কখনও ইশারায়, চিরকুটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে, কখনও পুলিশি নির্যাতনের আহত কমরেডকে নজরদারি এড়িয়ে গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে কোনও কমরেডের মন ভালো করতে রুটিতে কিছুটা চিনি মাখিয়ে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে, তো কখনও একসঙ্গে বসে সুখ দুঃখ বৃষ্টি বজ্রপাত ভাগ করে এই নিরন্তর অপেক্ষা কাটানোর মাধ্যমে, প্রতিদিন নানাভাবে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ।
আত্মীয়তা, সংহতি, বন্ধুত্বের রাজনীতিকেই ভয় করে শাসক। তাই জনমানসে কারাগার, কারাজীবনকে বরাবর এক অপরাধ সম্পৃক্ত বিপজ্জনক পরিসর হিসেবে চিহ্নিত করতে লাগে। বন্দিদের অপরাধ প্রমাণের আগেই তাঁদের অপরাধী করে তুলতে লাগে, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সাজা চলতে থাকে। মেয়েদের রাজনৈতিক সত্তাকে অস্বীকার করলেও, মেয়েদের রাজদ্রোহিতা তাই শাস্তিযোগ্য।
যে ঠুমরি গাইতে গাইতে রসুলন শেষটায় হারিয়েই গিয়েছিলেন, সিদ্বেশ্বরী সেই ঠুমরি গেয়েই কেন তুলনায় কম অপমান, লাঞ্ছনার ভাগী হলেন? গিরিজা দেবী কেমন করে সেই ঠুমরিকেই সমাজের সামনে মেলে ধরলেন এমন করে, যেন ঠুমরি মূল শাস্ত্রীয় সংগীতেরই অঙ্গ?
শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।
১৯৭৬ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে গাইতে পারতেন না আর। এহেন শিল্পী, যে এত সংগ্রাম করলেন দু’কলি গাইতেই, গান না থাকলে তার জীবনে কী থাকে? ১৯৭৭ সালে পাড়ি দিলেন না-ফেরার দেশে। অন্য বাহিরে। সে বাহিরের গায়ে কান পেতে দাঁড়ালে হয়তো আজও খামাজে ঠুমরি শোনা যাবে।
‘কলের গান’ বলতে আমরা যা বুঝি, ভারতে সেই কলের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন গওহরই। সে সময় ব্রিটিশ গ্রামোফোন কোম্পানির একটি উদ্যোগে ফ্রেড গাইসবার্গ গওহরকে আরপিএম ডিস্কের জন্য একটি গান রেকর্ড করার সুযোগ দেন প্রথম।
কুঠি নির্মাণ বা দেশ দখলের উদ্দেশ্য ছিল না দিনেমারদের, যেমন ছিল বিশেষ করে কুচক্রী ইংরেজদের।
১৭৯৩-তে ফরাসি বিপ্লবের সূত্র ধরে আবার ফরাসিদের হাতছাড়া হয় চন্দননগর। মোট চারবার ইংরেজদের অধীনে থাকার পর ১৮১৬ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত শহরটি ছিল ফরাসিদের দখলে।
চুঁচুড়ার হল্যান্ডবাসীর মতোই দেশি ফুলের পরিবর্তে বিদেশি ফুলের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে মধ্য ও উচ্চবিত্ত বাঙালি।
বঙ্গের হিন্দু বারোভুঁইয়াগণ পর্তুগিজ সামরিক শক্তির সাহায্য নিয়ে হিন্দু রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved