এই সিনেমাটি শ্রীলেখা মিত্রের সিনেমা, ফলে তাঁকে নিয়ে যা কিছুই বলা হবে, কম বলা হবে। শ্রীলেখা এক ভবিষ্যৎহীন, থেমে যাওয়া, ক্লান্ত কলকাতার আত্মা হয়ে উঠেছেন যেন।
‘পিকু’-র বৃত্তই যেন সম্পূর্ণ করলেন সুজিত সরকার, ‘আই ওয়ান্ট টু টক’-এ।
একটি কিশোরীর চোখ দিয়ে মেয়েদের আবেগ, সততা, ভালোবাসা এবং শরীরের এজেন্সি নিয়ে ‘মেয়েদের মেয়েদের মতো’ হওয়াটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপিত।
১৯৭৫ সালে, মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ৫০ বছর হল, এখনও আপামর ভারতে ঘুরে বেড়ায় এই সিনেমার সংলাপগুচ্ছ!
‘শ্বেতপাথরের থালা’ ছবিটা হয়তো আমার করাই হত না যদি অপর্ণা সেন ছবিটা করতে রাজি না হত।
বইটা আরেকবার পড়ুন। তারপর সিরিজটাও দেখুন। দেখুন না, আপনার চোখে অন্য কিছু ধরা পড়ছে কি না! অন্তত গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোই হল না হয়! দেখার সৌজন্যে আরেকবার অন্তত ফিরে পড়া হবে এই আশ্চর্য কুহকী উপন্যাস! আরেকবার হবে মার্কেজযাপন।
এ-ছবির স্ক্রিপ্টও দ্য লায়ন কিং-য়ের মতো সুচিন্তিত, সুপ্রযুক্ত নয়; একজন দক্ষ সম্পাদক আরামসে মিনিট পনেরো কমিয়ে দিতে পারতেন। সত্যি বলতে কী, ছবিটার একেকটি পর্যায় এতটাই অপ্রয়োজনীয় রকমের দীর্ঘায়িত, সেখানে গল্পের তেষ্টা আসে।
প্রেম তো ফুরনোর নয়, এদিকে প্রেমিকাকে দেওয়ার মতো কোটেশন ফুরিয়ে যাচ্ছে, কেলেঙ্কারি ব্যাপারস্যাপার! তা ছাড়া ‘চন্দ্রবিন্দু’র নতুন গানে রাত গভীর হচ্ছে, তা যে কীরকম দেখতে, নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ, আমার অজান্তে কেউ আমার মোজার মধ্যে লুকিয়ে রেখে দিয়েছিল বোধহয়।
মারিসা পারাদেসের মৃত্যু স্প্যানিশ সিনেমাতে আজ ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলা যায় কি না, তা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু এ-নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তিনি যে-ধারা তৈরি করে গেছেন, তা যেন নারীবাদের একেকটি বিশিষ্ট পাঠ।
‘বুকঝিম এক ভালোবাসা’ আমি শুরু করি নাই। সেই ভাষার কারিগরের অপার যাত্রার আগে দিয়ে যাওয়া আদেশ বয়েছি মাত্র। বইব আজীবন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved