Robbar

পাঁচমিশালি

‘অখাদ্য’ ফ্যানের জন্য স্ট্রিট ফাইট হত মন্বন্তরের ভারতে

শাড়ি এবং ধুতি বিছিয়ে ভাতের মাড় নিতেন মন্বন্তরের মানুষ কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এরপরে সরকার টিকিট সিস্টেমের ব্যবস্থা করে, অর্থাৎ ওই 'অখাদ্য' ভাতের ফ্যান খাওয়ার জন্য টিকিট থাকা জরুরি, যা চালু করার পরে সাংবাদিক দেখাচ্ছেন যে কী করে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গিয়ে স্ট্রিট ফাইট শুরু হত অভুক্ত মানুষদের মধ্যে।

→

স্বপ্নের পাঠশালা: অতিমারীর ছায়ায় জন্ম, আজও আলোকবর্তিকা

এই কমিউনিটি স্কুলগুলো কি শুধুই জরুরি অবস্থার জঞ্জাল থেকে উঠে আসা বিকল্প? নাকি এই পাঠশালাগুলোই আসল শিক্ষা কাঠামোর কিছু অভাব সামনে নিয়ে এসেছে? তবে একটা জিনিস স্পষ্ট– এই স্কুলগুলো ‘সমাধান’ নয়, বরং একটি প্রশ্নের খোঁজ। প্রশ্নটা হল– যদি এইসব সাধারণ মানুষের তৈরি পাঠশালাই শিক্ষার মান তৈরি করে, তবে তথাকথিত মূলধারার শিক্ষার ভবিষ্যৎ কোথায়?

→

সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলের সংস্কৃতি মাল্টিপ্লেক্স বহন করেনি

বর্তমানে ভারতের অধিকাংশ সিঙ্গল স্ক্রিন হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো অস্তিত্ব সংকটে। সাধারণ জনগণের জন্য তৈরি হয়েছিল এই হলগুলো, বর্তমানে তাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্চমূল্যের মাল্টিপ্লেক্স সংস্কৃতি। একে তো টিকিটের উচ্চ দাম, তার ওপর পপকর্ন-জলের বিল, আর অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ– সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র দেখা যেন এখন অভিজাত শ্রেণির বিনোদনে রূপান্তরিত।

→

ইউটিউবে অগুনতি রেসিপির চক্করে ঘরই অর্ডারের রেস্তরাঁ, মেয়েরা বিনি মাইনের শেফ

দশভুজার ধারণায় তাক লেগে গেল শিক্ষিত আর হদ্দ বোকা মেয়েদের; ওই যে বিজ্ঞাপনের আলোয় মুখ ঢেকে গেল তাদের; বাণিজ্য পত্রিকায় থরে থরে গ্যাজেট সম্ভার হাতছানি দিল আর ধরে নিল, এক চুটকিতে গৃহকন্না সুচারু ও মনোলোভা হয়ে উঠবে– সেদিন থেকে সর্বনাশের শুরু।

→

প্রাচীন বাংলার খেলনা শিল্পের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে নজরনগরের মৃৎশিল্পীরা

আজকের আধুনিকতার যুগে পোড়ামাটির চাকা লাগানো খেলনার সেই গৌরবের ঐতিহ্যকে সাড়ম্বরে বজায় রেখেছেন উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া নজরনগর পালপাড়ার শিল্পীরা। প্রতিবছর চড়ক মেলা উপলক্ষে পোড়ামাটির চাকা লাগানো নৌকা, গরুর গাড়ি, ঘোড়া বিপুল পরিমাণে তৈরি করে থাকেন শিল্পীরা।

→

‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ আর ভারতীয় রাগ সংগীতের ফিউশন সুখশ্রাব্য হলেও ইতিহাস-বিচ্যুত

আজকের সংগীতচর্চার ভেতরেও একপ্রকার সাংস্কৃতিক পণ্যায়ন চলছে, যা আরেক ধরনের ঔপনিবেশিকতা– নব্য উপনিবেশ বা কসমোপলিটানাইজড ঔপনিবেশিকতা। এখানেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার গাম্ভীর্য, সুর ও রসের অনুশীলন এবং সাংগীতিক আত্মানুসন্ধানকে পেছনে ফেলে ‘পারফর্মেন্স’ ও ‘কমোডিফিকেশন’ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

→

শান্তিনিকেতন নয়, বিশ্বভারতীর প্রথম ঠিকানা হিসেবে আউশগ্রামই পছন্দ ছিল দেবেন্দ্রনাথের

আউশগ্রামের এই লাল মাটির টানে, এখানকার গভীর জঙ্গলভূমির প্রান্তরকে নতুন করে জীবন দিতে এসে ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

→

বুদ্ধদেব গুহ বাঙালির স্লো ট্যুরিজমের পথপ্রদর্শক

বু্দ্ধদেব গুহর লেখা ‘মাধুকরী’, ‘কোয়েলের কাছে’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে’, ‘বন জ্যোৎস্নায় সবুজ অন্ধকারে’,– এই উপন্যাসগুলো ভ্রমণের বাহ্যিক গল্প নয়, বরং স্থানের সঙ্গে গভীর আত্মিক সংলাপ।

→

বাস্তবের পুলিশও একসময় ‘হোমস’, ‘পোয়ারো’-দের শরণাপন্ন হত

২৮ জন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, যার বেশিরভাগই ছিল সমসাময়িক এবং পুরাতন অপরাধীরা, তাদের নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা খোলেন ভিডক। জুয়ার ঠেক চালানোর অনুমতির বিনিময়েও তাঁর হয়ে কাজ করত অনেক অপরাধী। ১৮৩৩ সালে পুলিশের কাজ ছেড়ে নিজের গোয়েন্দা সংস্থা ‘লে ব্যুরো দেস রেনসেইনমেন্টস’ বা ‘অফিস অফ ইনফরমেশন’ খোলেন।

→

সব জাগাই মানবসভ্যতার ‘নবজাগরণ’ ঘটায় না

সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার সর্বভারতীয় সমীক্ষার ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান স্লিপ স্কোরকার্ড ২০২৫’-এর রিপোর্ট বলছে, ৫৮ শতাংশ ভারতীয়ই রাত ১১ টার আগে ঘুমোতে যান না। এই ‘লেট স্লিপার’দের তালিকায় বেঙ্গালুরু, মুম্বাইকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। এবং এই সমস্যাটা ধীরে ধীরে গোটা জাতিকেই প্রভাবিত করছে।

→