Robbar

মিনি সিরিজ

এনসাইক্লোপিডিয়ার বিপুল কাজ জিন জুলির সালোঁতেই রমরম করে চলতে শুরু করেছিল

সালোঁ মাদামরা বৈজ্ঞানিক-কবি-লেখকদের সঙ্গে আলাপে বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকলেও, মহিলাদের পড়াশুনো নিয়ে পিছিয়েই ছিলেন। মহিলাদের মনন ক্ষমতার সম্যক পরিচয় পেয়েও এইসব বিদ্বৎজন, মেয়েরাও যে রাজনীতি, সমাজনীতি ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলি পড়তে পারে তা ভাবতে পারেননি।

→

চলতি পরিবার ধারণার বাইরের মেয়েদের বেঁচে থাকার জমকালো মঞ্চ প্যারির সালোঁ

লিবার্টি-ইক্যুয়ালিটি-ফ্রেটারনিটি থেকে বিশুদ্ধ প্রজ্ঞা সবেরই বিশ্বজনীন কর্তা তখন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, এমনকী অভিজাত বাড়ির মেয়েদের অবধি বাইরে বেরিয়ে লেখাপড়ার অধিকার নেই, সেই সময় মাদামরা কেমন পাশার গুটি উল্টে সালোঁ সাজিয়ে নিলেন, স্বশিক্ষার সেই গভীর দাপট খেয়াল করার মতো।

→

বাঙালি মেরুদণ্ডের সেকাল-একাল

বাঙালি এখন আর মেরুদণ্ড বলে না, শিরদাঁড়া বলে। তাদের বেতো শরীর। ব্যথা হয়ে যায়। মাটিতে সাষ্টাঙ্গে শুয়েও শিরদাঁড়ায় টান লাগে। তাই আজকাল মাঝে মাঝে শিরদাঁড়াটি খুলে বাঙালি রোদে শুকোতে দেয়।

→

ঠিক সময়ে ‘ঠিক ঠিক’ বলার মতো জোর মেলে না কেন?

টিকটিকি মানুষকে দেখে আজকাল কেবলই ধোঁকা খেয়ে যায়! সে বেজায় অবাক হয়ে দ্যাখে, এরাও ‘ঠিক ঠিক’ বলে তারই মতো। তবে সময় বুঝে নয়, সুযোগ বুঝে।

→

বই দাঁড় করিয়ে রাখা হত বলেই স্পাইনে শিরোনাম লেখার রীতি!

প্রথম দিকে স্পাইনের ওপর শিরোনাম লেখা হত হাতের লেখা এবং আঁকা অক্ষরে। পরে মুদ্রণযন্ত্রে ছাপা লেবেল যুক্ত করা শুরু হয়। ১৭০০ শতক থেকে বইয়ের তাক সাজানোর জন্য স্পাইনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশক– সব কিছু স্পাইনে ছাপা হতে শুরু করে।

→

বিজ্ঞাপনে দেখানো উজ্জ্বলতা না পেলে আপনার জীবন বৃথা?

জবাকুসুম চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে তেলের গুণাগুণ বিষয়ে প্রায় কোনও কথাই খরচ না করে ব্যবহার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিদ্রিতা’ কবিতার সেই অংশটি, যার মধ্যে একটি পঙ্‌ক্তিতে রয়েছে, ‘মেঘের মতো গুচ্ছ কেশরাশি শিখান ঢাকি পড়েছে ভারে ভারে’। কখনও আবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘বধূ’ ইত্যাদি কবিতার চিরকালীন পঙ্‌ক্তিগুলি।

→

কলকাতায় প্রথম নাপিত ধর্মঘট হয়েছিল ১৪৬ বছর আগে!

১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ ইংরেজ কোম্পানির রাজত্বে ক্ষৌরকারদের উপরে মাথা পিছু ১২ টাকা বাৎসরিক ট্যাক্স ধার্য করা হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং চুল-দাড়ি কাটার মজুরি বৃদ্ধির করার দাবিতে ধর্মঘট করেন। এদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানালেন শ্রদ্ধেয় কেশব সেনের ‘সুলভ সমাচার’ পত্রিকা।

→

ইতিহাসে অনুপস্থিত ও কাব্যে উপেক্ষিতাদের নিজস্ব বৌদ্ধিক চর্চার আস্তানা ‘সাঁল’ থেকে উঠে আসে উলটপুরাণ

সালঁ শুধু মহিলাদের নিয়ে নতুন করে ভাবায় না। আরও ভাবায় কী করে কাব্য শোনা ও ছবি দেখার ইন্দ্রিয়বত্তা, গায়কি ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার, কফির স্বাদ, সোফায় বসার ভঙ্গি, পোশাকের ফ্যাব্রিক ও ফ্রিল– সালঁতে উপস্থিত ও অনুষ্ঠিত এই ঘনিষ্ঠ উপাদানগুলি থেকে ইতিহাস লেখা যায়।

→

গুরু এই সেলুনেই চুল কাটতেন

আধা সি-থ্রু কাচ, নিয়ন্ত্রিত ফিনফিনে তাপ, স্টুডিও-সম আলো, বাবুইবাসা-ফুলঝাড়ু-জাম্বু কাট খোকাদের ছবি। আধুনিক কেশ স্যালোঁদের কথা বলছি না। খুঁজছি  এমন কিছু সেলুন, যা রয়ে গিয়েছে শহরের পুরনো পাড়ায় পাড়ায়। উত্তম চরিত্রের মতোই তারা রিট্রো, এগজটিক। সাইনবোর্ডে হাতে রং করা বা কাঠের অক্ষর উঠে থাকা নাম।

→

নিরন্নরা সর্বত্র হানা দিচ্ছে, দখল করছে এলাকা

যদ্দিন না সমস্ত শিশুকে খাদ্যসুরক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে, তদ্দিন মধ্যবিত্তের আদরের দুলালরাও যে নিরাপদ নয়, তা মেনে নিতে হবে।

→