্যকৌতুকের সঙ্গে শরীরকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন। সেটা নিঃসন্দেহে তাঁর নিজস্ব।
লীলা মজুমদারের ‘মণি-মাণিক’ বইটির প্রসঙ্গে সুনীল জানার নাম করেছিলাম। সুনীলবাবু আবার হাইস্কুলে আমাদের বাংলার মাস্টারমশাই ছিলেন।
ব্যঙ্গ করে গানের দল বলে, ‘আমরা পাঞ্জাবীদের প্যাঁইয়া বলি, মাড়োয়ারি মাউরা/তবু নন-কমিউনাল দেয়াল লিখি ক্যালকাটা টু হাওড়া!’
'আজ কি রাত, হোনা হ্যায় কেয়া'-র সুরে রুপোলি পোশাকে ঝকমকে গোলকের ওপর বসে নেমে আসছেন যখন প্রিয়াঙ্কা, অস্থির হয়ে উঠছি একটু একটু করে। বড়ও হচ্ছি।
শেষবারের মতো তালা দিলাম দরজায়। বহুবার এই ঘরে বন্ধুরা মেতেছি তরজায়। সেসব নয় আবার নতুন করে ফিরে পাওয়া যাবে। শুধু পড়ে রইল সেই শোকধ্বনিতে জেগে ওঠা মাঝরাত্তির।
অভিনয়ের জন্য অভিনেতার একটু অন্ধকার চাই। অন্ধকারেই তো অভিনয় ফোটে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved