Robbar

মানবাধিকার

অন্বিতা সুইসাইড নোট লিখেছে, কিন্তু আমি বা আমরা বারবার লিখতে গিয়েও ফিরে আসি

বিনা বেতনের গৃহস্থালির কাজে সময় ব্যয় করে ২৮৮ মিনিট, পুরুষরা সেখানে ব্যয় করে ৮৮ মিনিট! অন্বিতার রান্না করে রেখে যাওয়া ভাত তাঁর স্বামী খেতে পেরেছে কি না জানি না, তবে আমাদের রক্ত চুষে দিব্যি ফুলে ফেঁপে বাড়ছে পুঁজি আর পিতৃতন্ত্র।

→

সাংবাদিকের আবার কী দরকার?

গত রবিবার (১৬ মার্চ) ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার ভয়েস অফ আমেরিকা এবং অন্যান্য সরকারপোষিত সংবাদমাধ্যমগুলোতে গণ ছাঁটাই আরম্ভ করেছে। আজকাল সারা পৃথিবীর কর্পোরেট চাকরিতে ইদানীং যা দস্তুর, সেই অনুযায়ী রাতারাতি ইমেল করে কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মীদের জানানো হয়েছে– কেটে পড়ো। যে সাংবাদিক চাটুকার নয়, তাকে নিয়ে ট্রাম্প কী করবেন?

→

মমতাশঙ্করদের পচাগলা কথাবার্তা এবং নয়া-পিতৃতন্ত্র

মমতাশঙ্কর, নন্দিনী ভট্টাচার্য-দের পিতৃতান্ত্রিক কথাবার্তা, এবং তাঁদের বারবার ব্যবহার করে নিজেদের পিতৃতান্ত্রিক আধিপত্যকে কোনও রকমে টিকিয়ে রাখতে মরিয়া যাঁরা– তাঁদের নয়া-পিতৃতান্ত্রিক মুখোশ ধরা পড়ে গেছে।

→

এইচআইভি শনাক্তের উদ্দেশ্যে যৌনকর্মীদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন কুণ্ঠাহীন নির্মলা

আইচআইভি নিয়ে ঔদাসীন্য যখন ভারতের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ড. নির্মলা সেলাপ্পানের গবেষণা প্রমাণ করল এদেশের মানুষের রক্তেও এই মারণ ভাইরাস উপস্থিত। শুরু হল ভারতের বুকে এইচআইভি গবেষণার প্রথম ধাপ।

→

যৌনতার শুরু বা শেষ কোনওটাই বিছানায় নয়, ‘যৌনতার পাঠশালা’-র সূত্র লুকিয়ে ঠিক ওইখানে

‘যৌনতার পাঠশালা’র ভাবনা শুরুই হয়েছিল যৌনতা নিয়ে ‘যা খুশি তাই বলা’ বা ভাবার লাইসেন্স নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করার জন্য যে, যৌনতা মানে কে কাকে কার সঙ্গে শুয়ে পড়তে চায় সেই সংক্রান্ত তাল পাকানোই শুধু নয়, যৌনকর্ম এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে আলোচিত হতে পারে।

→

যে মানসিকতা নারীকে বন্দি করতে চেয়েছে, সেই মানসিকতাই নারীকে নিয়ে যৌনগন্ধী গালাগালি তৈরি করেছে

দেখা যাচ্ছে যে, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ নারীদের নতজানু করে যত আমোদ পেয়েছে, ততটা রাজত্ব, যুদ্ধজয়, রাজনীতি, জুয়া খেলা, চুরিচামারি, বিপুল ঠকানো– কিছু করেই পায়নি আর সেভাবে!

→

জনগণের মনের ভিতর লক্ষ বছরের ঘাপটি মেরে থাকা হিংসার জিন জেগে উঠেছে?

মানুষের মনের ভিতর যে ঈর্ষা-হিংসা-দ্বেষ, তাকে মানুষ প্রশমিত করে রাখে কখনও ‘ঈশ্বর’ নামে কল্পনার নীতি দেবতাটিকে আশ্রয় করে, কখনও পরিবার-পরিজনের প্রতি স্নেহ-দুর্বলতা-ভালবাসায়, কখনও সমাজরক্ষায়। আর এই নীতিবোধের শিক্ষা বা চর্চা, চলে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অথবা প্রজন্মবাহিত পারিবারিক শিক্ষায়। দুঃখের বিষয়– এই দুই ব্যবস্থাটিই প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে।

→

রসুইঘরে ঝাঁজ কিছু কম পড়িয়াছে!

রান্নাঘরের মতো অস্তিত্ব গিলে-খাওয়া একাকিত্বের হাতকড়া যে এমনিতেই জীবন জুড়ে দগদগে ঘায়ের মতো বয়ে বেড়াতে হয়, তা বোঝানোর দায়টা কে নেবে?

→

এ-পরবাসে কেউ কি অন্তত আছে, যার জন্য লড়াইটা টিকিয়ে রাখা যায়?

মৃত্যু প্রতিরোধের পথটি কি অতি সহজ ছিল না? সহমর্মিতার প্রয়োজন নেই, ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অফিস যদি শুধু তাদের ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করত; যদি অন্তত একবার অভিযুক্ত ছেলেটিকে ডেকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে কথা বলত, তাকে শাসন করত কিংবা কাউন্সেলিং, তাহলেই কি অনেকখানি উপকার হত না?

→

ধর্ষণ সংগঠিত অপরাধ, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমরা কি সংগঠিত?

‘অপরাধী’ কখনওই একজন কি? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ-সহ লিঙ্গ-হিংসাজনিত যে কোনও ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন জোগানো, হিংসার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় অনীহা, প্রতিষ্ঠানের মান বাঁচানোর জন্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া, চুপ করিয়ে রাখার নরম-গরম হুমকি– এসব কি আমাদের অচেনা? অপরাধীকে আড়াল করাই কি দস্তুর নয়?

→