প্রফুল্লদার ছোটগল্প ‘বর্ষায় একদিন’ নিয়ে আমি ছবি করেছি। বিহারের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্প। শুটিং করেছি ঝাড়খণ্ডে। অত্যন্ত মানবিক গল্প। দু’জন সাধারণ মানুষ, যাদের অনেক কিছুই নেই– কিন্তু আনন্দ রয়েছে।
কোথায় বন্ধুর ঘর? ঈশ্বর যতখানি ভাবতে পারেন, তার চেয়েও সবুজ ওই পথ, যে-পথে ছড়িয়ে আছে ভালোবাসা– ‘বন্ধুত্বের নীল ডানার মতোই ব্যাপ্ত’, সেই পথে আছে তার সন্ধান। নিঃসঙ্গতার ফুল যেখানে, তার ঠিক দু’ পা আগে সে হাত বাড়াচ্ছে আমাদের দিকে। যুদ্ধধ্বস্ত সেই পৃথিবীর হাত কি আমরা ধরতে পারব, ততখানি ভালোবাসার সাহস কি হবে আমাদের?
আমার বাবা সুধাংশুশেখর দে তাঁর প্রকাশনা জগতে কাটানো ৫০ বছরের স্মৃতিকথা লিখছেন। বাবার সঙ্গে সেই শুরুর কথা জানতে প্রফুল্লজেঠুর কাছে যাওয়া। তখনই দেখি ৯১ বছরের লেখকের স্মৃতিতে পলি জমতে শুরু করেছে। নিজের বইয়ে সই করতে গিয়ে তিনবার কেটেছেন। আমি এই প্রফুল্ল রায়কে আগে দেখিনি। সদ্যপ্রয়াত প্রফুল্ল রায়ের স্মৃতিচারণা।
ফকির আফ্তাবউদ্দিন তখন মন্ত্র বলতে বলতে গুরুবাবার শরীরের চারপাশে ঘুরছেন। সাত-আট পাক ঘোরার পর গুরুবাবার বুকে পা রাখলেন। শোনা যায়, পা রাখার পরই তিনি উঠে বসে গান গাইতে শুরু করেন। মেঘ রাগ।
কর্মভারে অসুস্থ হয়ে, ডাক্তারের নির্দেশে দার্জিলিং এসেছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। পাহাড়ের হাওয়াবদলি শুশ্রূষার আশায় উঠেছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘স্টেপ অ্যাসাইড’ বাড়িটিতে। এ বাড়িতে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন বেসান্ট, গান্ধিজিও। কিন্তু ফেরা হয়নি তাঁর। ঠিক ১০০ বছর আগে এ-বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশবন্ধু। কেমন ছিল ১০০ বছর আগের সেই শান্ত সাদা বাড়িটির স্তিমিত অনুভূতি?
প্রথম জাপানযাত্রার রবীন্দ্রনাথকে দেখে স্কুল-পড়ুয়া কাওয়াবাতা-র মনে হয়েছিল যেন বা প্রাচীন প্রাচ্যের কোনও জাদুকরকে দেখছেন! ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথ প্রথম এশীয়, যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান আর তাঁর পাঁচ দশক পরে এশিয়ার দ্বিতীয় প্রাপক হিসেবে একই পুরস্কার পান জাপানের ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার ইয়াসুনারি বা কোসেই কাওয়াবাতা।
ফলে ‘কলতলা’ শব্দটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে যায় ‘মেয়েলি’ কাজিয়ার প্রসঙ্গ। সচেতনভাবে ভুলে যাওয়া হয় যে কলতলায় অশান্তির একটি অন্যতম কারণ হতে পারত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং সেই অনুপাতে জল সরবরাহের অপ্রতুলতা।
বৃষ্টি-স্নানের ঠিক আগের মুহূর্তেই ব্রতকথায় দুর্গার স্বপ্নের খতিয়ান দিয়েছেন সত্যজিৎ। তারপর বৃষ্টিধারায় নিজেই মুছে দিয়েছেন দুর্গার সমস্ত স্বপ্নকে। স্বপ্নের অস্থায়িত্ব, স্বপ্নের ভঙ্গুরতাকেই ব্যঞ্জনা দিয়েছেন এইভাবে।
এই বইয়ে জল আসছে কতবার। ‘ঝরনা সহস্রধারা’য়, ‘অদর্শন কিছু নয়,/ তোমাকে দেখার ইচ্ছে শুধু আমারই কি?/বাঁশিটির তরুণ নিশ্বাস/ ফুঁ দিয়ে সরায় জল, চলকানো রোদ’। বনময় যে শুয়ে থাকে, যে-ঘুমন্তের উজ্জ্বল ত্বকের মতো তার ঝরনাও হয়ে যায় সহস্রধারা। তারপর?
শহরের চার বন্ধুর মধ্যে তিন জন যুবক বক্সার পরে কুয়োর জলে স্নান করতে আসে এবং দৃশ্যের মধ্যে গাড়ি করে ঢুকে পড়ে দুই নায়িকা। সঙ্গে সঙ্গে ছেলে তিনটির মধ্যে শুরু হয় এক চরম অস্বস্তি। পরিচালক সিনেমায় মেল ভয়েরিজমের গালে একটা ঠাস্ করে চড় কষান।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved