Robbar

রোজনামচা

বাংলাদেশে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে বসে নিজের শ্বাসের আওয়াজকেও বিরক্তিকর ঠেকেছিল

আপনার অসামান্য গানগুলো নিরাপদেই আছে, আমাদের বুকে বুকে, স্লোগানে স্লোগানে, মিছিলে মিছিলে, লাল টুকটুকে স্বপ্নগুলোতে, আর চোখের পানিতে!

→

আমার প্রথম দেখা একজন পারফর্মার, যিনি ভীষণ প্রাকৃতিক

প্রথম আলাপে আমাকে প্রতুলদা বলেছিল, তুমি ‘ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা’ বললে কেন? আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেছিলাম, একটু আমতা করতে করতেই, বললেন, তোমার ‘ঘুম পেয়েছে অফিস যা’ বলা উচিত ছিল।

→

প্রতুলদার মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিপ্রেম কূপমণ্ডুকের ‘বাঙালিয়ানা’র সঙ্গে মেলে না

উগ্র বাঙালিয়ানার চোখ দিয়ে ‘আমি বাংলায় গান গাই'কে দেখাটাও ভুল। এই গানে গঙ্গা পদ্মায় সাত নদী তেরো সমুদ্রকে খুঁজে পাওয়া যেমন আছে, তেমনই আছে বাংলাকে ভালোবেসে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসার কথাও।

→

সহজবোধ্য নয়, এমন কবিতাই গানের জন্য বেছে নিয়েছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়

এই চ্যালেঞ্জটা প্রতুলদা ইচ্ছে করেই নিতেন। এবং খুব সহজে উতরোতেন।

→

‘আমি বাংলায় গান গাই’ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রকৃত পরিচয় নয়

আমি যদি এ জীবনে একজনও প্রকৃত নিরীক্ষামনস্ক নাগরিক মধ্যবিত্ত বাংলাভাষী সংগীতকার দেখে থাকি– তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ওঁর চেয়ে নিরীক্ষামনস্ক কেউ কোনও দিনই আসেননি। ওঁর ধারে-কাছে আমি তো নেই, কেউ-ই নেই।

→

নিষিদ্ধ কালো শাড়িতে ইকবাল বানো গাইলেন ‘হাম দেখেঙ্গে’, সেই সুরে মিশে গেল জিয়ার বিরুদ্ধে ইনকিলাবের ডাক

আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৩৯ বছর আগে জিয়ার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ইকবাল বানো নিষিদ্ধ কালো শাড়ি পরে মঞ্চে ওঠেন, ৫০,০০০ মানুষের সামনে গান ‘হাম দেখেঙ্গে’। রাতারাতি নিষিদ্ধ হন তিনি। তাতে কী? ততক্ষণে জেগে উঠেছে জনতা। রাষ্ট্রের নজরদারি এড়িয়ে সেই গানের রেকর্ডিং মুহূর্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

→

আমার কাছে আমার দ্বিতীয় বইটারও কোনও কপি নেই

আমি যে বইটাকে আমার প্রথম বই ভাবতাম, সেটা আসলে আমার দ্বিতীয় বই। এটা মনে পড়তেই অনেক হিসেব গোলমাল হয়ে গেল।

→

বাতিল ছোটগল্পকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল আমার দ্বিতীয় উপন্যাস

এই উপন্যাসটি নানা প্রতিক্রিয়া জাগায়। প্রাক্তন নকশালরা বিরক্ত হন। আত্মহত্যার ঘটনাটি কষ্টকল্পনা মনে হয় কোনও কোনও লেখক-সমালোচকের। আমি শুনে হাসি। একেই বলে ‘ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন’।

→

‘হন্যমান’ পড়ে মানুষের অকূল ভালোবাসা, অজস্র চিঠি, জড়িয়ে ধরা কান্না– এর কোনওটাই আসলে আমার নয়

বইটা শেষ করার আগে কেবলি মনে হচ্ছিল– হল না। আরও কী যেন দেওয়ার ছিল, বলার ছিল আরও কত কথা।

→

‘মানুষশাবকের কথা’ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে আগ্রহী, হঠাৎ পোস্টকার্ড এসেছিল বাদল বসুর

ফিরে তাকালে একগুচ্ছ ‘যদি’ আমাকে ভাবিয়ে তোলে। কী হত যদি ‘ভোরের কাগজ’ আমার লেখাটি না ছাপত? কী হত যদি শ্যামলকান্তি দাশ আমায় পরামর্শ না দিতেন? কী হত যদি বাংলা সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি এবং একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের আশীর্বাদ না পেতাম?

→