Robbar

পাঁচমিশালি

চায়ের সঙ্গে টা

চা-এর সঙ্গে ‘টা’ না-হলে বাঙালির চলে না। সেই ‘টা’ কখনও বিস্কুট, কখনও বাপুজী কেক। কখনও আবার স্রেফ পাউরুটি থেকে এক গাল মুড়ি। চা খেতে খেতে আড্ডা, রাজা-উজির মারা বাঙালির চিরকেলে অভ্যাস। চায়ের গেলাসে প্রথম চুমুকে বিপ্লবের শুরু, শেষ চুমুকে বিপ্লব অস্তমিত। মাঝেমাঝে যখন চায়ের আরেক রাউন্ড এসে যায় তখন বিপ্লব দীর্ঘজীবী হয়।

→

সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে রবীন্দ্রনাথও কি লাইক কমেন্ট শেয়ারের আশা করতেন?

নিজের লেখা নিয়ে বাড়ির বড়দের‌ থেকে কাছ থেকে বা নতুন বউঠানের কাছ থেকে তো লাইক আশা করতেনই কিন্তু তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে আরও এমন কয়েকজন আছেন অন্তত একজন তো আছেনই, যাঁর কাছে থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ারের আশায় থাকতেন কবি।

→

প্রথম স্বদেশি বর্ষাতি এনেছিলেন সুরেন্দ্রমোহন বসু

সুরেন্দ্রমোহন প্রয়াত হয়েছেন ৭৭ বছর আগে। তবু আজও বাঙালির বর্ষার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের প্রথম বর্ষাতি-ব্র্যান্ড ‘ডাকব্যাক’। বিদেশি বহুমূল্য ম্যাকিনটশের একচ্ছত্র আধিপত্যের যুগে সুরেন্দ্রমোহন বসুর গবেষণাই নিয়ে এসেছিল প্রথম স্বদেশি বর্ষাতি। বাঙালি শিল্পোদ্যোগের তালিকায় প্রথম সারিতে নাম উঠেছিল ‘বেঙ্গল ওয়াটারপ্রুফ ওয়ার্কস’-এর।

→

ঘরের ভেতর ঘর

আমরা, ভারতীয়রা, যাকে অতি সাধারণ, ‘দৈনন্দিন’ জিনিস ভাবি, তা নিয়ে সাহেবসুবোদের মধ্যে বেশ একটা উত্তেজনা রয়েছে; যেমন ধরুন– গামছা, রান্নার মশলা বা মশারি। ভারতের বাইরেও মশারি ব্যবহারের নজির মেলে, বিশেষ করে প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়।

→

কাঁঠালিয়ার পুতুলের চরিত্র হয়ে উঠেছে নারী জীবনের উপাখ্যান

মূলত শিশুদের জন্য গ্রামের মহিলা শিল্পীরা এই পুতুল তৈরি করতেন। অন্যান্য মৃৎসামগ্রী তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন পুরুষ শিল্পীরা। যেহেতু রমণীদের হাতে গড়ে উঠত কাঁঠালিয়ার পুতুল, তাই নারী জীবনের উপাখ্যান এই পুতুলের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে।

→

ছাতার মাথা নয়, মাথার ছাতা

সবাই জানেন, হিন্দু ধর্মে ছাতা দান মহাপুণ্যের কাজ। মহেন্দ্র দত্তরা সে কাজ করে আসছেন পাঁচ জেনারেশন ধরে। তিনি নাকি বর্ধমানে রাজার দরবারে পাখোয়াজবাজ ছিলেন? একবার রাজার বিলিতি ছাতা সারিয়ে চমকে দেন, এবং উল্লসিত রাজার বকশিসের টাকাতেই ব্যবসা খুলে ফেলেন?

→

নন্দলাল বসুর একটি ছবি ও ছিন্নপত্রর প্রচ্ছদ

একটি আন্দোলিত পদ্ম। খসে পড়ছে তার পাপড়ি। চামড়ার মলাটে সোনার রঙে ‘এমবস’ করা এক অনিন্দ্যসুন্দর রেখাচিত্র।

→

বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যাওয়ার সময় তুমি আসলে হাসো

ছাতা নিয়ে যে যাচ্ছে নিজেকে কোনও রকমে বাঁচাতে, তার দিকে তাকাও হাসিমুখে, ইশারায় অন্তত জানাও তার কাঁধ ভিজে গেছে, পিঠের ব্যাগ ভিজছে, জলের স্রোতে পা রাখাই দায়। ইশারা না-বুঝলে চিৎকার করেই বলো। জলে পা রাখো, চুল ভিজে যাক, বৃষ্টির তোড়ে দৃষ্টি ঝাপসা হোক, জামার সঙ্গে শরীর জুড়ে যাক।

→

বাঙালির চকলেট নিয়ে এত আদিখ্যেতা কীসের!

যেখানে আমাদের স্টকে এত ভালো ভালো মিষ্টি আছে, সঙ্গে হিস্ট্রি আছে– সেখানে চকলেট নিয়ে লাফালাফি মেনে নেওয়া যায় না। আচ্ছা ভেবে দেখুন তো, ফরাসি বা জাপানিদের যদি এত মিষ্টির সম্ভার থাকত, তাঁরা কি সেসব ছেড়ে চকলেট চকলেট করে লাফাত, মিষ্টিতে চকলেট গুঁজে সেটাকে প্রোমোট করত?

→

প্রেমের রূপকথা যেন না ভেজে, তাই ‘রেনকোট’

কিন্তু আমার রেনকোট খোলা মনে শুধু খোঁচা দিতে থাকে একটাই সোনালি-রুপোলি কাঠি, এই অবাঞ্ছিত বিছানা গোছানোর আগে ওরা দু’জন কী করছিল তাহলে? মাঝের ভেসে যাওয়া এক সমুদ্রকাল সময়ে, ভাগলপুরের বনলতা কি তাকে দু’-দণ্ড শান্তি দেয়নি?

→