Robbar

পাঁচমিশালি

ছাদ: কখনও সামাজিক পরিসর, কখনও একলা চিন্তার মঞ্চ

দীর্ঘ সময় বাদে কাঁচা ছাদের পরবর্তীতে ইট, বালি, সিমেন্টে গড়া পাকা ছাদ আবিষ্কার হল। তখন মানুষেরা ছাদেও দিনের একটি অবসর সময় কাটাতে আরম্ভ করল।

→

পূর্ববঙ্গের গাড়ুর ডাল আসলে এক ধরনের প্রকৃতিপুজো

পূর্ববঙ্গীয় (আজকের বাংলাদেশ) সংস্কৃতিতে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে একটি বিশেষ ধরনের ডাল রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরপর সেই বিশেষ রীতিটি এপার বাংলায় চলে এসেছে শরণার্থীদের মাধ্যমে।

→

অনুবাদক কোনও ‘সুপারহিরো’ নন, স্বত্ব না কিনেই খাজা বাংলা তরজমার কবলে পাঠক!

বিনা অনুমতিতে, স্বত্ব না কিনে, মূল ভাষার ধারেকাছে না গিয়ে, এবং সর্বোপরি গুগল ট্রান্সলেট জাতীয় কোনও সফ্টওয়্যারের যোগসাজসে এই যে অনুবাদকার্য সম্পন্ন হচ্ছে, এবং যেসব পাঠক পয়সা খরচ করে এই সব অনুবাদগ্রন্থ ক্রয় করছেন, তাঁরা দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাচ্ছেন না তো?

→

ফেসবুকে ৫০০০ বন্ধু, আদপে বন্ধুহীন?

ফেসবুকের বন্ধুবৃত্তে ‘ওই তো অঢেল সবুজের সমারোহ’ থাকলেও বাস্তব জীবনের বন্ধুযাপন একেবারে বিপরীত একটি ছবি তুলে ধরে। ভালো বন্ধুত্ব কীভাবে আমাদের আরও ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে, সুখযাপনে বন্ধুত্বের অবদান কতটা– এই নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে বিস্তর।

→

বইয়ের ভাস্কর্য: আরেকরকম পাঠ

শিল্পী সাবা হাসান বলছেন, ঘাস, সুতো, ছোট ছোট পাথর, কফি, গাছের ছাল, কখনও শিকড়, ফেব্রিক, পোড়া বইয়ের ছাই– সকলে মিলে নির্মাণ করেছে অনন্য একেকটি অক্ষর। স্বাধীন সেইসব অক্ষর, ফের একবার উড়ে যাচ্ছে, জুড়ে বসছে, ধারণ করছে বই।

→

ভাঙনকালে আশার বার্তা দেয় মালয়ালি পুতুল ‘চেকুট্টি’

নতুন ভাবনা। নতুন স্বপ্ন। সেই পথেই বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার তাঁতিদের কোলে জন্ম নিল এক কন্যে। চেন্দমঙ্গলম গ্রামের বানভাসি মানুষরা নাম দিলেন– চে কুট্টি। টানা টানা চোখ। হাসি হাসি মুখ। গায়ে মেটে কাপড়ের জামা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘রাগ ডল’।

→

পুঁটুরাণীর জন্য পাত্র চাই: পুরাতন কলিকাতার পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন

একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, ১০ নং আর জি কর রোডে অবস্থিত হিন্দু অবলাশ্রমের সেক্রেটারি জনৈক পদ্মরাজ জৈন ‘সুবর্ণ জাতীয়া’ মাত্র ছ’বছর বয়সি ‘কুমারী বালিকার’ জন্য ‘পাণিপ্রার্থী’-দের কাছ থেকে আবেদনপত্রের প্রত্যাশী। ওই একই ব্যক্তি ‘১৬ বৎসর’ বয়সি কুম্ভকার বালবিধবার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে বলে নিচ্ছেন, সে-ই পাত্রী ‘লেখাপড়া জানে না’। একইসঙ্গে তাঁর পরিষ্কার কথা, ‘কোন প্রকার পণ বা যৌতুকাদি দেওয়া হইবে না।’ এটা ১৯৩১ সালের বিজ্ঞাপন।

→

ভাষা: মগজের বর্ম, শাসকের হাতিয়ার

ক্ষমতার চিরন্তন কৌশলই হল জনগণের ভাবনা, কল্পনা ও অন্তরঙ্গ মনস্তত্ত্ব পর্যন্ত নিখুঁত নকশায় ছকে ফেলা। ইংরেজ আমলে এই নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রকাশ্য সাম্রাজ্যবাদী; এখন তার রূপ ভিন্ন। সরাসরি ঔপনিবেশিকতা নেই, রয়েছে ভাষিক জাতীয়তাবাদ– এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রকল্প।

→

দুর্গাপুজোর শিল্প-সমারোহ আদৌ কি ‘পাবলিক আর্ট’?

দুর্গাপুজোকে ‘আর্ট’ হিসেবে ভাবতে চাইলে তার একটা দীর্ঘস্থায়ী, যুক্তিযুক্ত, অবিচলিত দর্শন প্রয়োজন। দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে ওঠা সাইট-স্পেসিফিক আর্টের সঙ্গে তার বাণিজ্যিক দর্শনে বৈরিতা রয়েছে। আর ‘পাবলিক আর্ট’-এর দর্শক নিষ্ক্রিয় নন, মূক নন। শুধু দেখে চলে যাওয়া তাঁদের কাজ নয়। ‘পাবলিক আর্ট’-এর দর্শক সক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট শিল্পকর্মটির অঙ্গ হয়ে ওঠেন।

→

দুর্গাপুজোর জন্য অনশনে বসেছিলেন রাজবন্দিরা!

প্রেসিডেন্সি জেলে সুভাষচন্দ্রই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অনেকেই জানেন। কিন্তু তারও ১৫ বছর আগে বার্মার জেলে থাকার সময়ও তিনি যে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তা নিয়ে খুব বেশি কিছু চর্চা হয়নি।

→