দশভুজার ধারণায় তাক লেগে গেল শিক্ষিত আর হদ্দ বোকা মেয়েদের; ওই যে বিজ্ঞাপনের আলোয় মুখ ঢেকে গেল তাদের; বাণিজ্য পত্রিকায় থরে থরে গ্যাজেট সম্ভার হাতছানি দিল আর ধরে নিল, এক চুটকিতে গৃহকন্না সুচারু ও মনোলোভা হয়ে উঠবে– সেদিন থেকে সর্বনাশের শুরু।
আজকের আধুনিকতার যুগে পোড়ামাটির চাকা লাগানো খেলনার সেই গৌরবের ঐতিহ্যকে সাড়ম্বরে বজায় রেখেছেন উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া নজরনগর পালপাড়ার শিল্পীরা। প্রতিবছর চড়ক মেলা উপলক্ষে পোড়ামাটির চাকা লাগানো নৌকা, গরুর গাড়ি, ঘোড়া বিপুল পরিমাণে তৈরি করে থাকেন শিল্পীরা।
আজকের সংগীতচর্চার ভেতরেও একপ্রকার সাংস্কৃতিক পণ্যায়ন চলছে, যা আরেক ধরনের ঔপনিবেশিকতা– নব্য উপনিবেশ বা কসমোপলিটানাইজড ঔপনিবেশিকতা। এখানেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার গাম্ভীর্য, সুর ও রসের অনুশীলন এবং সাংগীতিক আত্মানুসন্ধানকে পেছনে ফেলে ‘পারফর্মেন্স’ ও ‘কমোডিফিকেশন’ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
আউশগ্রামের এই লাল মাটির টানে, এখানকার গভীর জঙ্গলভূমির প্রান্তরকে নতুন করে জীবন দিতে এসে ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বু্দ্ধদেব গুহর লেখা ‘মাধুকরী’, ‘কোয়েলের কাছে’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে’, ‘বন জ্যোৎস্নায় সবুজ অন্ধকারে’,– এই উপন্যাসগুলো ভ্রমণের বাহ্যিক গল্প নয়, বরং স্থানের সঙ্গে গভীর আত্মিক সংলাপ।
২৮ জন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, যার বেশিরভাগই ছিল সমসাময়িক এবং পুরাতন অপরাধীরা, তাদের নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা খোলেন ভিডক। জুয়ার ঠেক চালানোর অনুমতির বিনিময়েও তাঁর হয়ে কাজ করত অনেক অপরাধী। ১৮৩৩ সালে পুলিশের কাজ ছেড়ে নিজের গোয়েন্দা সংস্থা ‘লে ব্যুরো দেস রেনসেইনমেন্টস’ বা ‘অফিস অফ ইনফরমেশন’ খোলেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার সর্বভারতীয় সমীক্ষার ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান স্লিপ স্কোরকার্ড ২০২৫’-এর রিপোর্ট বলছে, ৫৮ শতাংশ ভারতীয়ই রাত ১১ টার আগে ঘুমোতে যান না। এই ‘লেট স্লিপার’দের তালিকায় বেঙ্গালুরু, মুম্বাইকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। এবং এই সমস্যাটা ধীরে ধীরে গোটা জাতিকেই প্রভাবিত করছে।
এ যাবৎ তিনি ৭,০০০-এর বেশি কর্মশালা করেছেন এবং সাত লক্ষ তিরিশ হাজারের বেশি পাখির বাসা তৈরি হয়েছে তাঁর তত্ত্বাবধানে। শুধু বাসা বানাতে শেখা নয়, বাসা ঝোলানোর উপযুক্ত জায়গা চিনতেও শিখিয়েছেন রাকেশ খাত্রী। চড়ুই, দোয়েল, বুলবুলিরা দখল করেছে মানুষের গড়া কৃত্রিম বাসা। রাকেশ গড়ে তুলেছেন ‘ইকো রুটস ফাউন্ডেশন’ নামের এক সংগঠন।
বিশ শতকের বাংলা পত্রিকার ইতিহাসে ‘প্রবাসী’ এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আর এই পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করে বাংলা প্রকাশনার একটা মানদণ্ডও তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু দণ্ড মিললেও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দণ্ডধারী মেলা খুবই কঠিন ছিল। কথাটা সে-যুগের মতো এ-যুগেও সত্যি।
রাজার শহর বর্ধমানের চিত্রাবলিদের পাড়ায় এখনও এক ‘একলা’ বৈশাখের লড়াই। অনেকের সে ইতিহাস আজও অজানা। চুপিচুপি সে লড়াই চলে নিজেদের নিয়ে জীবনের অন্ধকারে। এবং সেখানে তাঁদের একার একাকে নিয়েই লড়তে হয় নিত্যদিন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved