Robbar

রোজনামচা

বর্মের আড়াল থেকে বেরিয়ে আজ নিজের অবশেষটুকু দেখে নিন!

আমরা যারা নিজের কথা, নিজের গৌরবের কথা, অ্যাচিভমেন্টের কথা নিজের মুখে বলতে শিখিনি কোনও দিন, ‘ব্লো ইয়োর ওন ট্রাম্পেট’ শুনে পশ্চিমি দেখনদারি বলে নাক সিঁটকিয়ে হরিশচন্দ্র মিত্র আওড়ে বলেছি– ‘আপনারে বড় বলে বড় সে তো নয়/ লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়’; এই কল্পনাহীন, ফেক স্মার্টওয়ার্ল্ডে তাদের জায়গা নেই।

→

কচ্ছপগিরির মাধ্যমে নিজেকে টিকিয়ে রাখার রাজনীতিই এখন বাঙালি নাগরিক সমাজের নীতি

বাঙালি, একালের বাঙালি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আশ্চর্যরকম ভাবে কচ্ছপ হয়ে ওঠে। তাকে বলি কচ্ছপের রাজনীতি। খোলার ভেতরে ঢুকে পড়ে, নিজেকে বাঁচানো। খাবো-দাবো রোজগার করব। মাঝে মাঝে টিভিতে কিংবা সমাজমাধ্যমে উত্তেজনার প্রশমন করব। কিছুতেই কিন্তু পথে নেমে নিঃস্বার্থভাবে নৈতিকতার রাজনীতিতে যোগ দেব না।

→

এত দিলে দত্যি ও দানো, বর্মটি ভুলে গেছ দিতে

মেয়েদের রোজই পরে থাকতে হয় বর্ম। নইলে রাস্তাঘাটে অচেনা মানুষের ভিড়ে শুধু নয়– আন্তরিক, চেনা পরিসরেও ঘটে যায় অনভিপ্রেত এমন বহু ঘটনা, যা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায় না কিছুতেই।

→

কবির বর্ম আছে, ভবিষ্যৎ নেই

প্রবীণ কবির রাজনৈতিক ক্ষমতাটিকে সে কিছুতেই সন্দেহ করে না। তাই তার আবর্জনাময় কবিতার পাশেই সকৃতজ্ঞ মন্তব্য ‘কী করে পারেন এমন!’ বা ‘আপনি আমাদের একমাত্র আশ্রয়’– এইসব। যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা মঞ্চ সভার আলো থেকে সে বঞ্চিত না হয়।

→

যে মুখে মৌমাছি-ভোমরার নামে এত সুন্দর গান গাও, সেই মুখে আমাদের অনায়াসে মারার হুকুম দাও কী করে?

চোখ বুজে একবার ভেবো, সারা পৃথিবীর সব গাছে ঘাসে গুল্ম লতায় শত সহস্র ফুল ধরে আছে, শুধু আমরা কেউ আর নেই। ভাবতে পারছ কী হবে? কেমন লাগবে সেই পৃথিবী? সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আজ বিশ্ব মৌমাছি দিবসে আমাদের একটা অনুরোধ, একবার তোমরা নিজেদের দিকে তাকাও, তাকাও প্রকৃতির দিকে, একবার অন্তত মনে করো পৃথিবীর সুপ্রাচীন ইতিহাস। ভেবে দেখো কেমন ছিল মৌমাছি ও মানুষের শত-সহস্র বছরের সম্পর্ক!

→

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ৭০ বছর পরেও লেখকের দারিদ্র বাংলা ভাষায় মহৎ করে দেখা হয়

তরুণ লেখকমাত্রেই, যে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার কথা মানিক বলেছিলেন, তাকে অনেক বাঙালি লেখক কবি আজও কেবল দারিদ্র-মোচনের বিকল্প হিসেবেই দেখলেন। প্রতিরোধের বিকল্প হিসেবে দেখলেন না। অর্থাৎ লেখক বাঁচবেন নিজের শর্তে। প্রতিষ্ঠানের শর্তে নয়।

→

জীবন সর্দারের দেওয়া প্রকৃতির পাঠ আমরা যেন ভুলে না যাই

বন্ধু অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের সঙ্গে পরামর্শ করে সুনীল এই বিভাগের নাম দেন ‘প্রকৃতি পড়ুয়ার দপ্তর’, আর ‘জীবন সর্দার’ ছদ্মনামটি অলোকরঞ্জন পছন্দ করে দেন রবীন্দ্রনাথের ‘ফাল্গুনী’ নাটক থেকে।

→

অন্ধজনের দেহ আলোকিত, স্পর্শই তার চোখ

খেলা অনেকটা ঘুরে গিয়েছে, আর উপায় নেই, হাতভর্তি আলোই আছে শুধু। বিস্ফোরণের, বনদহনের মেয়াদ শেষে অকৃত্রিম লাঠির মতো, জিলিপির মতো আলো।

→

বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে শিল্পের মধ্যে খুঁজতে চেয়েছিলেন ফাইনম্যান

তর্কের খাতিরেই ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেছেন। পরে শিক্ষার আপাতসরল অভিগমন বদলে গেছে অনুসন্ধানে। ইন্টারন্যাশনাল কোরেস্পন্ডেন্স স্কুল থেকে প্যাসাডেনা আর্ট মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণ বিভাগ। অজস্র স্কেচ, ড্যুডলিং, ন্যুড, সেমিন্যুড, ওয়াটার কালার। সংশয় থেকে বিস্ময়ে উত্তরণে ক্রমশ উপলব্ধি করেছেন– সত্যের ঈশ্বর বলে কিছু নেই, কণিকার অবস্থার মতো তা কেবল একটি তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা মাত্র।

→

বুদ্ধপূর্ণিমায় সাঁওতালদের শিকার উৎসব বদলে গিয়েছে জীবিত বন্যপ্রাণের অনুসন্ধানে

বৈশাখী বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে অযোধিয়া বুরু আন্দোলিত হয় শিকার উৎসবে। শুধু শিকার নয়, এ হল উৎসব, ‘সেঁদ্রা পরব’। সাঁওতালি ভাষায় যাকে বলে ‘সেন্দ্রা’, তার বাংলা অর্থ ‘অনুসন্ধান’। বিগত বছরে জঙ্গলের মধ্যে যেসব প্রজাতির গাছপালা, লতাপাতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে তা এই বছর পাওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে খোঁজতল্লাশ।

→