১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। জন্ম নিল ‘ফ্যানট্যাস্টিক’। নামকরণ করলেন সত্যজিৎই। আসলে এ নিছকই কোনও পত্রিকার জন্ম নয়। এক অকালমৃত স্বপ্নকে ফের জাগিয়ে তোলা।
ফ্যান কোনও দিন ২০° ঘুরল, তো পরের দিন ৩০°, তার পরের দিন ৪৫°, তার পরের দিন আবার ঘুরলই না। এই ফ্যানের মর্জি শুধু ঠাকুরমা জানতেন, আর সেই অনুযায়ী ফ্যানের সামনে মাদুর পেতে বারান্দায় শুতেন।
একবার বিদেশে এক আড্ডায়, সুচিত্রা মিত্রকে গান গাওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করছিল কিছু ফ্যান। গানের শেষে তাঁকে কুণ্ঠিতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এই যে আপনাকে আমাদের মধ্যে পেয়ে আমরা গান গাওয়ার জন্য আবদার করি, তাতে আপনার খারাপ লাগে না ?’ সুচিত্রাদি মিটিমিটি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আবদার না করলেই একটু খারাপ লাগে !’
দুশো বছরের বেশি সময় আগে তৈরি একটা মন্দির প্রতিদিন সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছে।
শাড়ি এবং ধুতি বিছিয়ে ভাতের মাড় নিতেন মন্বন্তরের মানুষ কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এরপরে সরকার টিকিট সিস্টেমের ব্যবস্থা করে, অর্থাৎ ওই 'অখাদ্য' ভাতের ফ্যান খাওয়ার জন্য টিকিট থাকা জরুরি, যা চালু করার পরে সাংবাদিক দেখাচ্ছেন যে কী করে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গিয়ে স্ট্রিট ফাইট শুরু হত অভুক্ত মানুষদের মধ্যে।
এই কমিউনিটি স্কুলগুলো কি শুধুই জরুরি অবস্থার জঞ্জাল থেকে উঠে আসা বিকল্প? নাকি এই পাঠশালাগুলোই আসল শিক্ষা কাঠামোর কিছু অভাব সামনে নিয়ে এসেছে? তবে একটা জিনিস স্পষ্ট– এই স্কুলগুলো ‘সমাধান’ নয়, বরং একটি প্রশ্নের খোঁজ। প্রশ্নটা হল– যদি এইসব সাধারণ মানুষের তৈরি পাঠশালাই শিক্ষার মান তৈরি করে, তবে তথাকথিত মূলধারার শিক্ষার ভবিষ্যৎ কোথায়?
বর্তমানে ভারতের অধিকাংশ সিঙ্গল স্ক্রিন হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো অস্তিত্ব সংকটে। সাধারণ জনগণের জন্য তৈরি হয়েছিল এই হলগুলো, বর্তমানে তাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্চমূল্যের মাল্টিপ্লেক্স সংস্কৃতি। একে তো টিকিটের উচ্চ দাম, তার ওপর পপকর্ন-জলের বিল, আর অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ– সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র দেখা যেন এখন অভিজাত শ্রেণির বিনোদনে রূপান্তরিত।
দশভুজার ধারণায় তাক লেগে গেল শিক্ষিত আর হদ্দ বোকা মেয়েদের; ওই যে বিজ্ঞাপনের আলোয় মুখ ঢেকে গেল তাদের; বাণিজ্য পত্রিকায় থরে থরে গ্যাজেট সম্ভার হাতছানি দিল আর ধরে নিল, এক চুটকিতে গৃহকন্না সুচারু ও মনোলোভা হয়ে উঠবে– সেদিন থেকে সর্বনাশের শুরু।
আজকের আধুনিকতার যুগে পোড়ামাটির চাকা লাগানো খেলনার সেই গৌরবের ঐতিহ্যকে সাড়ম্বরে বজায় রেখেছেন উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া নজরনগর পালপাড়ার শিল্পীরা। প্রতিবছর চড়ক মেলা উপলক্ষে পোড়ামাটির চাকা লাগানো নৌকা, গরুর গাড়ি, ঘোড়া বিপুল পরিমাণে তৈরি করে থাকেন শিল্পীরা।
আজকের সংগীতচর্চার ভেতরেও একপ্রকার সাংস্কৃতিক পণ্যায়ন চলছে, যা আরেক ধরনের ঔপনিবেশিকতা– নব্য উপনিবেশ বা কসমোপলিটানাইজড ঔপনিবেশিকতা। এখানেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার গাম্ভীর্য, সুর ও রসের অনুশীলন এবং সাংগীতিক আত্মানুসন্ধানকে পেছনে ফেলে ‘পারফর্মেন্স’ ও ‘কমোডিফিকেশন’ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved